পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, কিষ্কিন্ধ্যা-কাণ্ড ১৩৭ أصابع لحيتحطة جيبوتيف غنية করিতেছি না, তবে মিত্র অকারণ ক্রোধ করিয়াছেন,ইছাই আমার ভয়ের বিষয় । অনায়াগেই মিত্রত হইতে পারে। কিন্তু উহ! রক্ষা করাই দুঃসাধ্য। চিত্তের চঞ্চলত নিবন্ধন অন্ন কারণেই প্রীতির বিচ্ছেদ ঘটিয়া থাকে। এই জন্যই আমি ভীত হইতেছি । মহাত্ম রাম আমার যথেষ্ট উপকার করিয়াছেন, কিন্তু আমি তাহার কোন প্রত্যুপকার করিতে পারি নাই। .* 喃 o তখন বানর-মন্ত্রীদিগের শ্রেষ্ঠ হনুমান যুক্তিযুক্ত বাক্যে । কহিলেন,—রজন্‌ ! কৃতোপকার বিস্মৃত না হওয়া তোমার পক্ষে বিস্ময়কর নহে। বীর রাম লোকাপবাদ ভয় পরিত্যাগ করিয়া ইন্দ্র তুল্য দুৰ্জ্জয় বালীকে তোমার প্রীতি সাধনাৰ্থ বধ করিয়াছেন । এক্ষণে র্তাহার প্রণয়কোপ উপস্থিত, তাহাতে আর সন্দেহ মাত্র নাই। সেই জন্যই তিনি শ্ৰীমান লক্ষণকে প্রেরণ করিয়াছেন । দেখ, এখন শরৎকাল উপস্থিত ; সপ্তপর্ণ প্রফুল্ল হইয়াছে, গ্রহনক্ষত্র সকল নিৰ্ম্মল, আকাশে আর মেঘের সঞ্চার নাই, সমস্ত দিক পরিষ্কৃত, নদী সরোবরও স্বচ্ছ সলিলা । তুমি মদভরে মত্ত হইয়া ইহার কিছুই বুঝিতেছ না । ইহাই যে যুদ্ধেদেযাগের প্রকৃত সময় তাহা তুমি কিছুই বুঝিতেছ না। তুমি এ বিষয়ে নিতান্ত অমনোযোগী ইহা স্পষ্ট বুঝিয়৷ মহাবীর লক্ষণ এস্থানে উপস্থিত হইয়াছেন। রাম পত্নীবিরহে নিতান্ত কাতর, সেই কাতরতা নিবন্ধন যদি লক্ষণের মুখে কোন কঠোর বাক্যের প্রয়োগ করিয়া থাকেন, তাহ তোমার আবশ্ব সহ করা কর্তব্য । তুমি অপরাধী, তুমি