পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । * بهلا لا কুম্ভ দ্বারা অভিষিক্ত হইয়া স্বীয় অপুর্বশোভা প্রদর্শন করিতেছে । আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন, গ্রহনক্ষত্রের , জার দর্শন নাই, দিক সকল অন্ধকারে লিপ্ত, উহাদের আর প্রকাশ নাই । পৃথিবী নব জলধারায় তৃপ্ত হইয়াছে। অতিবৃহৎ পৰ্ব্বতশৃঙ্গ জলধারায় বিধৌত হইয়া নিরতিশয় শোভ ধারণ করিয়াছে, প্রবল জলপ্রপাত মুক্তামালার স্যায় লম্বমান হইয়া শোভা পাইতেছে। নির্বর সমুদায় বেগে প্রস্তর খণ্ডে স্থলিত হইয়া ছিন্ন মুক্তাহারের ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে । চতুর্দিকে বারিধারা পতিত হইতেছে, বোধ হইতেছে, যেন স্বৰ্গ-রমণীগণের ক্রীড়াবশ্বে ছিন্ন হইয়া মুক্তহার পতিত হইতেছে। বিহঙ্গগণ বৃক্ষে লীন, পঙ্কজদল নিমীলিত, মালতী বিকশিত ও সূর্য্য অস্তমিত বলিয়া বোধ হইতেছে । রাজস্যগণের যুদ্ধ যাত্র নিবৃত্ত, সেনাগণ প্রস্থান করিলেও গমন পথে অবস্থান করিতেছে, বৃষ্টি, শক্রতা ও পথ উভয়কেই তুল্যরূপে নিরোধ করিয়া রাখিয়াছে। সাম বেদাধ্যায়ী ব্রাহ্মণের যে ভাদ্র মাসের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, তাহদের এই সেই অধ্যয়ন কাল উপস্থিত । কোশলাধিপতি ভরত এই সময়ে গৃহসংস্কার সমাপন করিয়া সাংসারিক দ্রব্য সংগ্রহপূর্বক এই আষাঢ়ী পৌর্ণমালীতে কোন একটা ব্রত সঙ্কল্প করিতেছেন। সরযু বর্ষাজলে পূর্ণ হইয়াছে, উহার বেগ বৰ্দ্ধিত হইতেছে, বোধ হয়, অযোধ্য আমাকে বন হইতে প্রতিনিবৃত্ত মনে করিয়াই যেন আনন্দধ্বনি করিতেছেন । বর্ষ এখন অত্যন্ত প্রবল, এ সময়ে সুগ্ৰীব সুখভোগ করিতেছেন। তাহার