পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ রামায়ণ । তুমি মীমান, বৃদ্ধাচার্য্যদিগের নিকট বংশ পরম্পরাগত কুলাচার কখন শিক্ষা কর নাই, কেবল বানর সুলভ চপলত। নিবন্ধনই আমাকে এইরূপ কলিতে সাহসী হইয়াছ । দেখ, পৰ্ব্বত কাননের সহিত বর্তমান এই সমস্ত পৃথিবী ইক্ষুকু বংশীয়দিগের অধিকৃত । ঐ বংশীয় ধৰ্ম্মত্বা সত্যবাদী সরল স্বভাব ভরত এক্ষণে পৃথিবীর ঈশ্বর। তিনিই এখন মৃগ, পক্ষী ও মনুষ্যদিগের নিগ্রহ ও অনুগ্রহে সম্পূর্ণ সমর্থ। তিনিই এখন ধৰ্ম্ম, কাম, অর্থতত্ত্বানুসারে পৃথিবী শাসন করিতেছেন । র্ত হাতে নীতি, লিনয় ও সত্যও অবস্থান করিতেছে । তিনি দেশ ও কাল বিষয়ে ও বিলক্ষণ তাভিজ্ঞ । যতদূর দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে র্তাহার বিক্রম ও যথেষ্ট আছে । আমি ও অন্যান্য ধাৰ্ম্মিক নরপতির তাহীর ধৰ্ম্মমুগত আদেশ অনুসারে ধৰ্ম্ম বিস্তারে অভিলাষী হইয়া সমস্ত পৃথিবী বিচরণ করিতেছি। সেই ধৰ্ম্মবৎসল নৃপতিশ্রেষ্ঠ ভরত সমস্ত পৃথিবী যখন শাসন করিতেছেন, তখন কোন ব্যক্তি ধৰ্ম্ম বিরূদ্ধ কাৰ্য্য করিতে পারে ? সেই আমরাও ভরতের আদেশানুসারে স্বধৰ্ম্মে অবস্থান করিয়া ধৰ্ম্মভ্রষ্ট ব্যক্তিকে যথাবিধি দণ্ড দিয়া থাকি। তুমি সেই ধৰ্ম্মপথ ভ্রন্ট হইয়া অতি গৰ্হিত কাৰ্য্যই করিয়াছ । তুমি কাম পরতন্ত্র হইয়া একেবারে রাজধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়াছ। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, পিতা ও যিনি বিদ্যা দান করেন, ধৰ্ম্ম পথবর্তী লোকদিগের এই তিন জন পিতৃপদ বাচ্য। কনিষ্ঠ ভ্রাতা, পুত্র ও গুণবান শিষ্য, এই তিন জনকে পুত্র বলিয়া মনে কর। কর্তৰ্য । এইরূপ ব্যবস্থার ধৰ্ম্মই মূল কারণ }