পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বিবংশ সৰ্গ । + مسسسه يم ** پي مــــس তীক্ষবিক্রম খর আশ্রমে উপস্থিত হইলে রাম, লক্ষণের সহিত ঐ সমুদায় ঘোর উৎপাত দর্শন করিতে লাগিলেন । ঐ সমস্ত উৎপাত প্রজাদিগের অহিতকারী মনে করিয়া রাম নিতান্ত উদ্বিগ্ন চিত্তে লক্ষণকে কহিলেন,—হে মহাবাহে ! দেখ, সর্বপ্রাণীর বিনাশসূচক এই সমস্ত বিষম উৎপাত রাক্ষসদিগের সংহারার্থেই উপস্থিত হইয়াছে । ঐ দেখ, আকাশে গর্দভবং ধূসরবর্ণ জলধরগণ গগনমণ্ডলে ঘোর গর্জন করিয়া রুধিরধারা বর্ষণ করিতেছে । আমার তৃণীরমধ্যস্থ শর সকল যুদ্ধামোদে প্রধূমিত হইতেছে, হস্তস্থিত সুবর্ণপৃষ্ঠ শরাসনও গুণের সহিত স্ফরিত হইতেছে । বনচার পক্ষীরা যেরূপ কৃজন করিতেছে, তাহাতে আমাদের অভয় ও রাক্ষসদিগের প্রাণসংশয় উপস্থিত । ফলতঃ অতঃপর যে একটা ঘোরতর সংগ্রাম ঘটিবে, তাহাতে আর সংশয় নাই । বৎস! তামার দক্ষিণবাহু পুনঃ পুন স্পন্দিত হইয়া সন্নিহিত যুদ্ধে আমাদের জয় ও শত্রুর পরাভব সূচনা করিয়া দিতেছে । আর তোমার ও বদন সুপ্রসন্ন ও প্রফুল্ল দেখিতেছি । লক্ষণ ! যুদ্ধার্থ সমুদ্যত যাহাঁদের মুখমণ্ডল নিম্প্রভ হয় ; তাহাদেৱ আয়ুঃক্ষয় নিশ্চিত। ঐ দেখ, রাক্ষসদিগের ঘোর সিংহনাদ এবং উহাদের ভেরীধ্বনিও শ্রুতিগোচর হইতেছে। স্বীয় মঙ্গলকামী বিচক্ষণ পুরুষের ভবিষ্যৎ বিপৎ আশঙ্কা করিয়৷ অগ্রেই তাহার প্রতিকার বিধান করিয়া থাকেন, অতএব তুমি