পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও হইয়া মারীচবক্ষে মানবাস্ত্র নিক্ষেপ করিলেন।” মারীচ সেই অস্ত্রে আহত হইয়া সম্পূর্ণ শত যোজনদুরবর্তী মহাসাগরগর্ভে নিপতিত হইল। ১০-১৮ তখন মারীচকে চেতনাহীন বিঘূর্ণ্যমান, অস্ত্রনিপীড়িত ও যুদ্ধে নিরস্ত দেখিয়া রাম লক্ষণকে কহিলেন, হে লক্ষণ ! চেয়ে দেখ, আমার এই মানবাস্ত্র মারীচকে মোহিত করিয়াছে বটে, কিন্তু উহাকে প্রাণবিযুক্ত করে নাই। যাহা হউক, আমি অতঃপর এতদবশিষ্ট দুষ্টাচার পাপাত্মা রাক্ষসদিগকে প্রাণে বিনষ্ট করিব। তিনি এই কথা বলিয়া লক্ষণকে আপনার লঘুহস্তত প্রদর্শন পূর্বক করে মহান আগ্নেয় অস্ত্র ধারণ করিলেন। ঐ অস্ত্র সুবাহুর বক্ষে বিন্ধ হইয় তাহাকে ভূমিশায়ী করিল ; এইরূপে অপরাপর রাক্ষসগণ বায়ব্যাস্ত্রে নিহত হইল। অসুরদলন করিয়া সুরনাথ যেরূপ সম্মানিত হইয়াছিলেন, তাহার ন্যায় রাক্ষসদিগকে বিনাশ করিয়া রামচন্দ্র ঋষিগণ সমীপে সেইরূপ সংপূজিত হইলেন। তখন ঋষিদের আনন্দের সীমা রহিল না । যজ্ঞ সমাপ্ত হইলে মহর্ষি বিশ্বামিত্র, তৎপ্রদেশ নিরুপদ্রব দেখিয়া রামকে বলিলেন, হে কমললোচন ! আমি কৃতার্থ হইলাম, তুমি গুরুবাক্য সফল করিলে, এই আশ্রম তোমার প্রভাবে প্রকৃত সিদ্ধাশ্রম হইল। এইরূপে রামগুণ কীৰ্ত্তন করিয়া তাহাদিগকে লইয়া তিনি সন্ধ্যাবন্দনাদির জন্য গমন করিলেন । ১৯-২৬ । একত্রিংশ সগ । অনন্তর রাম লক্ষণ এইরূপে রাক্ষস বিনাশ করিয়া প্রমোদিতমনে সেখানে নিশাতিবাহিত করিলেন। রজনী প্রভাত হইলে, র্তাহারা আক্তিকাদি কাৰ্য্য সমাপন করিয়া মহর্ষিগণ ও বিশ্বামিত্রের সমীপে ப_ _ _ _ _ _ ৩। মূল স তেন এই শ্লোকের আস্তাক্ষর গায়ত্রীর দ্বিতীয় অক্ষরাপে 4षांप्न शृशैऊ श्ब्रांप्इ i s| विचांबिज उांप्लकांद८५ ॐ नब्र श्ब्रां ७ cनदर्शcशंद्र थtgबिांब्र থক্য ब्रां6थांख ७ निज ठ*छांलक नकल जज्ञ ब्रांमष्क लांन 86. গমন করিলেন। প্রজ্বলিত বহ্নিতুল্য প্রদীপ্ত বিশ্বামিত্রকে অভিবাদন করিয়া মধুরভাষী ভ্রাতৃদ্বয় মধুর বাক্যে বলিলেন, হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! আপনার দুই কিঙ্কর উপস্থিত, এক্ষণে আমাদিগকে কি করিতে হইবে, তাহা আদেশ করুন। ২ তাহার এইরূপ বলিলে,সকল ঋষিগণ বিশ্বামিত্রকে অগ্রবত্তী করিয়া কহিলেন। ১-৫ মিথিলাধিপতি জনক এক অদ্ভূত যজ্ঞ সম্পন্ন করিবেন, আমরা তদর্শনে সেখানে যাইব । হেরামচন্দ্ৰ ! তুমিও আমাদের সছিত সেই স্থানে যাইবে এবং সেখানে জনক রাজার অদ্ভুত ধনু-রত্ন সন্দর্শন করিবে। হে নরশ্ৰেষ্ঠ ! পূর্বকালে দেবগণ অমিতবলযুক্ত পরম উজ্জ্বল সেই প্রসিদ্ধ হরধনু সভামধ্যে যজ্ঞরক্ষার্থ জনক রাজাকে প্রদান করেন। মনুষ্যের কথা কি বলিব, উহাতে দেবতা, গন্ধৰ্ব্ব, অসুর ও রাক্ষসগণ পৰ্য্যন্ত জ্যারোপণ করিতে সমর্থ হয়েন না। ইহার শক্তির পরিমাণ জগনিবার জন্য অনেকশনেক পরাক্রান্ত রাজস্যবর্গ ও রাজপুত্ৰ উপস্থিত হইয়াছিলেন, কিন্তু কেহই উহাতে গুণারোপণ করিতে পারেন নাই। হে নরশ্রেষ্ঠ ! সেই ধনু মিথিলাধিপতির ভবনে আছে, তুমি সেই শ্রেষ্ঠ ধনু এবং জনকরাজের মহৎ যজ্ঞ দেখিতে পাইবে । জনকরাজ ঐ দিব্য ধনু দেবতাদিগের নিকট হইতে যজ্ঞফলস্বরূপ প্রার্থনা করিয়া দেবগণের নিকট প্রাপ্ত হইয়াছেন।” এখন উহ اسسسسسصصعد كسeسد -سي করিয়াছেন। বৰ্ত্তমানে যে জঙ্গ সিদ্ধাশ্রমে রামকে অনিয়ন করা, উহ। সুসিদ্ধ হওয়ায় হরধমুৰ্ভঙ্গ করিয়া রামের বিপুল যশোরাশি বিস্তার এবং সীতা-পরিণয়ার্থ মিথিলায় গমন এই সর্গে বর্ণিত হইয়াছে। ২। ভগবান যখনই ভক্তের প্রতি করুণ করেন, তখন তিনি নিজেই ভূতোর স্তায় ভক্তের কাছে উপনীত হইয় তাহার আকাঙ্ক্ষণ পূর্ণ করেন, ভক্তকে ডাকিয় নিজের কাছে নিয়া অনুগ্রহ করেন না, তাই রাম বিশ্বামিত্রকে বলিতেছেন, কিঙ্কর উপস্থিত, কি করিতে হইবে, আদেশ कुन | * ৩ । মৈথিলরাজ নিজ যজ্ঞপ্রীত সকল দেবগণের নিকট যজ্ঞফলস্বল্প ঐ ধনুঃ প্রার্থনা করেন। প্রীত শিবাদি দেবগণ ঐ ধমু জনককে দান করেন, সেই ধনুই জনকগৃহে আছে। পদ্মপুরাণে আছে—“চাপং শভোঃ প্রসাদজং এবং কুৰ্ম্মপুরাণে আছে— ঐতশ্চ ভগবানীশন্ত্রিশূলী নীললোহিতঃ। প্রদদে শত্রুনাশাৰ্থং জনকারাভূতং ধনুঃ ॥ এই সকল কথা স্বসঙ্গত হইল ।