কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড । \, ১২৭ ৷ হাদের যুদ্ধ যাত্রার সময় উপস্থিত হইয়াছে। শরৎ প্রভাব ষে সকল বৃষের রূপ ও শোভা বৰ্দ্ধিত হইয়াছে, তাহার মদমত্ত হৃষ্ট ও ধুলি লুষ্ঠিত হইয়া যুদ্ধ লোভে গে৷ সকলের মধ্যে শব্দ করিতেছে । করিণী বন মধ্যে মন্মথাবেশে প্রগাঢ় অমুরাগের সহিত মদমত্ত মাতঙ্গের অনুসরণ করিতেছে। ময়ুরগণ আত্মভূষণস্বরূপ পুচ্ছবিস্তার পরিত্যাগ করিয়! নদীতীরে আসিয়াছিল, সেখানে সারসগণ কর্তৃক যেন তিরস্কৃত হইয়া দীনমনে গমন করিতেছে । মদম্রাৰী গজেন্দ্রগণ ভীষণ শব্দে কারণ্ডব ও চক্রপাকৃগণকে ত্ৰাপিত করিয়া প্রফুল্ল-কমলভূষিত সরোবর আলোড়িত করিয়া জল পান করিতেছে । পঙ্কবিরহিত বালুকাকীর্ণ স্বচ্ছসলিল গোকুলসেবিত, সারস রব নিনাদিত নদী সকলে হংসগণ হৃষ্টচিত্তে পতিত হইতেছে । এক্ষণে নদী, মেঘ, প্রশ্রবণ, উদক্, প্রবৃদ্ধবায়ু, ময়ূর, উৎসব- • হীনভেক, ইহাদের রব আর শুনিতে পাওয়া যাহতেছে না } বিবিধবর্ণ ঘোরবিষ সৰ্পসকল বর্ষারম্ভে আহারাভাবে মৃতপ্রায় হইয়া গৰ্ত্তমধ্যে নিবিষ্ট ছিল, উহার এক্ষণে ক্ষুধার্ত হইয়t
বহুদিনের পর নির্গত হইতেছে। লক্ষণ ! দেখ, কি আশ্চৰ্য্য ! অনুরাগবতী নারী যেমন প্রিয় করম্পর্শে হর্ষবশতঃ ঈষৎ নিমৗলিত নেত্রে বসনগ্রন্থি স্থলিত করে, সেইরূপ রক্তবর্ণ সন্ধ্যা নবেদিত চন্দ্রকরস্পর্শে তারকাগণকে অল্প অল্প বিকসিত করিয়া স্বয়ং বস্ত্রস্বরূপ আকাশ পরিত্যাগ করিতেছে । শশাঙ্ক যাহার কুন্দর মুখমণ্ডল, তারাগণ যাহার উন্মলিত চারুনেত্র, জ্যোৎস্ন! যাহার গাত্রাবরণ বসন, সেই রজনী শুক্লবসনাবৃত কামিনীর ন্যায় শোভা পাইতেছে। মনোহর "... t !!! | နွဲ့ီ
