পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও পঞ্চবিংশ সগ সেই অমিতপ্রভাব বিশ্বামিত্ৰ-মুখে এরূপ উত্তম বাক্য শ্রবণ করিয়া পুরুষশ্রেষ্ঠ রাম কহিলেন, হে মুনীশ্বর ! আমি শুনিয়াছি, যক্ষজাতির বলবীৰ্য্য অতি অল্প, অতএব আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, অবল সেই নিশাচরী কিরূপে সহস্র মাতঙ্গের বল ধারণ করিয়াছে ? রামের উক্তি শ্রবণ করিয়া বিশ্বামিত্র রাম ও লক্ষণকে মধুরবাক্যে আনন্দিত করিয়া বলিলেন, হে রাম ! যে কারণে তাড়কা অতিশয় বলশালিনী, উহা শ্রবণ কর। এই অবলা তাড়ক বরদানপ্রস্থত প্রভূত বল ধারণ করে। পূৰ্ব্বকালে সুকেতু নামে এক মহাবীৰ্য্যবান পবিত্রচারসম্পন্ন যক্ষ ছিল, সে অনপত্যতানিবন্ধন দুষ্কর তপস্যা করে। তপস্তায় প্রীত হইয়া প্রজাপতি তাহাকে তাড়কা-নান্না কন্যা প্রদান করেন। পিতামহ ঐ কন্যাকে সহস্র হস্তীর বল প্রদান করেন, পাছে লোকের পীড়ন ঘটে, এই কারণে সুকেতুকে পুত্রসন্তান দিতে ব্ৰহ্মার অভিলাষ হয় নাই। ক্রমে কন্যার কন্যাকাল উত্তীণ হইয়া যৌবনাবস্থা ঘটিলে সেই লাবণ্যময়ী ললনার সহিত জন্তুসুত সুন্দের বিবাহ-কাৰ্য সম্পাদিত হয়। কিছুকাল গত হইলে, ঐ যক্ষার গর্ভে মারীচের জন্ম হয়। শাপ নিবন্ধন মারীচকে রাক্ষসযোনি গ্রহণ করিতে হয়। কোনও কারণে মহর্ষি অগস্ত্যের শাপে সুন্দের প্রাণসংহার ঘটিলে, তাড়ক অবিলম্বে স্বীয় পুত্র মারীচের সহিত মুনিবরের অনিষ্টসাধনে অগ্রসর হয়। সেই তাড়কা রোষকষায়িত-নেত্রে তর্জন-গৰ্জ্জন পূর্বক মুনিকে আক্রমণ করে, তখন মারীচকে ‘তুই রাক্ষস-যোনি ধারণ কর অগস্ত্য এই অভিসম্পাত প্রদান করেন। ঋষিবর অগস্ত্য পরম ক্রুদ্ধ হইয়া তাড়কাকেও বলিলেন, তুই বিকটমুখে বিকৃতভাবে যখন নরশোণিতপানে অগ্রসর হইয়াছিল, তখন তোকে এই সুন্দর রূপ গরিত্যাগ করিয়া মনুষ্যভক্ষণনিরত রাক্ষসী s "ల్సి মূৰ্ত্তি ধারণ বরিতে হইবে। সেই নিশাচরী ঋষির শাপে ক্রদ্ধ হইয়া অগস্ত্যের তপস্তাস্থান উৎসন্ন করিয়াছে। ১-১৪ হে রাঘব ! সেই নিশাচরী ঘোরতর অনিষ্টসঙ্ঘটন করিতেছে, অতএব গো-ব্রাহ্মণ-হিতের জন্য তুমি সেই বিপুলবিক্রম তাড়কার প্রাণ সংহার কর। হে রঘুনন্দন ! তোমা ব্যতিরেকে এই ত্রিলোকমধ্যে কোনও পুরুষই সেই রাক্ষসীর বিনাশসাধনে সমর্থ হইবে না। হে নরোত্তম ! স্ত্রী-বধ-বিষয়ে তুমি কোনও চিন্তা করিও না, চাতুৰ্ব্বণ্যের হিতের জন্য রাজপুত্রের ইহা কর। কৰ্ত্তব্য। নৃশংস বা অনৃশংস, পাপজনক কি পুণ্যজনক, প্রজাপলিনের জন্য সকল প্রকার কার্ণ্য করাই রাজার কর্তব্য । যাহারা প্রজাপালন-কার্ঘ্যে নিযুক্ত, তাহদের ইহা সনাতন ধৰ্ম্ম । অতএব, তুমি অধৰ্ম্মাচারিণী নিশাচরীকে নিপাতিত কর। ইহার শরীরে ধৰ্ম্মের লেশও নাই। আমি শুনিয়াছি, পূর্বকালে মন্থর নামে বিরোচনস্থত পৃথিবীকে বিনাশ করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, দেবরাজ তাহার বধসাধন করেন ; এবং পুরাকালে মহর্ষি শুক্রের জননী অসুরকার্য্যানুরোধে দেবেন্দ্রের বিনাশবাসনা করিলে ভগবান নারায়ণই তাহাকে বিনষ্ট করেন। হে রাঘব ! এইরূপ দেবগণ ও অন্যান্য অনেক ধাৰ্ম্মিক নৃপতিগণ অধৰ্ম্মাচারিণী রমণীগণের বধসাধন করিয়াছেন ; অতএব ঘৃণা পরিত্যাগ পূর্বক আমার নিয়োগে ঐ নিশাচরাঙ্গনার প্রাণসংহার কর । ১৫-২২ | ১। এই ইতিহাসটি কোন পুরাণু দেখা যায় না। ২ । এই ইতিহাসটি পদ্মপুরাণে বিস্তৃতভাবে কথিত হইয়াছে । মৎস্তপুরাণেও আছে যে, শুক্রাচাৰ তপস্ত করিতে গমন করিলে cप्रदगैक्लिड नडात्र१ ज्यमांठांब नब्रपाणउ इब्र, अवर उांशानब्र প্রেরণায় দেবগণবিনাশে উদযুক্ত ভৃগুপত্নীকে ইন্দ্রপ্রার্থনায় বিষ্ণু বধ করিযাছিলেন।