পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A8 বলিলেন, হে রাজপুত্র! আমার এখানে তোমার আগমনের প্রয়োজন কি, বল। হে অযোধ্যাধীশ্বর ! তুমি অভিসম্পাতে চণ্ডালত্ব লাভ করিয়াছ। ১০-১৬ তখন নৃপতি কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাকে কহিলেন, গুরু বশিষ্ঠদেব এবং তাহার শতপুত্র আমাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। হে প্রিয়দর্শন ! আমি সশরীরে স্বগে যাইবার অভিপ্রায়ে যজ্ঞের জন্য গুরুদেব ও র্তাহার পুত্রগণকে অনুরোপ করি, কিন্তু তাহারা প্রার্থনা পূর্ণ করা দূরে থাকুক, আমাকে ঈদৃশদশাপন্ন করিয়াছেন। আমি একশত যজ্ঞ করিয়াছি, কিন্তু তাহার ফলে বঞ্চিত্ৰ হইলাম, আমি পূৰ্ব্বে কখনও মিথ্যা কহি নাই, এখনও কহিতেছি না,এতদ্ব্যতীত ধৰ্ম্মানুসারে প্রজাপলিন করিয়াছি। আমি মহাত্মা গুরুজনদিগকে সদাচারে সস্তুষ্ট করিয়াছি, ধৰ্ম্মানুসারে যজ্ঞ করাই আমার বাসনা । হে মুনীশ্বর ! ভাগ্যক্রমে, গুরুদেব তাহাতেও অপ্রসন্ন ; বুঝিলাম, দৈবই প্রধান, পুরুষকার অকিঞ্চিংকর ; দৈবই সকলকে আয়ত্ত করিয়া রাখে, দৈবই পরম গতি ; আপনার নিকটে প্রার্থনা, আপনি এ হতভাগ্য দৈববিড়ম্বিত আপনার অনুগ্রহাকাঙ্ক্ষী এই দীনের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। আমি বুঝিয়াছি, অদৃষ্টক্রমে এই শুভকার্ঘ্যে ব্যাঘাত পড়িয়াছে। আপনি ভিন্ন আমার আর গত্যন্তর নাই ; আপনিই পুরুষকারপ্রভাবে দৈবশক্তি মোধ করিতে প্রকৃত সমর্থ। ১৭-২৪ • একোনষষ্টিতম সর্গ কুশিকনন ত্রিশঙ্কুর বাক্যশ্রবণে দয়াত্র/ হইয়া চণ্ডালরূপী রাজাকে মধুরবাক্যে কহিলেন, ইক্ষাকুকুলনন্দন! তোমার এ স্থানে আগমন s । बाबू७ अछ পুরাণে আছে সত্যব্রতর পিতার অভিসম্পতি, বশিষ্ঠের শাপ ও তাহার পুত্ৰগণের শাপ—এই তিনটি শাপ শঙ্কুকীলস্বরূপ হওয়ার ত্রিশঙ্কু নাম হয়। ত্রিশস্তুর চণ্ডালত্ব শুধু সাংগুমাত্র নছে, সাক্ষাৎ getলঙ্কগ্রাপ্তিই ঘটিয়াছিল। ব্রাহ্মণাদি জাতি কৰ্ম্মমূলক, সেই সকল কৰ্ম্ম মা থাকিলে তত্তজাতি থাকে না । ( গোবিন্দরাজ টীকাকার ) বাল্মীকি-রামায়ণ সমীচীন হইয়াছে। হে বংস ! আমি তোমাকে ধাৰ্ম্মিক বলিয়া জানি ; আমি তোমাকে আশ্রয়দান করিলাম, তোমার কোনও ভয় নাই। আমি তোমার যজ্ঞের সাহায্য করিবার জন্য পুণ্যকৰ্ম্ম৷ ঋষিদিগকে আমন্ত্রণ করিব, তুমি তাহাদিগকে লইয়া অভৗন্ট যজ্ঞ পূর্ণ করিতে পারবে। যদিও গুরুপুত্রদিগের অভিশাপে তোমার শরীর বিরূপ হইয়াছে, তথাপি তুমি এই শরীরে স্বগে যাইতে পরিবে । তুমি যখন কৌশিকের শরণাগত হইয়াছ, তখন স্বর্গ তোমার করস্থ বলিয়া মনে করিও । এই কথা বলিয়া পুত্রদিগকে যজ্ঞায়োজনের আদেশ দিলেন। তখন সকল শিষ্যদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, তোমরা আমার আদেশে সপুত্র বশিষ্ঠ প্রভৃতি সকল ঋষিদিগকে আনয়ন কর। এতদ্ভিন্ন সশিষ্য ও সস্হা পাব্লিগগণকে আহবান কর। যদি এই আহবানে কেহ অনাদর করে, অামাকে তাহা অবিকল জানাইও ॥১-৯ তখন তদীয় আদেশে শিষ্যগণ চতুর্দিকে গমন করিলেন। নানা দেশ হইতে ব্রহ্মবাদী মুনিগণ আসিতে লাগিলেন। এই সময়ে কৌশিক-শিষ্যগণ সমাগত হইয়া তাহকে কহিলেন, সকল দেশের ব্রাহ্মণেরা আপনার নাম শ্রবণেই এই যজ্ঞে আসিতে সম্মত হইলেন, কেবল মহোদয় নামক এক ব্রাহ্মণ ও বশিষ্ঠপুত্ৰগণ যজ্ঞে আসিতে অনিচ্ছুক ; তাহারা কোপভরে আমাদিগকে যে কথা বলিয়াছেন, শ্রবণ করুন। যে যজ্ঞের যাজক ক্ষত্ৰিয়, বিশেষতঃ যজ্ঞকর্তা চণ্ডাল, তাহাতে দেবগণ ও ঋষিগণ কিরূপে যজ্ঞভাগ গ্রহণ করিবেন ? ব্রাহ্মণগণই বা কিরূপে সেই যজ্ঞে ভোজন করিবেন এবং বিশ্বামিত্রের সহকারিতায় কিরূপে স্বর্গে গমন করিতে পারিবেন ? হে মুনিবর। মহোদয় এবং বশিষ্ঠপুত্ৰগণ এইরূপ গর্বোক্তি করিয়াছেন। ১০-১৭ ” তাহদের ঐরুপ সদপ বাক্য শ্রবণ করিয়া সেই ब्रांजमेिं विश्वांभिज़ cद्धगळथ यांब्रङ-नग्नन इ३ग्नां