পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও মহারাজ ত্রিশঙ্কুর অন্তরে এই অভিপ্রায় হয়,আমি যজ্ঞসাধন করিয়া সশরীরে স্বগে গমন করিব। তখন ত্রিশঙ্কু বশিষ্ঠদেবকে আহবান করিয়া নিজ অভিপ্রায় বলিলেন। বশিষ্ঠদেব তদীয় অভিপ্রায় অবগত হইয়া সাধ্যাতীত বলিয়া তাহাকে প্রত্যাখ্যান করেন, সুতরাং মনোদুঃখে ত্রিশঙ্কু দক্ষিণাভিমুখে গমন করিলেন। তিনি যথাক্রমে যেখানে দীর্ণতপা বশিষ্ঠপুলগণ তপস্যা করিতেছেন, কাৰ্য্যসিদ্ধির উদ্দেশ্যে র্তাহীদের নিকটে তথায় উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন, তাহদের প্রভা শতসুর্য্যতুল্য, তাহার ঘোর তপস্যায় নিমগ্নচিন্ত। তিনি অগ্রসর হইয়া গুরুপুত্রদিগকে অভিবাদন পূর্বক লজ্জা-প্রযুক্ত অধোমুখে অবস্থিতি করিলেন। তদনন্তর কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাদিগকে কহিলেন, আমি লোকের শরণ্য হইলেও আপনাদের শরণাপন্ন হইয়াছি। আমি যজ্ঞ-কামনায় গুরুদেব বশিষ্ঠকে ব্ৰতী হইতে অনুরোধ করিয়াছিলাম, কিন্তু তিনি আমাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন, অতএব আপনার তামাকে অনুমতি করুন। আমি আপনাদের প্রসন্নতার জষ্ঠ্য প্রণত আছি এবং মস্তকাবনত করিয়া তপিনাদের অনুগ্রহ প্রার্থনা করিতেছি । আপনারা কৃপা করিয়া আমার যজ্ঞ সিদ্ধ করুন, যাহাতে আমার সশরীরে স্বগে গমন ঘটে, আপনাদিগকে তৎপক্ষে মনোযোগী হইতে হইবে । গুরুদেব আমাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন, সুতরাং আপনার ব্যতিরেকে আমি আর কাহার শরণাপন্ন হইব, বলুন ? ভাবিয়া দেখুন, পুরোহিতই ইক্ষাকুবংশের পরম গতি, গুরুর অভাবে আপনারাই আমার প্রধান দেবতা। ১১-১২ অষ্টপঞ্চাশৎ সর্গ তদনন্তর ত্রিশস্কুল বচন শ্রবণ করিয়া রোষাবিষ্ট ঋষিপুত্রগণ র্তাহাকে কহিলেন, হে মন্দবুদ্ধে। সত্যবাদী পিতৃদেব তোমাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন, অতএব > o S) তুমি তাহাকে অতিক্রম করিয়া কিরূপে অন্তের আশ্রয় লইতে চাও? ইক্ষাকুবংশীয়দিগের গুরুই পরম গতি, তাহারা গুরুবাক্য লঙ্ঘন করিতে পারেন না । আমাদের পিতৃদেব যাহা অসাধ্য বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, আমরা কিরূপে তাহা সাধন করিব ? হে নিবোধ রাজা ! তুমি পুনর্বার আপনার পুরীমধ্যে প্রবেশ কর । হে রাজন! ত্ৰৈলোক্যের নিখিল যজ্ঞকাৰ্য্য করাইতে আমাদের পিতৃদেব সমর্থ। আমরা পুত্ৰ হুইয়। কিরূপে পিতার অবমাননা করিব ? তাহদের ক্রোধপূর্ণ বাক্য শ্রবণ করিয়া নৃপতি র্তাহাদিগকে পুনর্নবার কহিলেন, আপনাদের পিতা আমাকে প্রত্যাথ্যান করিয়াছেন, আপনারাও তাহাই করিলেন। হে তাপসগণ ! আপনাদের মঙ্গল হউক, আমি অন্য উপায় অনুসন্ধান করি । ঋষিকুমারের সেই দুরভিপ্রায়সূচক ভীষণ বাক্য শ্রবণে ক্রুদ্ধ হইয়া ‘তুমি চণ্ডাল? প্রাপ্ত হইবে বলিয়া অভিশাপ দিয়া আপনার আশ্রমে প্রবেশ করিলেন । ১-৯ তানন্তর রাত্রিপ্রভাতে ত্রিশঙ্কু চণ্ডাল-যোনি ধারণ করিলেন, র্তাহার শরীর নীলবণ, কেশ খণব এবং পরিধেয় নীলবসন । চিতামালো ও চিতাভষ্মে দেহ আবৃত ও লৌহলিঙ্কারে তমু বিভূষিত ; র্তাহার এরূপ অবস্থা দর্শনে মন্ত্রিগণ তাহাকে পরিত্যাগ করিল। ই অনুগত পৌরগণ র্তহার এরূপ কদাকার মূৰ্ত্তিদর্শনে তাহাকে ছাড়িয়া প্রস্থান করিল। তখন নৃপতি একাকী পৰ্যটন করিতে লাগিলেন। তিনি দুঃখে দগ্ধপ্রায় হইয়া বিশ্বামিত্রের নিকট উপস্থিত হইলেন, র্তাহাকে তদবস্থ দেখিয়৷ রাজধির অন্তরে করুণা সঞ্চার হইল, তিনি এই কথা ১ । পুরোহিত ত্যাগ করিয়া অন্ত পুরোহিতগ্রহণ কুলনাশকর বলিয়া মূলে “ঘোরাভিসংহিতা" এইরূপ উক্ত হইয়াছে। ২ । বিশ্বামিত্র চণ্ডালের সহিত প্রত্যক্ষভাষণ করিতে পারেম मा, *ांtश्च उंश निषिक : शठब्रां२ भूजe 's७ॉलब्रनिर्ण*' अई भक जांटाइ, জাতিচণ্ডালের কখনও ঐ ভাবলিৰুত্তি হয়, কৰ্ম্মচণ্ডালের হয় না, এই কথা এই সর্গে দেখান হইয়াছে ।