পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি-রামায়ণ s ولمو\ বিজড়িত বা মেঘমিশ্রিত চন্দ্রমার লাবণ্য তুল্য অথবা জলমধ্যে প্রদীপ্ত সুৰ্য্য-প্রভা যে প্রকার শোভা পায়, তাহার আকৃতিও তদনুরূপ হইয়াছিল। ৮-১৫ সেই অহল্যা গৌতমবাক্যে রামের দর্শন লাভ করিবার পূর্ব পর্য্যন্ত ত্রিলোকবাসীর দর্শনাযোগ্য। ছিলেন। অহল্যা শাপান্তে সেই রামচন্দ্রকে সম্মুখে দেখিতে পাইলেন, অমনি তিনি ত্রিলোকেরও দর্শনীয় হইলেন । তখন রামলক্ষণ হৃষ্টমনে অহল্যার চরণ বন্দনা করিলেন। গৌতম-পত্নীও একাগ্রচিত্তে পূর্ববৃত্তান্ত স্মরণ পূর্বক তাহাদিগকে পাদ্য-অৰ্ঘ্যাদি দ্বারা অতিথি-সৎকার করিলেন । রাম ও লক্ষণ শাস্ত্রদৃষ্ট বিধানানুসারে অহল্যর পূজা গ্রহণ করিলেন। এই অবসরে আকাশ হইতে পুষ্পবৃষ্টি পতন ও দুন্দুভি-নিনাদ হইতে লাগিল ; গন্ধৰ্ব্ব ও অপরাদিগের মহামহোৎসব উপস্থিত হইল। তখন দেবগণ তপোবল-সম্পন্ন৷ পতিপরায়ণ বিশুদ্ধ অহল্যাকে সাধুবাদ প্রদান করিতে লাগিলেন। মহাতপা গৌতমও” অহল্যার সহিত অতিশয় সস্তুষ্ট হইয়া বিহিতবিধানে রামচন্দ্রের সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া পুনর্বার তপস্যায় মনোনিবেশ করিলেন। রামচন্দ্রও গৌতমের নিকট হইতে যথাবিধি সপৰ্য্যা গ্রহণ পূর্বক মিথিলাভিমুখে গমন করি লেন। ১৬-২২ ৩। ত্রিলোকের অদৃষ্ঠ অহলা। রামাদিরও দুর্নিরীক্ষা ছিলেন, শাপাবসানে সুকলেই অহল্যাকে দেখিতে পাইয়াছিল। পদ্মপুরাণে অাছে, রাম যাইতে যাইতে তাহার পাদস্পর্শে একটি বড় প্রস্তর সুন্দরী রমণী হইয়াছিল ; রামও তদর্শনে বিস্মিত হইয়াছিলেন । তদর্শনে বিশ্বামিত্র রামকে গৌতমের অভিশাপে অহলার শিলাত্ব-প্রাপ্তির কথা বলিয়া বলিলেন, তোমার পাদস্পর্শে উহার শাপমুক্তির কথা গৌতম বলিয়াছিলেন। হে রাম । সেই জন্ত তোমার পাদস্পর্ণে অহল্যা বিশুদ্ধ হইলেন। ৪। মূলে "গৌতমোৎপি মহাতেজ অহল্যাসছিতঃ স্বর্থী। রামং সংপূজ্য বিধিবত্তপত্তোপ মহাতপাঃ ” এই মোক দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু জহলার স্থিতিস্থানে গৌতমের অবস্থিতি অসম্ভব ; কেন না, তিনি তপস্তার্থ গমন করিয়াছেন, এই কথা পূৰ্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে, তদনুসারে টীকাকারের জভিপ্রায়, গৌতম এখানে আসিয়া রামকে পূজা করিয়াছিলেন। পঞ্চাশৎ সর্গ অনন্তর রামচন্দ্র লক্ষণের সহিত বিশ্বামিত্রকে পুরোবৰ্ত্ত করিয়া উত্তর-পূর্বাভিমুখে কিছু দূর গমন করিয়া মহর্ষি জনকের যজ্ঞ-ভূমিতে উপস্থিত হইলেন। তখন শ্রীরাম বিশ্বামিত্রকে কহিলেন, মহাত্মা জনকের যজ্ঞসম্ভারসামগ্ৰী অতি পরিপাটী। এতদুপলক্ষে বেদজ্ঞানসম্পন্ন নানাদেশীয় অসংখ্য ব্রাহ্মণগণ উপস্থিত হইয়াছেন। ঋষিদিগের বাসস্থান সকল দৃষ্ট হইতেছে ; দেখিতেছি, ঐ সকল স্থান শত শত শকটে পরিপূর্ণ। হে ব্ৰহ্মন ! আমাদের বাসোপযোগী স্থান নির্দেশ করিয়া দিউন । রাম-বাক্যে বিশ্বামিত্র নির্জন সজলপ্রদেশ বাসের জন্য নির্বাচিত করিলেন। নৃপতি জনক, বিশ্বামিত্রের আগমনবাৰ্ত্ত শ্রবণ করিয়া পুরোহিত শতানন্দ ও ঋত্বিকগণকে সঙ্গে লইয়া সেখানে উপস্থিত হইলেন এবং অর্ঘ্য লইয়া ত্বরিতগমনে র্তাহার প্রত্যুদগমন পূর্বক সবিনয়ে পূজা করিলেন। তখন মহর্ষি বিশ্বামিত্র তাহাকে তাহার ও র্তাহার যজ্ঞের কুশলসংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন । তদনন্তর উপাধ্যায় ও পুরোহিতগণের প্রতি অনাময় প্রশ্ন করিলেন। পরে তিনি হৃষ্টমনে ঋধিদিগকে সাদর সম্ভাষণ করিলেন। রাজর্ষি জনক তাহাকে কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন। ১-১০ আপনি অনুযাত্রিক ঋষিদিগের সহিত আসন পরিগ্রহ করুন। জনকের বাক্যে মহর্ষি উপবিষ্ট হইলেন। তখন শতানন্দ, ঋত্বিকগণ, রাজমন্ত্রী এবং রাজা জনক, র্তাহার চতুদিকে উপবেশন করিলেন। সে সময়ে রাজর্ষি জনক মহর্ষি বিশ্বামিত্রকে কহিলেন, আদ্য দেবগণের অনুকম্পায় আমার যজ্ঞায়োজন সফল হইল । যখন এখানে আপনার সাক্ষাৎকার ঘটিয়াছে, তখন যজ্ঞ-ফল-প্রাপ্তি ঘটিয়াছে ; বলিতে কি, আমি ধষ্ঠ ও অনুগৃহীত হইলাম। হে ব্ৰহ্মর্ষে ! পণ্ডিতগণ দ্বাদশ দিন দীক্ষাকাল অবধারিত করিয়াছেন, হে কৌশিক । আপনি ইহার পরেই যজ্ঞভাগার্থ