পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড । 80: ঐ সমুদায় শোণিতবিন্দু পতিত দেখিয় সহসা ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন এবং এ কি ব্যাপার বলিয়। চিন্তা করিতে লাগিলেন । যে জুরাত্মা আমায় এই শোণিতষ্পর্শে দূষিত করিল, সেই দুৰ্ব্বত্ত নির্বোধ মূৰ্থ কে ? এই কথা বলিয়া আশ্রম হইতে নির্গত হইয়া দেখিলেন, এক পৰ্ব্বতাকার মৃত মহিষ ভূতলে পতিত রহিয়াছে । তখন তিনি তপঃপ্রভাবে ইহা বানরের কার্য্য জানিতে পারিয়৷ এই বলিয়া অভিসম্পাত প্রদান করিলেন, যে বানর রুধিরপাতে আমার আশ্রয় এই তপোবনকে দূষিত করিয়াছে, সে কদাচ এখানে প্রবেশ করিতে পরিবে না । প্রবেশ করিলে তৎক্ষণাৎ মরিবে । অস্থর-দেহ নিক্ষেপ করিয়া যে আমার আশ্রমস্থ বৃক্ষ সমুদায়কে ভগ্ন করিয়াছে, সেই নির্বোধ যদি আমার আশ্রমপদের চতুর্দিকে একযোজনের মধ্যেও আসে, তবে তদণ্ডেই তাহার মৃত্যু হইবে । আর তাহার যে সকল সহচর আমার এই বন আশ্রয় করিয়া আছে, তাহারাও এ স্থানে বাস করিতে পাইবে না। যথেচ্ছ চলিয়া যাউক । অতঃপর যদি কেহ থাকে, তবে তাহাদিগকে শাপ প্রদান করিব। তাহারা আমার পুত্রবৎ পালিত বনে পত্র, অঙ্কুর ও ফল মূল বিনাশ করিয়া আসিতেছে, অদ্য তাহার শেষ দিন, যদি তাহদের . কোন বানরকে কল্য দেখিতে পাই, তবে সে বহু সহস্র বর্ষ ধরিয়া পাষাণ হইয়া থাকিবে । 尊 তানন্তর বানরেরা মহর্ষির এই অভিসম্পাত শ্রবণ করিয়া বন হইতে চলিয় গেল। তখন বালী তাহাদিগকে নিকটে আসিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল,—হে মতঙ্গবনবাসী ৰানর