পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তষষ্টিতম সর্গ। সারগ্রাহী রাম অগ্রজ হইলে ও লক্ষণের স্বভাষিত বাক্য যুক্তিযুক্ত ও সারবান মনে করিয়া স্বীকার করিলেন । তখন তিনি স্বীয় প্রদীপ্তরোষ সংবরণ করিয়া বিচিত্র ধনুর উপর দেহভার অর্পণ করিয়া লক্ষণকে কহিলেন,—লক্ষণ ! এখন আমরা কি করিব, কোথায় বা যাইব, কি উপায়েই বা এইস্থানে জানকীর দর্শন পাইব, তাহা তুমি চিন্তা কর । অনন্তর লক্ষণ শোকাৰ্ত্ত রামকে কহিলেন,—আর্য্য ! আপনি এই জনস্থানই অন্বেষণ করুন । ইহা বহু রাক্ষস দ্বারা পরিব্যাপ্ত, বিবিধ তরুলতা দ্বারা আচ্ছন্ন, ইহাতে দুর্গম গিরি, বিদীর্ণ পাষাণ এবং বিবিধ মৃগসমাকুল ভীষণ গুহা অনেক বিদ্যমান আছে । এই স্থানে কিন্নরদিগের আবাসস্থান ও গন্ধৰ্ব্বদিগের ভবনসকলও দৃষ্ট হইতেছে। এক্ষণে এইস্থানই অন্বেষণ করি । বায়ুবেগ প্রভাবে ভূধর সকল যেমন কম্পিত হয় না, তদ্রুপ আপনার মত বুদ্ধিমান মহাত্মার আপৎকালে কদাচ চঞ্চল হন না । রাম এইরূপে অভিহিত হইয়া লক্ষণের সহিত সমস্ত বন পৰ্য্যটন করিতে লাগিলেন। এই সময়ে একস্থানে গিরিশৃঙ্গাকার মহাকায় পক্ষিশ্রেষ্ঠ জটায়ু রুধিরলিপ্তদেহে ভূতলে পতিত রহিয়াছেন দেখিতে পাইলেন । তদর্শনে ক্রোধে অধীর হইয়া রাম ধনুতে ক্ষুরধার ভয়ঙ্কর শর সন্ধান করিয়া লক্ষণকে কহিলেন ;—বৎস ! এই দুরাত্মাই আমার জানকীকে ভক্ষণ করিয়াছে, তাহাতে আর সন্দেহ নাই ।