পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\) রামায়ণ । জবনামক রাক্ষসের পুত্র, অামার মাতার নাম শতহ্রদ। এই পৃথিবীতে সমস্ত রক্ষসেরা আমাকে বিরাধ নামে ডাকিয়া থাকে । আমি তপস্যাদ্ধার ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট কহিয়াছিলাম, তনি প্রসন্ন হইয়া অামায় বর দিয়াছেন যে, অস্ত্র দ্বার ছিন্ন ভিন্ন করিলেও কেহ আমাকে বধ করিতে পরিবেন। এক্ষণে তোরা এই প্রমদার অtশ পরিত্যাগ করিয়া শীঘ্র এ স্থান হইতে পলায়ন কর, আমি তোদের প্রাণে মারিব না। তখন রাম ক্রোধ রক্তলোচনে পাপাত্মা রক্ষিসকে কহিলেন ;—রে ক্ষুদ্র তুই অতি নীচ, তোরে ধিক্‌ ! তুই আপনি আপনার মৃত্যু অম্বেষণ করিতেছিস, থাক, তুই বাচিয়। থাকিতে আর আমার হাতে তোর মুক্তি নাই । এই কথা বলিয়। তিনি তৎক্ষণাৎ শরাসনে জ্যারোপণ পূর্বক সাতটা স্বশাণিত শর সন্ধান করিয়। রক্ষসের প্রতি নিক্ষেপ করিলেন । সেই সুবর্ণ পুস্থ শরনিকর পাবকের ন্যায় প্রজ্বলিত হইয়। বায়ুবেগে বিরাধের দেহ ভেদপূর্বক শোণিতাক্ত কলেবরে ভূতলে পতিত হইল। তখন সে জানকীকে রাখিয় মহাক্রোধে শূল উত্তোলন পূর্বক রাম লক্ষণের দিকে ধাবিত হইল। যখন সে ভীষণ শব্দ করিতে করিতে শক্ৰধ্বজ তুল্য শূল হস্তে মুখ ব্যাদান করিয়৷ তাগিতে লাগিল, তখন তাহাকে সাক্ষাৎ যম বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । রাম ও লক্ষণ তাহার প্রতি অনবরত শর বর্ষণ করিতে লাগিলেন । তখন সে ভীষণ মূৰ্ত্তিতে দাড়াইয়া হাস্য পূর্বক ভূম্ভণ করিবামাত্র সমস্ত বাণ গাত্র হইতে স্থলিত হইয়া পড়িল । ব্রহ্মার বর প্রভাবে রাক্ষস বীণ প্রস্থারে ব্যথিত হইলেও প্রাণ বিযুক্ত হইল না ।