পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড । &సి লাগিল। তাছার দেহকান্তি সুবর্ণের ন্যায় ছিল কিন্তু এক্ষণে অতিশয় ক্রোধ বশতঃ লোহিত বর্ণ ধারণ করিল। ভঁাহাকে । রাহুগ্রস্ত সূর্য্যের ন্যায় প্রভাশূন্য বোধ হইতে লাগিল । তাহার দন্তগুলি অতি ভীষণ এবং চক্ষু দুইটী ক্রোধ বশতঃ প্রজ্বলিত অগ্নির ন্যায় হইয়াছে। যে হ্রদে মৃণাল আছে কিন্তু পদ্মশ্ৰী নাই, তাহাকে সেইরূপ বোধ হইতে লাগিল । সেই অসহ শবদ শ্রবণ করিয়া তিনি বহির্গত হইলেন । র্তাহীর দ্রুতপাদ বিক্ষেপে পৃথিবী যেন বিদীর্ণ হইতে লাগিল। এই সময়ে তারা ভঁtহাকে আলিঙ্গন ও স্নেহভরে প্রীতিপ্রদর্শন করিয়া ভীত ও চঞ্চলচিত্তে হিতকর বাক্য বলিতে লাগিলেন । হে বীর ! লোকে প্রভাতে শয্যা হইতে গাত্রোথনি পূর্বক যেরূপ উপভুক্ত মাল্য পরিত্যাগ করিয়া থাকে, তুমিও সেইরূপ নদীবেগের স্যায় আগত এই ক্রোধ এখনই দূর কর । কল্য প্রভাতে সুগ্ৰীবের সহিত যুদ্ধ করিও । যদিও শত্রুপক্ষ তোমা অপেক্ষা প্রবল নহে, যদিও তোমার কোন অংশে লঘুতা নাই, তথাপি তোমার সহসা গমন আমার প্রীতিকর হইতেছে না । কি কারণে তোমাকে নিবারণ করিতেছি, শ্রবণ কর । পূর্বে স্থগ্রীব আসিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া তোমাকে যুদ্ধের নিমিত্ত আহবান করিয়াছিল । তুমি নিক্ৰান্ত হইয় তাহাকে নিরস্ত করিয়াছিলে । সেও তোমার প্রহারে জর্জরিত হইয়া পলায়ন করে । যে একবার তোমার নিকট পরাজিত ও আঘাতপ্রাপ্ত হুইয়া পলায়ন করিয়াছিল, সেই পুনরায় আসিয়া যুদ্ধে তোমায় আহ্বান করিতেছে, ইহাই আমার আশঙ্কার কারণ । তাহার যেরূপ দৰ্প, যেরূপ উৎসাহ, ఏ