পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ সর্গ। মহামুনি পুনরায় কহিলেন,—বৎস রাম ! আমি তোমার প্রতি প্রীত হইয়াছি, তোমার মঙ্গল হউক। লক্ষণ ! তোমার উপর সস্তুষ্ট হইলাম, কারণ তোমরা আমাকে অভিবাদন করিবার জন্য জানকীর সহিত আমার আশ্রমে উপস্থিত হইয়াছ। এক্ষণে পথশ্রমে তোমাদের কষ্ট বোধ হইয়াছে, জনক-রাজ-তনয় সীতা বিশ্রামর্থে উৎকণ্ঠিত হইয়াছেন । এই সুকুমারী রাজনন্দিনী এরূপ দুঃখ কদাচ অনুভব করেন নাই । ইনি কেবল পতি স্নেহ বশতই বহুল দোষ কর বনে আসিয়াছেন । ইনি তোমার সঙ্গে বনে আসিয়া অতি দুষ্কর কার্য্য সাধন করিয়াছেন,—বৎস রাম ! যাহতে ইনি অরণ্যে সুখ পান, তাহাই করিবে । রঘুনন্দন! আবহমানকাল হইতে . স্ত্রীলোকদিগের এইরূপই স্বভাব, যে স্বামী ভাগ্যশালী হইলে তাহারা অনুরক্ত হন, দুর্দশাগ্রস্ত হইলে ত্যাগ করিয়া থাকেন। ইহঁর সঙ্গত্যাগে বিদ্যুতের চপলত, স্নেহচ্ছেদে শস্ত্রের স্যায় তীক্ষতা, এবং নিন্দনীয় কার্য্য করণে গরুড় ও অনিলের স্বায় সত্বরতা আশ্রয় করিয়া থাকেন, কিন্তু তোমার এই ভাৰ্য্যা এই সকল দোষে লিপ্ত নহেন। ইনি দেবলোকের মধ্যে অরুন্ধতীর স্যায় শ্লাঘ্য ও পতিব্ৰতাদিগের অগ্রগণ্য হইয়া আছেন । বৎস! তুমি যে স্থানে লক্ষণ ও এই সীতাকে লইয়া বাস করিবে, সেই দেশ বস্তুতঃ অলঙ্কত হইবে । প্রদীপ্ততেজ মহর্ষি এই কথা বলিলে রাম কৃতাঞ্জলিপুটে বিনীত বাক্যে কহিলেন ;—তপোধন ! আপনি সমস্ত