পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড । > シ○ নিক্ষিপ্ত মাত্রে তোর শরীর পাত করিবে । রাবণ ! যদি ও তুই দেবতা ও অম্বরের নিকট অবধ্য হইয়া থাকিস, কিন্তু রামের সহিত বৈর উৎপাদন করিয়া কখনই পরিত্রাণ পাইবি না। সেই মহাবীর রাম নিশ্চয়ই তোর প্রাণান্তকর, তোর জীবন এক্ষণে ঘূপগত পশুর ন্যায় দুলভ। রাক্ষস ! রাম যদি ক্রোধপ্রদীপ্ত নেত্রে তোর দিকে দৃষ্টিপাত করেন, তবে রুদ্রদেবের নেত্রবহ্নিতে কন্দপের ন্যায়ু তুষ্ট তৎক্ষণাৎ ভস্মসাং হইয়া যাইবি । যিনি তাকাশ হইতে চন্দ্রকে বিচু্যত ও বিলুপ্ত করিতে পারেন, মিনি সমুদ্রকে ও শুষ্ক করিতে সমর্থ, তিনিই সীতাকে এই স্থান হইতে উদ্ধার করিবেন। তুই হতায়ূ, হত শ্ৰী, ও নিববীৰ্য্য হইয়ুছিস্ ! তোর বুদ্ধি বিপৰ্য্যয় ঘটিয়ছে । তোরই নিমিত্ত লঙ্ক বিধবা হইবে । তুই যখন আমাকে পতির পাশ্ব হইতে বিযুক্ত করিয়া আনিয়াছিল, তখন তোর এই পাপকর্মের ফল কখন শুভ হইবে না । আমার মহাবল স্বামী লক্ষণের সহিত শূন্য দণ্ডকবনে নির্ভরে স্বীয় বীৰ্য্যে বাস করিতেছেন, তিনি সমরে শরবর্ষণ দ্বারা তোর বল, বীৰ্য্য, দৰ্প ও অহঙ্কার চূর্ণ করিবেন । যখন কালবশে জীবের মৃত্যুসময় উপস্থিত হয়, তখনই দেখিতে পাওয়া যায়, তাহদের কাৰ্য্যে বুদ্ধি বৈপরীত্য জন্মিয়াছে। রাক্ষসাধম ! আমার অবমাননা করিয়া তোর সেই কালই উপস্থিত, তুই এখন সবংশে ধ্বংস হইবি । ক্রক ভাণ্ডমণ্ডিত মন্ত্রপূত যজ্ঞমধ্যস্থ বেদি কখন চণ্ডালে স্পর্শ করিতে পারে না । আমি ধৰ্ম্মপরায়ণ রামের ধৰ্ম্মপত্নী পতিব্ৰতা, তুই পাপী রাফশাধম, তুই আমাকে স্পর্শ করিতেও পারিবি না। যে হংসী