পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাণ্ড ধৰ্ম্মাত্মা বলিয়া বিখ্যাত, অতএব ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া অধৰ্ম্মানুবন্তী হওয়া আপনার কর্তব্য নহে। যদি প্রতিজ্ঞা করিয়া আপনি তাহ পালন না করেন, জানিবেন, আপনার ইষ্টtধূৰ্ত্ত’ বিনষ্ট হইবে, অতএব রামকে পাঠাইয়া দিউন। অগ্নি যেমন অমৃতের রক্ষক, সেইরূপ রামচন্দ্র কুতাস্ত্র বা অকৃতাস্ত্র হউন না, বিশ্বমিত্র কর্তৃক সংরক্ষিত হইলে রাক্ষসেরা উহার কিছুই করিতে পরিবে না। এই বিশ্বামিত্র মূৰ্ত্তিমান ধৰ্ম্মস্বরূপ, ইনি সর্বাপেক্ষা বলবান, বিদ্বান এবং তপস্যার আশ্রয়স্থান। ইনি ত্রিলোকমধ্যে এক জন অস্ত্রবেত্তা, পৃথিবীর কোনও লোক হঁহাকে চেনে না এবং কখনও চিনিতে পরিবে না । ১-১১ দেবতা, ঋষি, রাক্ষস, গন্ধৰ্ব, যক্ষ, কিন্নর ও উরগগণ পর্যন্ত ইহাকে জানিতে পারেন নাই। এই মহাত্মা বিশ্বামিত্র যখন রাজত্ব করিতেন, সেই সময়ে মহাদেব, কুশাশ্বপ্রজাপতির পুত্ৰত্বপ্রাপ্ত অস্ত্ৰসকল এই কৌশিক বিশ্বামিত্রকে দান করিয়াছিলেন। ঐ সকল অস্ত্র কৃশাশ্বের পুত্র এবং দক্ষের কন্যা জয়া ও সুপ্রভার গর্ভসস্তুত। অনেকরুপ বরলাভ করিয়া অসুরসংহার জন্য জয়া পঞ্চাশং ও সুপ্রভা পঞ্চাশং অস্ত্র প্রসব করেন। এই সকল অস্ত্র হৃদ্ধর্ম এবং বলসম্পন্ন, তাহারা সংহার নামে খ্যাত। এই মহর্ষি সেই সকল অস্ত্ৰ-শস্ত্র বিদিত আছেন, ইনি অপূর্ব দিব্যাস্ত্র স্ব&ি করিতে পারেন। সেই অস্ত্রপ্রভাবে এবং তপোবলে ঋষিশ্রেষ্ঠ ধাৰ্ম্মিক মহাত্মা বিশ্বামিত্রের ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান কিছুই অবিদিত নাই। ইনি এইরূপ প্রভাবসম্পন্ন, মহাতেজ ও মহাযশস্বী, অতএব হঁহার সহিত রামকে পাঠাইতে মনে কোনও সন্দেহ করিবেন না। ইনি স্বয়ংই সংহার করিতে পারেন, কেবল রামের উপকারের সেই নিশাচরদিগকে । ১। অশ্বমেধ পর্যাপ্ত যাগ সকলকে ইঃ, এবং বাণী-কুপ-ভড়াগনিৰ্ম্মাণ প্রভৃতিকে পূৰ্ব বলে। বাণীকুপাতক্ষাগাদি-প্রতিষ্ঠা সেতুবন্ধনম্। O जब्रथपांनमांब्रांमः शूडबिऊालिशेब्रप्ठ ॥ WO6. উহাকে প্রার্থনা করিতেছেন। বশিষ্ঠদেব এই কথা বলিলে নরদেব দশরথ প্রসন্নমনা হইলেন, তখন তিনি কুশিকনন্দনের সহিত রঘুনন্দনকে পাঠাইতে স্বীকৃত হইলেন। ১২-২২ দ্বাবিংশ সগ বশিষ্ঠদেব এই কথা কহিলে, রাজা দশরথ অনুজ লক্ষণের সহিত রামকে আহবান করিলেন। তপন রাজা দশরথ ও রাণী কৌশল রামের মঙ্গলাচরণ করিতে লাগিলেন ; পুরোহিত বশিষ্ঠদেবও মঙ্গলমন্ত্রে রামকে অভিমন্ত্রিত করিলেন । সে সময় স্বয়ং দশরথ পুত্রের শির আত্মাণ করিয়া পরম প্রীতমনে কুশিকপুত্র-হস্তে র্তাহাকে সমর্পণ করিলেন। তদনন্তর রাজীবলোচন রামচন্দ্রকে বিশ্বামিত্রের অনুবর্তী দেখিয়া ধূলি-সম্বন্ধশুস্য সমীরণ মৃদুভাবে বহন করিতে লাগিল। রামের গমন-সময়ে মহতী পুষ্পবৃষ্ট্রি ও দেবত্বন্দুভিধ্বনি হইতে লাগিল ; অযোধ্যা শঙ্খশব্দময় হইয়া উঠিল। অগ্রে বিশ্বামিত্র, তৎপশ্চাৎ কাকপক্ষধারী ও ধনুৰ্দ্ধারী রামচন্দ্র এবং তাহার পশ্চাদনুসরণ করিলেন সুমিত্রানন্দন লক্ষণ। তৃণীরধারী ধনুপাণি ভ্রাতৃদ্বয় ত্রিশীর্ষ সৰ্পের ন্যায় বিশ্বামিত্রের অনুগমন করিতে লাগিল। অশ্বিনীকুমারের ব্রহ্মার অনুগমন করিলে যেরূপ শোভা হয়, তৎকালে তাহদের শোভাও সেইরূপ হইল। র্তাহারা দু্যতিমান খড়গ, দিব্য ধনু ও বিচিত্র অঙ্গুলিত্র ধারণ পূর্বক গমন করিলেন। কুমারদ্বয়ের শরীর অতিশয় সুশোভন, র্তাহারা পরস্পরে অনিন্দিত শোভা ধারণ করিয়া জন্য আপনার

  • - - . ജ്യ-=--- ഇ

১। প্রত্যেকের দুইটি করিয়া তুণীর থাকায় ত্রিশীর্ষ সৰ্প সদৃশ বলা হইয়াছে। ধন্থ হন্তে ছিল, এই ভুণীর, খড়গ, চৰ্ম্ম, ধন্থ সকলই বৈষ্ণব গরুড় ভ্রাতৃদ্বয়কে সৰ্ব্বজনের অলক্ষ্যে জাসিয়া দিয়া গিয়াছিল। সাধারণ অন্ত্রে তাড়কা-বধ ও মারীচকে সমুদ্রে পাতন সম্ভব হইত না । গরুড়ের অন্ত্র প্রদানের কথা পদ্মপুরাণে আছে। যথা— পক্ষী তাক্ষর্ণঃ সমাগমা ত্ৰাণি চাৱালি কার্শ্ব কম। সৰ্ব্বভৃতৈরন্থখং সন দৰা তাভ্যাং পুন্য বে।