পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম শোকভরে সমাকুল, বিষম মোহে বিমোহিত, ক্ষীণ, ও অচেতনপ্রায় হইয়া অনাথের স্যায় বিলাপ করিতে লাগিলেন । তদর্শনে লক্ষণ র্তাহার পাদ গ্রহণ ও ভার্শ্বাস প্রদান পূর্বক কহিতে লাগিলেন ;—আর্য্য ! আমি ভরতের মুখে শুনিয়াছি, আমাদের পিতা মহীপতি দশরথ ঘোর তপস্য। ও বহুবিধ যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান দ্বারা দেবগণের অমৃতলাভের ন্যায় আপনাকে পাইয়াছিলেন । অতঃপর আপনার গুণে বদ্ধ হইয়া আপনারই বিরহে দেবত্ব লাভ করিয়াছেন । এক্ষণে আপনিও যদি উপস্থিত দুঃখ দেখিয়া কাতর হইয়া পড়েন, তাহা হইলে কোন হীনবীৰ্য্য ইতরলোক সহিষ্ণুতা অবলম্বন করিবে ? আপনি আশ্বস্ত হউন । হে নরশ্রেষ্ঠ ! আপদ কাহার না হইয়া থাকে ? উহা যেমন তাগ্নির স্যায় স্পশ করে, তেমনই ক্ষণকালের মধ্যেই তাপস্থত হইয়া যায়, ইহু। যে প্রাণিমাত্রেরই স্বভাবসিদ্ধ ঘটনা, তাহাতে সংশয় মাত্র न झे । দেখুন, নহুস্তনয় মহারাজ যমাতি ইন্দ্র সীলোক্যলান্ত করিয়াছিলেন, কিন্তু অচিরে তঁহাকে অধঃপতিত হইয়ে হইল । অামাদের পিতৃদেবের পুরোহিত মহর্মি বশিষ্ঠ একদিনে শত পুত্র লাভ করিয়াছিলেন, তালার একদিনেই হারাইলেন । যিনি সমস্ত জগতের মত সর্বলোকের পূজনীয়, সেই পৃথিবীকেও সময়ে সময়ে কম্পিত হইতে দেখা যায়। র্যtহার জগতের ধৰ্ম্মপ্রবর্তক, সকলের নেত্র