পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 আপনি যাহা যাহা ইচ্ছা করিবেন, আমরা তাহাই করিব। তাহারা এই কথা কহিলে রামচন্দ্র সুপ্রসন্নচিত্তে ‘তোমরা আমার বলিয়া তাহাদিগকে গ্রহণ করিয়া এবং কর দ্বারা সম্পর্শ করিয়া বলিলেন, তোমরা সকলেই স্মরণমাত্র আমার নিকট উপস্থিত হইবে। রাম অস্ত্রগণকে ইহা বলিয়া প্রীতমনে মহাতেজস্বী মহামুনি বিশ্বামিত্রকে অভিবাদন পূর্বক গমনের উপক্রম করিলেন। ২২-২৮ অষ্টাবিংশ সর্গ তদনন্তর রামচন্দ্র পবিত্রভাবে অস্ত্র গ্রহণ করিয়া প্রহৃষ্টমনে যাইতে যাইতে বিশ্বামিত্রকে কহিলেন, হে ভগবন! আমি অস্ত্র গ্রহণ করিয়া অমরগণেরও হ্রাপদ হইয়াছি, কিন্তু অস্ত্র-সকলের উপসংহার জানি না, হে মনিশ্রেষ্ঠ ! ঐ অক্ষসকলের উপসংহার জানিতে ইচ্ছা হইতেছে। তখন ধৈর্ণ্যশীল মুত্রত বিশ্বামিত্র, রামকে সংহার-মন্ত্ৰসকল প্রদান করিয়া কহিলেন, সত্যবান, সত্যকীৰ্ত্তি, প্লস্ট, রম্ভস, প্রতীহারতর, পরায়ুখ, অবাৰ্থ, লক্ষ্যালক্ষ্য, দৃঢ়নাভ, মুনাভ, দশাক্ষ, শতবক্ত, দশণীর্ম, শতোদর, পদ্মনাভ, মহানাগু, ইন্দুনাভ, জ্যোতিল, শকুন, বিমল, যৌগন্ধর, বিনিদ্র, দৈত্যপ্রমথন, শুচিবাহু, মহাবাহু, নিষ্কলি, বিরুচি, অচিমালী, ধৃতিমালী, ধুতিমান, পিত্রা, কচির, সোঁমনস, বিধূত, কামরূপ, মহাকচি, মোহ, আবরণ, জস্তক, পস্থান ও বরুণ, হে রামচন্দ্র। এই কুশাশ্ব-পুত্র অস্ত্ৰসকল দাপ্তিশীল ও কামরূপী, তুমি উহাদিগকে গ্রহণ কর, তোমার মঙ্গল হউক, বলিতে গেলে, ভূমিই প্রকৃত দানের পাত্র। রঘুপতি “তথাস্তু বলিয়া তত্তাবৎ গ্রহণ করিলেন ; ঐ সকল অস্ত্র মুখপ্রদ ও মূৰ্ত্তিমান, দেখিতে অধিকাংশই _২। এই শ্লোক এৰি অবিকৃত অবাধ বিরাটপৰ্ব্ব • জ্যায়ে ७ड हरेब्रारङ । वशंङग्निष्ठद वह इॉरनङ्गै ब्रांबांग्रtनंब cझांक जबिकुठ जहांझ rप्रथ। बांग्न ! বাল্মীকি-রামায়ণ অঙ্গারতুল্য, কতকগুলি ধূমোপম, কেহ কেহ চন্দ্রসুর্য্য-সদৃশ। ১-১১ তখন অস্ত্রগণ বদ্ধাঞ্জলি হইয়া রামচন্দ্রকে মধুরবাক্যে কহিল, হে পুরুষশ্রেষ্ঠ ! আমরা আপনার অগ্ৰে উপস্থিত, আমাদের প্রতি কি আজ্ঞা হয়, বলুন ? শ্রীরাম কহিলেন, এক্ষণে তোমরাগমন কর, কাৰ্য্যকালে স্মরণ করিলে উপস্থিত হইয়া আমার সাহায্য করিও । তখন তাহারা রামের আজ্ঞা মস্তকে ধরিয়া তাহাকে প্রদক্ষিণ ও আমন্ত্রণ পূর্বক আপনাপন স্থানে চলিয়৷ গেল । এ দিকে রামচন্দ্র অস্ত্র-প্রয়োগ ও সংহারবিষয় অবগত হইয়া গমন করিতে করিতে পথিমধ্যে মহর্মি বিশ্বামিত্রকে বলিলেন, হে মনে । পৰ্ব্বতের অনতিদূরে মেঘমালার স্যায় যে পাদপদল দুষ্ট হইতেছে, উহা কি ? দেখিতেছি, স্থানটি অতিশয় মনোরম, উহার চতুর্দিক মুগগণে সমাকীর্ণ ও পন্থি রবসমাচ্ছন্ন, আমরা যদিও ভয়াবহ নিবিড় অরণ্য অতিক্রম করিয়াছি, কিন্তু এ স্থানটি যেন সুখ ও শান্তিকর বলিয়া বোধ হইতেছে। হে ভগবন ! ৭ আশ্রম কাহার ? আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, যে স্থলে পাপাত্মা নিশাচরেরা তাপনার যজ্ঞহিংসা করিয়া থাকে, সে স্থান কোথায় ? আমাকে যেখানে আপনার যজ্ঞরক্ষণ ও নিশাচরদিগের বধসাধন করিতে হইবে, তাহা আর কত দর ? হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! এই সকল বিষয় শুনিবার নিমিত্ত তামার ইচ্ছা হইতেছে। ১২-২২ αμuωπωψιππουπα ή উনত্রিংশ সর্গ অমিততেজ রামচন্দ্র এই কথা জিজ্ঞাসা করিলে, মহর্ষি বিশ্বামিত্র তত্ত্তরে বলিলেন, এই স্থানে সৰ্ব্বদেববন্দিত ভগবান বিষ্ণু বহু সহস্ৰ বৎসর ও বহু যুগ ধরিয়া তপস্যা করিয়াছিলেন। এই আশ্রমটি মহাত্মা বামনের পুণ্যাশ্রম, ইহা তপশ্চৰ্য্যার উপযুণ্ড স্থান