পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(*२ রামায়ণ । AMMAMA AMMMMAAAASASASS উভয়ের মূল বিনষ্ট করি, এই শঙ্কায় বিলক্ষণ শঙ্কিত হইয়াছিলাম। যদি অজ্ঞান বশতঃ বা চিত্তের চপলতা হেতু তুমি নিহত হইতে, তাহ হইলে আমার মূর্খতা ও বালকত্ব পৃথিবীর সৰ্ব্বত্র ঘোষিত হইত। এবং তোমাকে অভয় দান করিয়া বধ করিলে তজ্জন্য মহাপাতকগ্রস্তও হইতাম । বিশেষতঃ এই মহাবনে আমি, লক্ষণ ও বরবর্ণিনী সীতা, আমাদের উদ্ধার তোমারই অধীন ; এই বনে তুমিই আমাদের আশ্রয় । অতএব তুমি পুনরায় যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও, কিছুমাত্র শঙ্কা করিও না । তুমি পুনরায় যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলে তদণ্ডেই দেখিতে পাইবে, বালী সমরে নিহত ও ভূতলে পতিত হইয়াছে । হে বানরেশ্বর ! তুমি যুদ্ধ কালে যাহাতে আমি তোমাকে চিনিতে পারি, সেইরূপ অভিজ্ঞ (চিত্ন ) ধারণ কর। লক্ষণ ! তুমি এই প্রফুল্ল গজপুষ্পী নামক লতা উৎপাটন করিয়া সুগ্ৰীবের কণ্ঠে বাধিয়া দাও। অতঃপর লক্ষণ গিরিতটোৎপন্ন কুসুমাবৃত লতা উত্তোলন করিয়া মহাত্মা সুগ্ৰীবের কণ্ঠে পরাইয়া দিলেন। তৎকালে শ্ৰীমান সুগ্ৰীব কণ্ঠশিক্ত সেই লতা দ্বারা বলাকাশ্রেণী যুক্ত সান্ধ্য মেঘের স্যায় শোভা পাইতে লাগিলেন । এবং রামের বাক্যানুসারে সমাহিত চিত্তে কিষ্কিন্ধ্য অভিমুখে পুনরায় গমন করিলেন।