পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড । > c? ছিলেন। শ্যামবর্ণ সুভদৰ্শন একবস্ত্রধারী ধনুৰ্দ্ধর ও শিখ বিশিষ্ট । শ্ৰীমন রাম স্বীয় তেজে দণ্ডকারণ্যকে স্থশোভিত করিয়া নবেদিত চন্দ্রের ন্যায় লক্ষিত হইতে ছিলেন । আমি ব্ৰহ্মদত্ত বরে দপিত হইয়া সহসা তাম্রাম , মধ্যে প্রবিষ্ট হইলাম। রাম দেখিলেন, তামি অস্ত্র উত্তোলন করিয়া সহসাই প্রবেশ করিলাম, তিনি আমাকে দেখিয়৷ তানকুলিতচিত্তে ধনুতে জ্যারোপণ করিলেন । তাধি অজ্ঞানবশতঃ রামকে বালক বোধে তা গ্রাহ্য করিয়া দ্রুতবেগে বিশ্বামিত্রের বেদির দিকে ধাবিত হইলাম। রাম তামাকে লক্ষ্য করিয়া এক শাণিত শর নিক্ষেপ করিলেন । আমি ঐ বাণের আঘাতে আহত হইয় শতযোজন দূরস্থিত সমুদ্রে গিয় পড়িলাম। তৎকালে মহাবীর রাম তাসকে একেবারে প্রাণে মারিবেল এরূপ ইচ্ছ না করায়, কথঞ্চিং রক্ষা পাইলাম বটে কিন্তু তাহার শরবেগে রণস্থল হইতে নিরস্ত ও মূচ্ছিত হইয় গভীর সাগর জলে পতিত হইয়াছিলাম । বৎস ! বহুক্ষণ পরে সংজ্ঞালাভ করিয়া লঙ্কাপুরীতে প্রতিগমন করি । এইরূপে আমি কোনরূপে তাহার হস্ত হইতে পরিত্রণ পাইলাম কিন্তু তিনি বয়সে বালক, অস্ত্রবিদ্যায় তাদৃশ দক্ষ না হইলেও আমার অন্যান্য সহচরদিগকে অক্লেশে বিনাশ করিয়াছিলেন । এই জন্য আমি তোমাকে নিবারণ করি, তুমি তাহার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইও না। তাহার প্রতি বৈরাচরণ করিলে অচিরকালের মধ্যেই ঘোর বিপদে পড়িয়া প্রাণ হীরাইতে হইবে । এক্ষণে যাহার মনের সুখে ক্রীড়া করিতেছে,—সমাজ ও উৎসবদি দর্শনে পরম প্রীতি লাভ