পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও এই কথা কহিলেন, আমি কঠোর তপস্যাকার্য্যে লিপ্ত আছি, কখন কোনও অন্যায় কাৰ্য্য করি নাই, যখন র্তাহারা নির্দোষ আমার প্রতি এরূপ ঘৃণার উক্তি করিয়াছেন, তখন তাহারা ভস্মীভূত হইবেন। নিশ্চয়ই র্তাহাদের মৃত্যু সমুপস্থিত ; তাহদের সাতশত জন্ম পৰ্য্যন্ত মৃতযন্ত্রহীরক, মুষ্টিকং নামে খ্যাত নির্দয় হইয়া শব-ভোজনে কাল কাটাইতে হইবে। কুকুরমাংস তাহাদের খাদ্য হইবে, তাহাদিগকে বিকৃতাকার ও বিরূপভাবে সকল লোকে বিচরণ করিতে হইবে। সেই মহোদয় যখন দুর্ব দ্বিপ্রণোদিত হইয়া আমাকে অকারণ ঘৃণা করিয়াছে, তখন তাহাকেও ব্যাধরূপে দূষিতভাবে কাল কাটাইতে হইবে। অধিক কি বলিব, তাহাকে জীবহিংসায় নিযুক্ত হইয়া অনন্তকাল মহাদুৰ্গতি ভোগ করিতে হইবে। এই কথা বলিয়া মহর্ষি মৌনভাব ধারণ করিলেন । ১৮-২২ যষ্টিতম সর্গ তখন বিশ্বামিত্র যোগবলে মহোদয় ও বশিষ্ঠপুত্রদিগকে স্ট্রীয়প্রভাবে নিহত জানিতে পারিয়া ঋষিগণ-সমক্ষে কহিলেন, ইক্ষাকুবংশীয় এই নৃপতি ত্রিশস্কু পরম ধাৰ্ম্মিক ও অতিশয় দাতা, ইনি সশরীরে স্বগে গমন করিবার ইচ্ছায় আমার শরণাগত হইয়াছেন। অতএব যাহাতে ইনি সশরীরে দেবলোকে গমন করিতে পারেন, আপনাদিগকে তাহার জন্য আমার সহিত যজ্ঞ করিতে হইবে। তখন বিশ্বামিত্রের কথায় সকল ধৰ্ম্মজ্ঞ ঋষিগণ ২। মুষ্টিক’—ডোম বলিয়া যাহার খ্যাত, ইহার চণ্ডাল জাতি। ৩ । পূৰ্ব্বোক্ত অভিশাপ বশিষ্ঠপুত্ৰগণকে লক্ষা করিয়া প্রদত্ত श्रॅग्नॉएड, ७थांप्न छिखांछ oई-बनिठेगूवश्रृं★ नऊा कथाई बलिग्नছিলেন, তবে উহাদের প্রতি বিশ্বামিত্রের শাপ দিতে প্রবৃত্তি হইল কেন ? *३ cय, बलिट्टेबिर्षTांठनकांभी विचांभिप्रबग्न ईशई ड°छांब्र कल | _ osmomomo" ፃ® সমবেত হইয়া ধৰ্ম্মানুগত বাক্যে বলিলেন, এই কুশিকবংশীয় মুনি অতি কোপনস্বভাব, ইনি যাহা বলিলেন, তাহ করা আমাদের কৰ্ত্তব্য ; জানিও, অগ্নিতুল্য এই ঋষি প্রত্যাখ্যাত হইলে শাপ প্রদান করিবেন। অতএব যাহাতে ইহার তেজে ত্রিশঙ্কুর সশরীরে স্বগে অবস্থিতি ঘটে, আমরা সেইরূপ যজ্ঞানুষ্ঠান করিব। তদনন্তর যজ্ঞারস্ত হইলে, ঋষিগণ যজ্ঞকার্ঘ্যে নিযুক্ত হইলেন। মহাতেজ বিশ্বামিত্র ঐ যজ্ঞের পুরোহিত (অধ্ব ) হইয়াছিলেন, মন্ত্রাভিজ্ঞ ঋগিগণ আনুপূবিক মন্ত্রোচ্চারণ করিতে লাগিলেন। যজ্ঞের সমস্ত কাৰ্য্যই যথাবিধি কল্পসুত্রানুসারে নির্বাহিত হইতে লাগিল। কিছুকাল গত হইলে মহর্ষি বিশ্বামিত্ৰ যজ্ঞভাগ গ্রহণের জন্য দেবগণকে আহবান করিলেন, কিন্তু কেহই উপস্থিত হইলেন नी ! >-> > তখন রাজর্ষি বিশ্বামিত্র রোষাবিষ্ট হইয়া তরুক উত্তোলন-পূর্বক ত্রিশস্কুকে কহিলেন, হে রাজন! অদ্য আমার তপোবল অবলোকন কর, তামি তোমাকে মদীয় তেজঃপ্রভাবে সশরীরে স্বগে লইয়া যাইব । নরেশ্বর ! সশরীরে স্বর্গগমন যদিও সহজ নহে, তথাচ আমার যৎকিঞ্চিৎ যে তপস্যার ফল সঞ্চিত আছে, হে রাজন! সেই তপোবলে তুমি সশরীরে স্বর্গে গমন কর। রাজর্ষিবাক্যে নৃপবর, সকল ঋষিদিগের সাক্ষাতে স্বগে গমন করিলেন । র্তাহার স্বর্গে গমন ঘটিলে সুররাজ, সুরগণ-সহিত সম্মিলিত হইয় তাহাকে কহিলেন, হে নৃপতে ! তুমি স্বৰ্গবাসের যোগ্য নহ, তুমি পুনরায় মর্ত্যলোকে গমন কর। গুরু বশিষ্ঠদেব তোমাকে শাপ প্রদান করিয়াছেন, অতএব তুমি অধোমুখে নিপতিত হও । ত্ৰিদশপতির কথাক্রমে ত্রিশঙ্কু তৎক্ষণাং নিপতিত হইলেন । তিনি পতন-সময়ে বিশ্বামিত্রকে উদ্দেশ করিয়া “ত্রিাহি ত্ৰাহি” শব্দ করিতে লাগিলেন ; ত্রিশঙ্কুর আর্তশব্দশ্রবণে কৌশিক