পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও এবার অশ্বহৰ্ত্তার অনুসন্ধান লাভ করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইয়াই আসিতে হইবে। ১-১১ পিতার আদেশে ষাট হাজার সগর-পুত্রগণ রসাতলে ধাবিত হইল। তাহারা খনন করিতে করিতে পৰ্ববতসন্নিভ বিরূপাক্ষ নামক একটি দিগগজ দেখিতে পাইল ; এই হস্তী সশৈল সকানন ধরণীকে ধারণ করিয়া রহিয়াছে। যখন পর্বকালে এই গজ ক্লান্ত হইয়া শিরশচালন করে, তখনই ভূকম্প হইয়া থাকে। তাহারা ইহাকে প্রদক্ষিণ ও সম্মান করিয়া রসাতল ভেদ পূর্বক গমন করিতে লাগিল। তদনন্তর পূর্বদিক পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণ-দিক্‌ ভেদ করিতে আরম্ভ করিল, ঐ দিকেও ঐরূপ দিক্ৰহস্তী দেখিতে পাইল। এই হস্তীর নাম মহাপদ্ম, দেখিতে পৰ্ব্বতকার, তাহার মস্তকে ধরার কিয়দংশ, তাহারা দর্শনমাত্রে অতিশয় বিস্মিত হইল। তদনন্তর তাহাকে প্রদক্ষিণ করিয়া পশ্চিম-দিক্‌ ভেদ করিয়া চলিল । পশ্চিমদিকেও পর্বতাকার সোঁমন নামক দিগগজ দেখিতে পাইল । সগর-সন্তানেরা তাহাকে প্রদক্ষিণ ও নিরাময় জিজ্ঞাসা করিয়া ক্ষেীণী খনন করিতে করিতে উত্তর-দিকে অগ্রসর হইল। ১২-২১ তথায় ভদ্রনামা সুন্দরদেহ এক মহা হস্তীকে ভূভার বহন করিতে দেখিল । তাহাকে প্রদক্ষিণ করিয়া তাহারা বসুধাতল ভেদ করিতে লাগিল । ক্রমে তাহারা সকল দিক খনন করিয়া শেষে উত্তরপূর্বদিকে ঈশান-কোণে গমন পূর্বক ক্রোধে পৃথিবী ভেদ করিতে লাগিল। তাহারা সেখানে সনাতন বাসুদেবকে কপিলমূৰ্ত্তিতে বিরাজমান দেখিল। তাহার অনতিদূরে যজ্ঞীয় অশ্বকে বিচরণ করিতে দেখিতে পাইয়া, হে রঘুরাজ ! তাহারা অতিশয় আনন্দিত হইল। তাহারা তাহাকেই যজ্ঞদ্বেষ্ট অবধারণ করিয়া রোষকষায়িতলোচনে হল, খনিত্র, শিলা ও বৃক্ষ।দি ধারণ পূর্বক “তিষ্ঠ তিষ্ঠ” বলিয়া তৎপ্রতি ধাবমান হইল। বলিল, রে দুর্বত্ত ! ○ Q তুই আমাদের যজ্ঞতুরঙ্গম অপহরণ করিয়াছিল, জানিস্, আমরা সগরপুত্র এখানে উপস্থিত হইয়াছি। হে রঘুনন্দন । কপিলরূপী হরি, তদ্বাক্য শ্রবণ করিয়া কুপিত হইয়া হুঙ্কার করিয়া উঠিলেন, তার পর অমিতপ্রভাব কপিলদেব সেই যাট হাজার সগরসন্তানগণকে ভস্মীভূত করিয়াছিলেন। ২২-৩০ একচত্বারিংশ সগ হে রঘুনন্দন ! মহীপতি সগর যখন দেখিলেন, বহুদিন অতীত হইলেও পুত্ৰগণ প্রত্যাগত হইল না, তখন তিনি নিজতেজে দীপ্যমান পৌত্র অংশুমানকে কহিলেন, হে বৎস! তুমি বীর, কৃতবিদ্য এবং পূর্বরাজস্যগণের ন্যায় তেজঃসম্পন্ন, অতএব পিতৃবাদিগের ও অশ্বহৰ্ত্তার অনুসন্ধান করিয়া আইস । ধরাগর্ভে যে সকল মহাবল জীব আছে, তাহাদের বধসাধনের জন্য ধনুৰ্ব্বণি ও অসি গ্রহণ কর। তুমি নমস্তদিগকে নমস্কার ও বিল্পকারীদিগকে বিনাশ করিয়া সত্বর প্রত্যাগমন কর। অধিক কি বলিব, তুমিই আমার যজ্ঞ পূর্ণ করিবার প্রধান সহায়। এই কথা বলিলে, অংশুমান ধনু ও খড়গ ধারণ পূর্বক দ্রুতগতিতে গমন করিলেন। সেই সুপ্রসিদ্ধ রাজা সগর কর্তৃক প্রেরিত হইয়া অংশুমান পথে যাইতে যাইতে ভূগর্ভমধ্যে পিতৃব্যগণের নিৰ্ম্মিত এক পথ দেখিতে পাইলেন। ঐ পথাবলম্বী হইয়া যাইতে যাইতে দেখিলেন, মধ্যে মধ্যে এক একটি দিগগজ দণ্ডায়মান, দেবদানবগণ উহাদিগকে পূজা করিতেছে। তিনি তাহাদিগকে প্রদক্ষিণ ও কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করিয়া পিতৃব্যগণের সহিত যজ্ঞীয় অশ্বের কথা জানাইলেন। তাহারা কহিল, হে অসমঞ্জ-নন্দন , তুমি কৃতকাৰ্য্য হইয়া ঐ অশ্ব সমভিব্যাহারে শীঘ্র প্রতিনিবৃত্ত হইবে। ঐ কথা সকল দিকহস্তিগণকে ঐরাপ যথারীতিতে জিজ্ঞাসা করা হইল। তাহারাও পূর্ববৎ অংশুমান কর্তৃক