পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ রামায়ণ । SSASASeeAAASAAAA তৎকালে তাহীকে বনমধ্যে উন্মত্ত ও ভ্রান্ত বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। অতঃপর তিনি বন্যজন্তুদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন,—মৃগ ! তুমি আমার মৃগনয়ন জানকীকে অবশ্য জান, তিনি কি তোমাদের মৃগীগণের সঙ্গে আছেন ? অহে গজরাজ ! আমার প্রিয়তমা জানকীর উরুস্থল তোমারই শুণ্ডের ন্যায়, বোধ হয় তিনি তোমার অপরিচিত নহেন, যদি দেখিয়া থাক, তবে বল। শাৰ্দ্দল । আমার চন্দ্রনিভাননা সীতাকে যদি তুমি দেখিয়া থাক, তবে বিশ্বস্তচিত্তে আমায় বল, তোমার ভয় নাই । অয়ি কমল লোচনে ! এই যে তোমাকে দেখিলাম, তুমি কি জন্য দৌড়িয় পলায়ন করিতেছ, বৃক্ষের অন্তরালে থাকিয় আমার কথার উত্তর দিতেছ না কেন ? দাড়া ও দাড়াও, আমার প্রতি তোমার কি দয়া নাই ? তুমি ত কখন আমার সঙ্গে পরিহাস কর নাই, কি জন্য আমায় উপেক্ষা করিতেছ ? অয়ি বরবণিনি | পীতবর্ণ কোঁশের বস্ত্র দ্বারাই তোমাকে চিনিতে পারিতেছি, তার তুমি যে পলাইয়। যাইতেছ, তাহীও দেখিতে পাইতেছি, যদি তামার প্রতি তোমার ভালবাস থাকে, তবে দাড়াও । না না, ইনি আমার সেই চারুহাসিনী সীত৷ নহেন, মাংসাশী রাক্ষসেরা আমার অসমক্ষে তাহার অঙ্গ সমুদায় বিভাগ করিয়৷ ভোজন করিয়াছে। নচেৎ আমি এইরূপ কষ্ট পাইতেছি, এ অবস্থায় কখনই আমায় উপেক্ষ করিতে পারিতেন না। হা ! তাহার কি সুন্দর দস্ত, নাসিক। কেমন সুদৃশ্ব, ওষ্ঠই বা কেমন মনোহর, তাহার কুণ্ডলশোভিত পূর্ণচন্দ্রসদৃশ মুখখনি যখন রক্ষসের গ্রাস