পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ সর্গ মহর্ষি বিশ্বামিত্রের উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যে দৃঢ়ব্ৰত রামচন্দ্র কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাকে এই কথা বলিলেন, পিতার আদেশ ও পিতার বাক্য-গৌরব-নিবন্ধন আপনি আমাকে যাহা করিতে বলিলেন, আমি অসঙ্কুচিতচিত্তে তাহা করিতে প্রস্তুত । অযোধ্যার গুরুজন-সমক্ষে মহাত্মা পিতা দশরথ কর্তৃক আপনার আজ্ঞা পালন করিবার নিমিত্ত উপদিষ্ট হইয়াছি। তাহার বাক্য আমি কখনও অবহেলা করিব না । পিতার বাক্যানুসারে ব্রহ্মবাদী ঋষি আপনার নিয়োগে গোত্রাহ্মণ ও দেশের কল্যাণের নিমিত্ত অমিতপ্রভাব আপনার স্যায় ঋষির বাক্যপালনে উদ্যত হইয়াছি। শত্রুদমনকারী রাম এই কথাবলিয়া দৃঢ়মুষ্টিতে শরাসন গ্রহণ করিলেন এবং ধনুর জ্যাশব্দে দশদিক পরিপূর্ণ করিতে লাগিলেন। সেই বিকট নিনাদে বনবাসী সমস্ত জন্তু চকিত ও শঙ্কিত হইয়া উঠিল, শব্দমাত্রে নিশাচরীও কুপিত ও মুছিত হইয়া পড়িল। তদনন্তর কোপভরে যেখান হইতে শব্দ সমুখিত হইয়াছে, উহা লক্ষ্য করিয়া সেই দিকে আগমন করিতে লাগিল । তখন রামচন্দ্র বিকটাকার বিকৃতমুখ রাক্ষসীদেহ দর্শন করিয়া লক্ষণকে কহিলেন, হে ভ্ৰাতঃ ! যক্ষীর ভৈরব বপু দৰ্শন কর ; বাস্তবিক এ মূৰ্ত্তি দেখিলে সকলেরই হৃদয় কম্পিত হইয় উঠে। তুমি দেখ, দূর হইতেই ঐ মায়াবিনীর নাসাকর্ণচ্ছেদন করিয়া উহাকে অপসারিত করি। ১-১১ এই নিশাচর স্ত্রীজাতি, সুতরাং ইহাকে হত্যা করিতে আমার প্রবৃত্তি হয় না ; ইহার বীর্য্য ও গতিশক্তি রোধ করাই আমার ইচ্ছ। রামচন্দ্র এই কথা বলিতেছেন, এমত সময়ে সেই নিশাচরী ক্রোধসংমূচ্ছিত হইয়া দুই বাহু প্রসারণ পূর্বক তর্জন-গর্জন করিতে করিতে রামের অভিমুখে অগ্রসর হইল। তখন বিশ্বামিত্র হুঙ্কার পূর্বক তাহাকে ভৎসন করিয়া রাম-লক্ষণের উদেশে "স্বস্তি” বলিয়া জয় বাল্মীকি-রামায়ণ বিষয়ক আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। তখন তাড়কা অন্তরীক্ষে অবস্থান পূর্বক ধূলি-পটল উদ্ভট্টান করিয়া রামলক্ষণকে বিমোহিত করিল। তদনন্তর মায়া-বলে শিলাবৰ্মণ পূর্বক তাহাদিগকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া ফেলিল । তদর্শনে রামচন্দ্র ক্রুদ্ধ হই\\শরবৃষ্টি দ্বত্র\ শিলাবৃষ্টি নিবারণ করিলেন এবং নিক্ষিপ্ত শরনিকর দ্বারা নিকটে আগতপ্রায় তাড়কার বাহুদ্বয় ছিন্ন করিয়া ফেলিলেন । তদনন্তর রাক্ষসী ছিন্নবাহু হইয়াও রামের সাক্ষাতে গর্জন করিতে লাগিল । তদর্শনে সেমিত্রি ক্রুদ্ধ হইয় তাহার নাসা-কর্ণচ্ছেদন করিয়া ফেলিলেন । ১২-১৮ কামরূপিণী নিশাচরী বহুবিধ রূপ ধারণ করিয়া অন্তৰ্হিত হইল, এবং রাক্ষসী মায়া গ্রহণ পূর্বক রাম-লক্ষণকে মোহিত করিয়া ফেলিল । অনন্তর অনবরত শিলাবৰ্মণ পূর্বক ভৈরবভাবে বিচরণ করিতে লাগিল। তদর্শনে গাধিপুত্র দশরথপুলকে কহিলেন, এই হ্রস্টচারিণী নিশাচরপ্রতি স্ত্রীবোধে ঘৃণা করিও না। যজ্ঞদ্বেষিণী এই নিশাচর ক্রমশঃ আত্মমায়া বিবদ্ধিত করিবে, অতএব সন্ধ্যাসময় না আসিতে আসিতে তুমি উহাকে নিপাতিত কর । জানিও, সন্ধ্যাকালে রাক্ষসেরা অতিশয় দুজেয় হইয়া থাকে। এই কথা বলিলে রাঘব পাষাণবর্ষিণী নিশাচরকে শব্দভেদী শর দ্বারা বিদ্ধ করিয়া তাহাকে রুদ্ধ করিয়া ফেলিলেন । তখন রাক্ষসী গুপ্তভাব পরিত্যাগ পূর্বক বেগভরে গর্জন করিতে করিতে বালক লক্ষণের নিকটে বজ্রবেগে উপস্থিত হইল । রাম দর্শনমাত্রে শরপ্রহারে রাক্ষসীর হৃদয় বিদ্ধ করিলে সে পতিত ও মৃত হইল। ভীমাকৃতি নিশাচরকে নিহত দেখিয়া সুরগণ ও সুরপতি সাধুবাদ দ্বারা রামকে অভিনন্দিত করিলেন। সে সময়ে ১ । লক্ষ্মণের এই প্রথমবার ও দ্বিতীয়বারে স্বৰ্পণখার মাসী-কর্ণcऋनि कब्रांब्र कषl cनथ यांग्न । वत्रtननैौग्न ७ ७खब्रश्रक्रिमांकलপ্রদেশীয় প কে লক্ষ্মণ কর্তৃক মাস-কর্ণচ্ছেদনের কথা নাই । ,