পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৫৮

একপঞ্চাশ সৰ্গ । এই কথা শুনিয়া সুবর্ণ কুণ্ডলধারী রাক্ষসরাজ রাবণ ক্ৰোধর ত্ত লোচনে পতগরাজকে মহাবেগে আক্রমণ করিল। তখন নভোমণ্ডলে বায়ুচালিত উভয় মেনের ন্যায় মহাসমরে দুই বীরে তুমুল যুদ্ধ হইতে লাগিল । তৎকালে উভয়ের অদ্ভুত যুদ্ধ দর্শনে বোধ হইল, যেন পক্ষধারী দুইটা মাল্যবান পৰ্ব্বত সমরঙ্গনে অবতীর্ণ হইয়ছে । রাবণ মহাবল জটায়ুকে লক্ষ্য করিয়া নলীক, নারীচ ও তীক্ষা গ্র বিকণি অস্ত্র বর্ষণ করিতে আরম্ভ করিল। পতগরাজ জটায়ু ঐ সমস্ত রাবণক্ষিপ্ত অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ তনয় সে সহ্য করিলেন এবং প্রখর নখ ও চরণদ্বারা ত{হার গাত্র সমুদয় ক্ষ ত বিক্ষত করিতে লাগিলেন । অনন্তর রাবণ ক্রোধ পরবশ হইয়া শত্রুর বিনাশ বাসনায় যমদণ্ড সদৃশ অতি ভাষণ দশটা বাণ গ্রহণ করিয়া তৎসমুদায় মহাপাৰ্য্য বাণ আকৰ্ণ তাকর্ষণ পুপূর্বক মহাবেগে নিক্ষেপ ও উহার শরীর বিদ্ধ করিল । তৎকালে জানকী সজল নয়নে রক্ষিস রথে অপস্থান করিতেছিলেন, তদর্শনে ঐ সমুদায় বাণ গণন না করির রক্ষসের দিকে ধাবমান হইলেন । এবং তােহর মণি মুক্ত বিভূমিত শর কৰ্ম্মক চরণ প্রহারে ভগ্ন করিয়া ফেণিলেন । অনন্তর রাবণ ক্রোধে মূচ্ছিত প্রায় হইয়া অন্য এক ধনু গ্রহণ পূর্বক অনবরত শরবর্ষণ করিতে প্রবৃত্ত হইল। তখন পতগরাজ জটায়ু ঐ সমস্ত শরে পরিব্যাপ্ত হইয়া কুলায়