পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও করিবেন, কিরূপে পূর্বপুরুষগণের তর্পণ-ক্রিয়া ঘটবে, কি উপায়ে তাহদের উদ্ধারসাধন করিবেন, তিনি সতত এই চিন্তা করিতে থাকেন । এই ধাৰ্ম্মিক নৃপতির ভগীরথ নামে এক পুঞ্জ প্রাদুর্ভূত হয়, ইনি পরম ধাৰ্ম্মিক বলিয়া প্রসিদ্ধ। মহারাজ দিলীপ নানাবিধ যজ্ঞানুষ্ঠান করিয়াছিলেন, তাহার রাজত্ব ত্রিংশৎ সহস্ৰ বৎসর ঘটয়াছিল। র্তাহাকে পিতৃপুরুষগণের উদ্ধারের উপায় চিন্তা করিতে করিতে ব্যাধিগ্রস্ত হইতে হয় এবং তাহতেই তাহার জীবনের পর্ণ্যবসান ঘটে। তিনি আপনার সিংহাসনে ভগীরথকেই স্থাপিত করিয়া নিজকৰ্ম্মফলে ইন্দ্রলোক প্রাপ্ত হন। ১-১০ হে রঘুনন্দন । রাঙ্গ ভগীরথ অপুত্রক ছিলেন, তিনি মন্ত্রীদিগের প্রতি রাজ্যভার সমর্পণ পূর্বক গোকৰ্ণ নামক স্থানে গঙ্গানয়নের জন্য দীর্ঘকাল তপস্যা করিতে থাকেন। তিনি ইন্দ্রিয়সংষম পুণর্বক কখনও মসান্তে আহার করিতেন, কখনও পঞ্চতপা,৩ কখনও বা উৰ্দ্ধবাহু হুইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর তপস্যা করতে থাকেন । তদনন্তর প্রজাপতি তাহার প্রতি প্রসন্ন হইলেন। তিন সুরগণের সহিত সম্মিলিত হইয়া তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন, এবং তাহাকে বলিলেন, হে বৎস! আমি তোমার তপস্যায় পরিতুষ্ট হইয়াছি, তুমি এক্ষণে আমার নিকট হইতে বর প্রার্থনা কর । ১১-১৬ তখন নৃপতি ভগীরথ কৃতাঞ্জলিপুট তাহাকে কহিলেন, হে ভগবন ! যদি আপনি আমার প্রতি প্রসন্ন হই থাকেন, যদি আমার তপস্যার কোনও ফল-সস্তাবনা থাকে, তাহা হইলে সগরসন্তানগণ ২। ভগীরণের জন্ম সম্বন্ধ একটি আশ্চৰ্য্য কৌতুহলোদ্দীপক উপাখ্যান কৃত্তিবাস লিথিয়াছেন। আমরা কোন পুরাণে ঐ ঘটনা দেখিতে পাই নাই, পরস্তু রামারণে দিলীপের ঔরসপুত্র ভগীরথ এবং উাহাকে তিনিই রাজো অভিষিক্ত করিয়াছিলেন, এইরূপ কণার উল্লেপ দেখিতে পাওয়া যায়। কালিদাসোত্ত রঘুর পিতা দিলীপ এবং ভগীরণপিতা দিলীপ হঁহার বিষ্ণুর বাক্তি। ও। গ্রীষ্ম ঋতুতে উদ্ধদেশে হুধা এবং চারি পার্থে চারিটি বহ্নিকুণ্ড প্রজালিত করিয়া তন্মধ্যে বসিয়া র্যাহারা তপস্থা করেন, তাহাদিগকে ן הסף יוויסק)ן** \r ¢ጫ আমার নিকট হইতে যাহাতে জলগওষ প্রাপ্ত হন, আপনি তাহার উপায় উদ্ভাবন করুন। তাহাদের দেহ ভৰ্ম্মে পরিণত হইয়াছে, যদি উহা গঙ্গাজলে সিক্ত হয়, তাহ হইলে আমার পূর্বপুরুষগণ স্বৰ্গলোকে গমন করিতে পারেন। আমার দ্বিতীয় প্রার্থন এই, যেন ইক্ষাকুকুল লুপ্ত না হয়। ব্রহ্মা তদ্বাক্য-শ্রবণে র্তাহাকে মধুরবাক্যে কহিলেন, হে ইক্ষাকুকুলপ্রদীপ! তোমার মনোরথ পূর্ণ হইবে, তোমার মঙ্গল হউক। হিমালয়ের জ্যেষ্ঠা কন্য গঙ্গা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইবেন, অতএব তাহার লেগধারণের ও দ্য মহাদেবকে নিয়োজিত কর। হে রাজন ! গঙ্গাধর ব্যতিরেকে গঙ্গার বেগ ধারণ করতে আর কেহই সমর্থ নহেন। স্থষ্টিকৰ্ত্তা ব্রহ্মা তাহাকে এই উপদেশ প্রদান করিয়া ত্ৰিদশগণের সহিত ত্ৰিদিলে গমন করিলেন । ১৭-২৫ θε-α-mωαπαυ ত্রিচতুরিংশ সগ দেবদেব প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবলোকে গমন করিলে, ভগীরথ পদাঙ্গুষ্ঠ দ্বারা ভূমি স্পর্শ করিয়া এক বৎসরকাল শিবের আরাধনা করিলেন । সম্বৎসর পূর্ণ হইলে সৰ্ব্বলোকবন্দিত পশুপতি তাহাকে কহিলেন, হে নরবর! আমি তোমার প্রতি প্রীত হইয়াছি, আমি তোমারই জন্য শৈলরাজনন্দিনী গঙ্গাকে মস্তকে ধারণ করিব। তার পর জ্যেষ্ঠা সর্ববলোকনমস্কৃত নগেন্দ্রনন্দিনী গঙ্গা, প্রশস্ত আকৃতি ধারণ পূর্বক প্রবলবেগে মঙ্গলময় শিব-শিরে নিপতিত হইলেন । পরমহ্রদ্ধরা গঙ্গা পতন-সময়ে চিন্তা করিতে লাগিলেন, আমি প্রবলপ্রবাহে শঙ্করকে লইয়া রসাতলে প্রবিষ্ট হইব। ধূর্জটা গঙ্গার অভিপ্রায় জানিতে পারিয়া অন্তরে কুপিত হইলেন, এবং ত্ৰিলোচন আপনার জটাজালে র্তাহাকে গোপন করিয়া রাখিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন। তখন সেই পুণ্যসলিল