পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সর্গ। سیاسی-CC حبسته পরদিন সূর্য্যেদয় কালে রাম সমুদায় মুনিগণকে সম্ভাষণ করিয়া সীতা ও লক্ষণের সহিত বন-প্রবেশ করিলেন । দেখিলেন, ঐ বন লিবিধ মৃগ দ্বারা সমাকীর্ণ। তথায় ব্যাত্র ও ভল্লুক সমুদায় চতুদিকে বিচরণ করিতেছে । বৃক্ষ, লতা ও গুল্ম সকল ছিন্ন ভিন্ন হইয়। রহিয়াছে, জলাশয় সমস্ত দশাপন্ন, বিহঙ্গমগণ নীরব ; কেবল মধ্যে মধ্যে বিল্লীরব উত্থিত হইতেছে । তাহারা সেই ঘোর অরণ্যে গিরিশৃঙ্গের স্যায় দীর্ঘাকার এক ভীষণ রাক্ষস বিকট শব্দ করিতেছে দেখিতে পাইলেন । উহার চক্ষু কোটরান্তর্গত, মুখভাগ অতি বিস্তৃত ও বিকট, উদর বিকৃত, শরীর কুৎসিত ও নিম্নোক্সত, ঘোর দর্শন, বসান্দ্র রুধিরাক্ত ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম উহার পরিধান । তিনটী সিংহ, চারিট ব্যাঘ্ৰ, ছুইটী বৃক, দশটী হরিণ এবং প্রকাণ্ড দশন বসবাহী বিশাল একটা হস্তিমুণ্ড লৌহ শূলে বিদ্ধ করিয়া কৃতান্তের ন্যায় সৰ্ব্ব ভূতের ভয়ঙ্কর মুখৰ্যাদানপূর্বক ঘোররৰে বিকট চীৎকার করিতেছে । সে, রাম লক্ষণ ও জনকতনয়! সীতাকে দেখিয়া ভীষণ শব্দে পৃথিবীকে কম্পিত করিয়াই যেন কালান্তক যমের স্যায় মহাক্রোধে ধাবিত হইল । এবং ইহঁদের মধ্য হইতে সীতাকে ক্রেীড়ে লইয়া কিঞ্চিৎ অপসরণ পুৰ্ব্বক কহিল ;–ওরে ক্ষীণ জীবিল্‌ ! তোর দুইজন কে ? তোদের মস্তকে জটা, পরিধান চরবাস, হস্তে শরাসন লইয়া প্রমদার সহিত এই দুর্গম দণ্ডকারণ্যে আসিয়াছিস্ ! তোর তপস্বী ত