পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চসপ্ততিতম সর্গ। শবরী স্বীয় তপোবলে স্বৰ্গারোহণ করিলে, রাম ভ্ৰাত৷ লক্ষণের সহিত মহর্ষিদিগের প্রভাব চিন্তা করিতে লাগিলেন । অনন্তর হিতকারী একাগ্ৰচিভ লক্ষণকে কহিলেন,—বৎস ! বিশুদ্ধস্বভাব মহর্ষিদিগের আশ্রমে বহু আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দর্শন করিলাম। এই আশ্রমে বিশ্বস্ত মৃগ ও ব্যাঘ্র রহিয়াছে, বিবিধ পক্ষী কোলাহল করিতেছে, এ সমস্তও স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিলাম। সপ্ত সমুন্দ্রের তীৰ্থজলে স্নান ও পিতৃগণের যথাবিধি তপণ করিলাম । লক্ষণ ! এই সকল কাৰ্য্যদ্বারা আমাদের যে অশুভ নাশ ও কল্যাণ উৎপন্ন হইল, সম্প্রতি তদ্বারা আমার মনও প্রীত হইয়াছে। বোধ হইতেছে, এখন আমাদের মঙ্গল হইবে । এস, আমরা অতঃপর পম্পীদর্শনে যাই । পম্পার অনতিদূরেই ঋষ্যমূক পৰ্ব্বত । তথায় সূৰ্য্যতনয় ধৰ্ম্মাত্মা সুগ্ৰীব বালীর ভয়ে চারিট বানরের সহিত নিরস্তুর বাস করিতেছেন । সেই বানরশ্রেষ্ঠ হগ্রীবকে দেখিবার জন্য আমার মন ত্বর করিতেছে । সীতার অনুসন্ধান কাৰ্য্য তঁহারই আয়ত্ত । তখন লক্ষণ কহিলেন,—আর্য্য ! আমারও মন ত্বর করিতেছে, চলুন, আমরা সত্বর সেই স্থানে প্রস্থান করি । অতঃপর মনুজপতি রাম ঐ আশ্রম হইতে নিক্ৰান্ত হুইয়া লক্ষণের সহিত পম্পার দিকে গমন করিতে লাগিলেন ।