পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড । שאף সাধুদিগের ধৰ্ম্ম অতি সূক্ষ পদার্থ, উহা সকলের বিজ্ঞেয় নহে। সর্বপ্রাণীর হৃদৃগত আত্মাই তঁহার শুভাশুভ জানিতেছেন । তুমি চপল, তোমার অন্যান্য সহচরেরাও অস্থির ও মুখ, স্থতরাং তাহদের সহিত মন্ত্ৰণ করিয়া কিরূপে ধৰ্ম্ম বুঝিতে পরিবে ? একজন জন্মান্ধ, সে কি তস্য জন্মান্ধকে পথ দেখাইতে পারে ? এই বাক্যের তাৎপৰ্য্য তোমাকে স্পষ্ট করিয়া বলিতেছি, তুমি কেবল ক্রোধপরবশ হইয়াই আমায় নিন্দ করি ও না । আমি যে জন্য তোমাকে নিহত করিয়াছি তাহা বলিতেছি, শ্রবণ কয় । তুমি সনাতন ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ভ্ৰাতৃ জায়াতে আসক্ত হইয়াছ। মহাত্মা স্থগ্রীব এখনও বঁচি আছেন, তাহার ভাৰ্য্য। রুম শাস্ত্রানুসারে তোমার পুত্রবধূ, তাহাকে কার্যতঃ গ্রহণ করাতে তোমার পাপ অশিয়াছে । তুমি ধৰ্ম্মভ্রষ্ট ও ৰথfচ্ছাচারী, এই জম্বাই তোমাকে এই দণ্ড প্রদান করিলাম । ছে বানর যুথপতে ! যে ব্যক্তি লোকবিরুদ্ধাচারী এবং লোকমর্য্যাদার অতিক্রমকারী, এই বধদণ্ড ব্যতীত তাহার আর অন্যবিধ নিগ্রহ দেখিতে পাই না । আমি সৎকুলোৎপন্ন ক্ষত্রিয় ( দণ্ডাধিকারী ) । তোমার এ পাপ ক্ষম করিতে পরিলাম না । যে ব্যক্তি কামবশতঃ ঔরসী কন্যা, ভগিনী ও অনুজ ভ্ৰাতৃ ভাৰ্য্যাতে আসক্ত হয়, তাহার প্রাণ দণ্ডই শাস্ত্রে অভিহিত হইয়াছে । এক্ষণে ভরত পৃথিবীশ্বর, আমরা তাহার নিদেশবৰ্ত্তী হইয়া কিরূপে তোমার মত ধৰ্ম্মপথভ্রষ্ট ব্যক্তিকে উপেক্ষা করিব ? প্রজ্ঞ ভরত, ধৰ্ম্মানুসারে পৃথিবী পালন করিতেছেন, এবং যথেচ্ছাচারাদিগকে নিগ্ৰহ