পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য- কাণ্ড । ¢ዓ দ্রব করিয়া থাক । তামি ভঁtহাদিগেরই নিয়োগে শরাসন হস্তে এই স্থানে উপস্থিত হইয়াছি । যদি তোমাদের প্রাণের মমতা থাকে, তবে অগ্রসর হই ও না ; ঐ স্থানে আসিয়া সন্তুষ্টচিত্তে প্রতিনিবৃত্ত হও । তখন সেই ব্রহ্মঘাতক শূলপাণি ঘোর রক্ষসের যুদ্ধ উপস্থিত মনে করিয়া সস্তুষ্টচিত্তে অদৃষ্টপরাক্রম রামকে কহিল ;–তুমি আমাদের প্রভু মহাত্ম৷ খরের ক্রোধ উৎপাদন করিয়াছ, আদ্যকার যুদ্ধে তোমাকে এখনই তামাদের হস্তে প্রাণ বিসর্জন করিতে হইবে ! তুমি একাকী, অমর বহুসংখ্যক, তামাদের সহিত যুদ্ধের কথা দূরে থাকুক্‌, তোমার এমন কি শক্তি আছে সে, তুমি আমাদের অগ্রে দাড়াইতে পর ? আমাদের এই বাহু প্রযুক্ত পরিঘ, শূল ও পট্টিশাস্ত্র, দ্বার তোমাকে নিশ্চয়ই প্রাণ, বার্ঘ্য ও করতলস্থিত ধনু হীরাইতে হইবে । এই কথা বলিয়। রক্ষদের ক্রোধভরে খড়্গ ও অস্ত্ৰ শস্ত্র উত্তোলন পূর্বক রামের দিকে ধাবিত হইল এবং তাহার প্রতি চতুদশ শূল যুগপৎ নিক্ষেপ করিল। দুৰ্জ্জয় রাম তৎক্ষণাৎ সেই পরিসিত শরদ্বার ঐ সমুদায় শূলাস্ত্র খণ্ড খণ্ড করিয়! ফেলিলেন । তানন্তর তেজস্বী রাম ভীষণ ক্ৰোধে শিল শাণিত, সূর্য্যের ন্যায় ভাস্বর চতুর্দশ নারীচ অস্ত্র গ্রহণ করিলেন এবং রক্ষসদিগকে লক্ষ্য করিয়৷ ই নদু যেমন বজ নিক্ষেপ করেন, তদ্রুপ ঐ সমুদায় বাণ পরিত্যাগ করিলেন । তখন ঐ সমুদায় বাণ মহাবেগে রাক্ষসগণের বক্ষঃস্থল বিদীর্ণ করিয় রক্তক্ত কলেবরে বল্মী কমধ্যে ভুজঙ্গের স্থায় ভুগর্ভে প্রবেশ করিল । রক্ষসেরা ও রুধিরধারায় স্নান