পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । فناوالا রাক্ষস বাস করে, আমি ঐ সমস্ত রাক্ষসের অধীশ্বর । তন্মধ্যে এক জনের জন্য এক সহস্ৰ করিয়া রাক্ষস আমাদেরই কাৰ্য্য করিতে অগ্রসর হইয়া রহিয়াছে। অয়ি প্রিয়ে ! এই সমস্ত রাজ্য ও আমার জীবন তোমারই অধীন, তুমি আমার প্রাণ অপেক্ষাও প্রিয় । আমার এই অন্তঃপুরে বহুসংখ্যক উত্তমোত্তম রমণী আছে, তুমি আমার ভাৰ্য্যা হইয়া ঐ সকলের অধীশ্বরী হও । আমি যাহা বলিতেছি, উহা তোমারই হিতকর, তুমি ইহা অন্যথা করিও না। আমি অনঙ্গতাপে নিতান্ত অভিতগু, আমার প্রতি প্রসন্ন হও । আমার লঙ্কাপুরী শত যোজন বিস্তৃত, উহা মহাসমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইন্দ্র প্রভৃতি সুরাহ্বরগণ ইহাকে পরাভব করিতে পারে না । কি দেবতা, কি যক্ষ, কি গন্ধৰ্ব্ব, কি উরগগণ ইহাদের মধ্যে যে কেহ আমার তুল্যবীৰ্য্য হইতে পারে, এমন কাহাকেও আমি ত্রিভুবনে দেখি না। রাম মানুষ, রাজ্যভ্রষ্ট দরিদ্র তাপস, অল্পায়ু ও অল্পতেজা, তাহাকে লইয়া তুমি কি করিবে ? অয়ি জানকি ! তুমি আমাকে ভজনা কর, আমিই তোমার উপযুক্ত স্বামী । বরাননে ! যৌবন অস্থায়ী, আমার সহিত বিহার কর । রামকে দেখিবার ইচ্ছা আর করিও না । রামের এখানে আসিবার মনে মনেও শক্তি নাই । আকাশস্থ মহাবেগ বায়ুকে পাশদ্বারা বন্ধন করা এবং প্রজ্বলিত অগ্নির নিৰ্ম্মল শিখা বস্ত্র দ্বারা ধারণ করা যেরূপ অসম্ভব, রামের এখানে আগমন করাও সেইরূপ অসম্ভব। যে ব্যক্তি আমার বাহু রক্ষিত তোমাকে লইয়া যাইতে পারে, এই ত্রিলোকের মধ্যে এরূপ কাহাকে ও দেখিতে পাই না । তুমি এই বিস্তীর্ণ লঙ্কারাজ্য