পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড । ማ > রামের মৰ্ম্মভেদী বিবিধ তাস্ত্রে কেহই আর পরিত্রণ পাইল না । এই সময়ে কোন কোন পরাক্রাস্ত রাক্ষস বীর ভীষণ ক্রোধে রামকে লক্ষ্য করিয়া প্রস, পরশু ও শূলাস্ত্র বর্ষণ করিতে লাগিল । বীর্য্যবান রাম ঐ সকল অস্ত্র স্বীয় শরনিকরে নিবারণ করিয়া উহাদের মস্ত কচ্ছেদনপূর্বক প্রাণসংহারে প্রবৃত্ত হইলেন । আমৃতহরণ যুদ্ধে গরুড়-পক্ষ বাতভগ্ন নন্দনকাননস্থ পাদপের ন্যায় কেহ ছিন্নমস্ত ক, কেহ ছিন্ন কামুক, কেহ বা ছিন্ন চৰ্ম্ম হইয়ু ধর তলে পতিত হইতে লাগিল । তদর্শনে শরা হত ও অবশিষ্ট নিশাচরগণ নিতান্ত বিষণ্ণ হইয়। শরণার্থ খরের দিকে ধাবিত হইল। তখন দূষণ উহদিগকে আশ্বাস দিয়া কুপিত কৃতান্তের স্যায় কাম্মুক হস্তে রামের অভিমুখে চলিল। সৈন্যগণও উহার আশ্রয়ে নির্ভয় । হইয়া প্রতিনিবৃত্ত হইল এবং সাল, তাল ও শিলা গ্রহণ করিয়া দূষণের অনুসরণ করিল। অন্যদিক্ হইতে শূলহস্ত মুগদরধারী ও পাশপাণি মহাবল রাক্ষসসেন আসিয়া বাণবর্ষণ, শস্ত্রবর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও বৃক্ষ এবং প্রস্তরনিক্ষেপ করিতে প্রবৃত্ত হইল । উভয় পক্ষে পুনরায় তুমুল রোমহর্ষণ অদ্ভুত যুদ্ধ হইতে লাগিল । নিশাচরেরা চতুর্দিক হইতে মহাক্রোধে শরবর্ষণে সমস্ত দিক্‌ আচ্ছন্ন করিল দেখিয়া, সেই শরসমাচ্ছন্ন মহাবল রাম ভীষণ সিংহনাদ করিয়া পরম ভাস্বর গান্ধৰ্ব্ব অস্ত্র শরাসনে যোজনা করিলেন । তখন সেই মণ্ডলাকার ধনু হইতে সহস্র সহস্র শর যুগপৎ নির্গত হইয়া দশ দিক্ পূর্ণ করিয়া ফেলিল । তখন শর নিপীড়িত রাক্ষসগণ, রাম কখন শর গ্রহণ করিতেছেন কখনই বা মোচন করিতেছেন, ইহার কিছুই Se