পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চচয়ারিংশ সৰ্গ । এদিকে জানকী রামের আর্তস্বর শুনিয়া লক্ষণকে কহিলেন,—লক্ষণ ! যাও, জান,আর্য্যপুত্রের কি দুর্ঘটনা ঘটিয়াছে । আমি আর্য্যপুত্রের ভীষণ অাৰ্ত্তম্বর শুনিলাম, আমার প্রাণ আকুল হইয়া উঠিয়াছে, মন চঞ্চল হইয়াছে। তিনি অরণ্যে কাতর হইয়৷ ক্ৰন্দন করিতেছেন, তুমি শীঘ্ৰ যাও, শরণপ্রার্থী ভ্রাতাকে রক্ষা কর । সিংহসমাক্রান্ত বৃষের ন্যায় তিনি রাক্ষসদিগের আয়ত্ত হইয়া আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছেন । লক্ষণ এইরূপ অভিহিত হইলেও ভ্রাতার আদেশ স্মরণ করিয়া গমন করিতে কিছুতেই সম্মত হইলেন না। তখন জানকী নিতান্ত ক্ষুভিত হইয়া লক্ষণকে কহিলেন,—লক্ষণ । তুমিও একজন তাহার মিত্ররূপে শত্রু হইয়া আসিয়াছ ! তুমি যখন এই অবস্থায় ভ্রাতার সন্নিধানে যাইতেছ না, তখন তুমি আমার জন্য র্তাহার মৃত্যু কামনা কর । আমার নিশ্চয়ই বোধ হইতেছে, তুমি কেবল আমার প্রাপ্তির তাশয়ে লোভ বশত র্তাহার নিকট যাইতেছ না । তাহার বিপদূই তোমার প্রিয়, তাহার উপর তোমার স্নেহমাত্র নাই। সেই জন্যই তুমি তাহাকে না দেখিয়া ও বিশ্বস্তচিত্তে রহিয়াছ । তুমি যাহাকে প্রধান আশ্রয় করিয়া এই স্থানে আসিয়াছ, তাহার প্রাণ সঙ্কট উপস্থিত হইলে আমার এখানে বঁচিয়া থাকায় ফল কি ? नृ জানকী চকিত মৃগবধূর ন্যায় বাষ্পাকুল লোচনে শোক