পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও বাক্য শ্রবণ করিয়া সেই শত কন্যা হাস্য-পূর্বক তাহাকে কহিল । ১১-১৮ হে সমীরণ ! আপনি সকল জীবের অন্তরে অবস্থিতি করেন, আমরা আপনার প্রভাবও সম্যক অবগত আছি, অতএব বিবাহ-প্রার্থনা জানাইয়া আমাদিগকে অবমানিত করিলেন কেন ? হে প্রভঞ্জন | আমরা কুশনাভ নৃপতির কন্যা, মনে করিলে আপনাকে স্থানচু্যত করিতে পারি, কিন্তু তপস্যাক্ষয় হইবে বলিয়৷ তাহাতে সমর্থ হইতেছি না। আমরা সত্যবাদী পিতাকে অবমানিত করিয়া স্বয়ম্বর হইব, আমাদের ভাগ্যে এরূপ সময় যেন না ঘটে। পিতা আমাদিগের প্রভু ও পরম দেবতা, তিনি শাহার হস্তে সমর্পণ করবেন, তিনিই আমাদের স্বামী হইবেন । তাহদের বাক্য শ্রবণ করিয়া পবন কুপিত হইলেন এবং তাহদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রবেশ-পূর্বক মন্দিত করিয়া ফেলিলেন। কন্যাগণ এই প্রকারে কুক্তভাবাপন্ন হইয়া আপনাদের ভবনে প্রবেশ করিল এবং সলজ্জভাবে সজললোচনে অবস্থিতি করিতে লাগিল। দুহিতাদিগের এরূপ দুর্দশ দর্শন করিয়া নৃপতি কুশনাভ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাদের এ অবস্থার কারণ কি ? কোন ব্যক্তি ধৰ্ম্মের অবমাননা করিয়াছে ; কে তোমাদিগকে কুজ করিয়া দিয়াছে ? তোমাদের এরূপ দীনভাবাপন্ন হইবার কারণ কি ? কুশনাভ এই কথা বলিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ-পূর্বক কারণ জানিবার জন্য অবহিত হইলেন। ১৯-২৬ । ত্রয়স্ত্রিংশ সগ কন্যাগণ পিতার এরূপ উক্তি শ্রবণ করিয়৷ তদীয় চরণবন্দন-পূর্বক কহিল, পিতঃ ! সৰ্ব্বব্যাপী বায়ু কুপথাবলম্বন-পূর্বক আমাদিগকে অবমানিত করিতে ইচ্ছা করিয়াছিল; ধর্মের প্রতি তাহার দৃষ্টি নাই। 8이 অধীন, তোমার অভিপ্রায় পিতৃদেবের গোচর কর, র্তাহার যাহা ইচ্ছা হয় করিবেন। সেই পাপাশয় আমাদের কথায় কর্ণপাত করে নাই, প্রত্যুত আমাদিগকে বিকৃতাঙ্গ করিয়াছে। তেজস্ব নৃপতি কন্যদিগের মুখে এ কথা শ্রবণ করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা বায়ুর প্রতি একমতাবলম্বী হইয়া যে ক্ষমা প্রদর্শন করিয়াছ, তাহাতে আমার কুলগৌরব রক্ষা পাইয়াছে। স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েরই পক্ষে ক্ষমাই ভূষণ, ক্ষম৷ অতিশয় প্রশংসার বিষয়, বিশেষতঃ দেবগণের প্রতি বাসনাত্যাগ অতিশয় দুষ্কর কার্য্য। তোমরা স্বেচ্ছাচারিণী না হইয়া বায়ুর প্রতি যে ক্ষমাভাব দেখাইয়াছ, তাহ সবিশেষ প্রশংসার বিষয় ; বাস্তবিক ক্ষমাই দান, ক্ষমাই সত্য ও ক্ষমাই যজ্ঞ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়া থাকে। ক্ষমাই যশ এবং ক্ষমাই ধৰ্ম্ম, ক্ষমার উপর এই জগৎ প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। কন্যদিগকে এই কথা বলিয়া সুরেন্দ্র-বিক্ৰম নৃপতি, দেশ, কাল ও শাস্ত্রানুসারে অনুরূপ পাত্রের সহিত তাহদের বিবাহের জন্য মন্ত্রীদিগের সহিত মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন । ১-১০ কন্যা তাহার উপাসনা করিতে থাকে। সে প্রণত ও সেবা-পরায়ণ হইলে ঋষি তাহার প্রতি প্রসন্ন হন। হে রঘুনন্দন! এইরূপে কিছুকাল গত হইলে পর, রহ্মচারী কহিলেন, হে সোমদে ! আমি তোমার প্রতি পরিতুষ্ট হইয়াছি, তোমার কি প্রিয় কাৰ্য্য করিব বল। গন্ধৰ্ব্বকহ্যা ঋষির প্রসন্নভাব দর্শনে তাহাকে মধুরবাক্যে কহিল, আপনি মহাতপা, রক্ষ-ত্র-সম্পন্ন ও সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ, আপনার অনুকম্পায় স্বাধ্যায়সম্পন্ন এক পুত্ৰ পাইতে আমার আকিঞ্চন। আমি অদ্যাবধি কাহাকেও পতিত্বে বরণ করি নাই। আমি তপোমহিমায় আপনার শরণাগত ; অতএব যাহাতে