পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ রামায়ণ । মুনি ও র্তাহীকে অনুমতি প্রদান করিলেন । রাম তখন কাননের শোভা সম্প্রদর্শন করিতে করিতে যথা নির্দিষ্ট পথে গমন করিতে লাগিলেন। যাইতে যাইতে দেখিলেন,—নীবার, পনশ, শাল, বেতস, তিনিশ, নক্তমাল, মধুক, বিম্ব ও তিন্দুক প্রভৃতি বৃক্ষ সমুদায় লতাজালে জড়িত ও পুষ্পদ্বারা সুশোভিত হইয়া রহিয়াছে ; কোন স্থানে শত শত কাস্তারপাদপ হস্তিশুণ্ডদ্বারা মৰ্দ্দিত, বানরকুলে উপশোভিত, উন্মত্ত বিহগকূজনে মুখরিত হইতেছে । তদর্শনে রাজীবলোচন রাম সন্নিহিত বীর লক্ষণকে কহিলেন,—বৎস! এই স্থানের বৃক্ষ পত্র সকল অতি মস্বণ, মৃগ পক্ষিগণ শান্ত, ইহাতে মনে হয়, অনতিদূরেই মহর্ষির আশ্রম । যিনি কৰ্ম্মবলে এই জগতে অগস্ত্য নামে বিখ্যাত হইয়াছেন, তাহার ঐ পরিশ্রান্ত শ্রান্তিহর আশ্রম দেখিতে পাওয়া যাইতেছে । দেখ, এই স্থানের বনভাগ প্রভূত ধূমে আকুল হইয়াছে। চারমাল চতুৰ্দ্দিকে বিক্ষিপ্ত, মৃগযুথ প্রশান্ত ও বিহঙ্গমগণ মধুর রব করিতেছে। পুণ্যকৰ্ম্ম যিনি লোকহিতের নিমিত্ত কৃতান্তসম অস্থরকে বিনাশ করিয়া এই দক্ষিণ দিক্‌কে লোকের আশ্রয় স্থান করিয়া রাখিয়াছেন, তাহারই এই আশ্রম। র্তাহারই প্রভাবে এই দক্ষিণ দিক্‌কে রক্ষসেরা ভয়ে ভয়ে অবলোকন মাত্র করে, উপভোগ করিতে পারে না । যে দিন হইতে পুণ্যশীল মহর্ষি এই দিক্‌ আশ্রয় করিয়াছেন, সেই দিন অবধি নিশচরেরা নির্বৈর ও শান্তপ্রকৃতি হইয় আছে। অধিক কি, ক্রুরক রাক্ষসদিগের জন্য যে দক্ষিণ দিক একেবারে দুৰ্দ্ধৰ্ষ বলিয়া ত্রিভুবনে বিখ্যাত ছিল, এক্ষণে ভগবান অগস্ত্যের