পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ ৷ রামায়ণ" সারদশ্রেণী স্থপঙ্কধান্য আহার করিয়া মনের আনঙ্গে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া মহাবেগে বায়ু কম্পিত মালার স্যায় আকাশ পথে যাইতেছে । দেখ দেখ, এই মহাস্তুদের সুনীল সলিলে একটা মাত্র হংস নিত্রিত অসংখ্য কুমুদ প্রস্ফুটিত হইয়া কেমন অপূর্ব শোভাধারণ করিয়াছে, বোধ হইতেছে, যেন রাত্রিকালে মেঘনিন্মুক্ত স্থনীল আকাশে তারাগণাকীর্ণ পূর্ণচন্দ্র বিরাজ করিতেছে। চতুর্দিকে চঞ্চল হংসমালারূপ মেখলা দ্বারা পরিবৃত প্রফুল্ল পদ্ম ও উৎপল রূপ মাল} স্বশোভিত বাপীও অদ্য বিবিধভূষণভূষিত বরাঙ্গনার স্যায় শোভা পাইতেছে। প্রভাতকালোৎপন্ন বায়ু সঞ্জাত গহবরশব্দ ও বৃষের রব পরস্পর মিলিত হইয়। বেণু স্বররূপ বাদ্যঘোষে যেন বদ্ধিত করিতেছে। নদীতটে কাশকুসুম বিকসিত হইয়াছে, উহা মন্দমারুতহিল্লোলে কম্পিত হুইয়া ধৌত নিৰ্ম্মল পট্টবস্ত্রের স্তায় লক্ষিত হইতেছে । ভ্রমরগণ বনে মধুপানমত্ত পদ্ধাপরাগে গৌরবর্ণ হইয়া সন্ত্রীক হৃষ্টমনে প্রচণ্ড বেগে পবনের অনুসরণ করিতেছে । জল স্বচ্ছ, কুসুম কিকসিত, ক্রৌঞ্চের রব, ধান্য স্থপক, বায়ু মৃদু, নিৰ্ম্মল চন্দ্র, এই সমুদায় বর্ষাকাল অতীত হইয়াছে, বলিয়া দিতেছে । নদীরূপ বধূ মৎস্যরূপ মেখলা ধারণ করিয়া প্রভাতকালে কাস্তোপর্ভুক্ত অলসগামিনী কামিনীর ন্যায় ধীরে ধীরে গমন করিতেছে। নদী মুখ সমুদায় দুকুলবৎ কাশকুসুমে আচ্ছন্ন চক্ৰবাক ও শৈবালে আকীর্ণ হইয়া পত্ররচনাও গোরোচনায় অলঙ্কত বধুমুখের স্যায় শোভা ধারণ করিয়াছে। দেখ, অঙ্ক প্রফুল্ল কুষম ধনু দ্বারা চিত্রিত ও প্রহৃষ্ট অলিকুল মুখরিত