পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ রামায়ণ । پتاسیمیایی خیابانی میان اعضای هیبهای ব্ৰহ্মার হস্ত হইতে বিক্রমপ্রকাশ দ্বারা ঝটিতি অমৃত হরণ করিতে পারি, অথবা লঙ্কাপুরী উৎপাটন করিয়া যাইব । অমিত প্রভাশালী হনুমান এই রূপে গর্জন করিতেছেন, দেখিয়৷ বানরগণ বিস্মিত এবং অপার আনন্দে মুগ্ধ হইয়া রহিল । অনন্তর প্লবগেশ্বর জাম্ববান জ্ঞাতিগণের শোকনাশন উহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া হৃষ্ট চিত্তে কহিলেন,—বৎস ! বীর ! তুমিই আমাদের এই ভীষণ শোক বিনাশ করিলে । এক্ষণে তোমার কল্যাণপ্রার্থী প্রধান প্রধান বালরগণ সমাহিত হইয় তোমার কার্য্যসিদ্ধির নিমিত্ত মঙ্গলাচরণ করিবেন । তুমি ঋষি ও গুরুগণের প্রসাদে এবং কপিবৃদ্ধদিগের আশীবর্বাদে মহাসাগর উত্তীর্ণ হও । যাবৎ তুমি প্রত্যাগমন না করিতেছ, তাবৎ আমরা একপদে দাড়াইয়া থাকিব । দেখ, তোমার আগমনের উপর আমাদের জীবন নির্ভর করিতেছে । অতঃপৰ হনুমান কহিলেন,—দেখ, উল্লম্ফনকালে আমার বেগ ধারণ করিতে পারে, জগতে আর কেহ নাই । ঐ যে সম্মুখে মহেন্দ্র পর্বত দেখা যাইতেছে, উহার শিখরই দৃঢ় ও বৃহৎ, নানাবৃক্ষে পরিপূর্ণ, ধাতুরাগে রঞ্জিত। লম্ফ প্রদান কালে ঐ সমস্ত শিখরই আমার বেগ ধারণ করিতে পরিবে । এই বলিয়া অরিন্দম বায়ু পুত্র হনুমান নগশ্রেষ্ঠ মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বতে আরোহণ করিলেন । ঐ পৰ্ব্বত ফল-পুষ্প-স্থশোভিত তরুরাজি ও লতাজীলে জাকীর্ণ। তথায় তৃণাচ্ছন্ন ভূমিতলে মৃগগণ বিচরণ করিতেছে, সিংহ, শাৰ্দ্দল ও মন্ত মাতঙ্গগণ ইতস্তুত ভ্রমণ করিয়৷ বেড়াইতেছে । পক্ষিগণ মণ্ড হইয়া