পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও লাগিলেন। তিনি মনে এই অবধারণ করিলেন, সুরগণ হইতেই আমার তপস্যার ব্যাঘাত ঘটিয়াছে, যাহা হউক, দশ বৎসর এক রাত্রির ন্যায় গত হইল । কামমোহিত হওয়াতেই আমার এই বিঘ্ন উপস্থিত হইয়াছে। এই বলিয়া দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক অবশেষে দুঃখিত হইলেন । ৪-১২ তখন মেনকা মহৰ্ষির অবস্থা দর্শনে কম্পিতকলেবরে কৃতাঞ্জলি হইয়া তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল। মুনিবর তাহাকে শান্তবাক্যে সাস্তুনা করিলেন । অবশেষে তাহাকে বিদায় দিয়!” উত্তর পপর্বতে গমন করিলেন, তথায় উপস্থিত হইয়া কামদমনের জন্য কৌশিকীতীরে কঠিন তপস্যা করিতে লাগিলেন, এইরূপে সহস্ৰ বৎসর অতীত হইল। মহৰ্বির তপস্যায় দেবগণ ভীত হইলেন, তথন তাহার ঋনিগণের সহিত মিলিত হইয়া ব্রহ্মার নিকটে গিয়া কহিলেন, বিশ্বামিত্র মহর্ষি হইতে অভিলাষী, অতএব তাহার প্রার্থনা পূরণ করুন। পিতামহ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া বিশ্বামিত্রকে কহিলেন, হে মুনে ! তোমার মঙ্গল হউক, আমি তোমার তপস্যায় তুষ্ট হইয়াছি। হে কৌশিক ! আমি তোমাকে মহর্ষিদ্ব প্রদান করিলাম। তখন মহর্ষি কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, যদি শুভকৰ্ম্মফলে আমি ব্রহ্মর্ষি হইতে না পারিলাম, তাহা হইলে বুঝিলাম, আমি এক্ষণে ইন্দ্রিয় জয় করিতে পারি নাই। তখন প্রজাপতি কহিলেন, তোমার এখনও ইন্দ্ৰিয়জয় ঘটে নাই, তুমি চেষ্টা করিলে জিতেন্দ্রিয় হইতে পরিবে, এই কথা বলিয়া অন্তহিত হইলেন। দেবগণ গমন করিলে মহর্ষি উৰ্দ্ধবাহু, অবলম্বনশূন্য ও পঞ্চতপা হইয়া বায়ু-ভোজনে তপস্যা করিতে লাগিলেন। তিনি বর্ষায় অনাবৃতস্থানে, শীতে দিবারাত্র জলে অবস্থান ১। বিশ্বামিত্রের নিকট বিণয়কালেই মেনকার গর্ভে শকুন্তলার জন্ম হইয়াছিল। বিশ্বামিত্র এই তপস্তাকালে সঙ্কল্পপূর্বক ক্ৰোধ পরিত্যাগ कब्रिब्रांहिएलब दगिब्रांई cधबकां८क चछि*ां★ थनांब कtब्रन बांझे, शैशं दांब्रां दिवांविरजग्न cबांवछब्र श्झांझ्ञि बलिग्न जांनी गांब्र । ዓS করিতে লাগিলেন, এইরূপে সহস্ৰ বৎসর অতীত হইল। মহৰ্ষিকে মহাতপে প্রবৃত্ত দেখিয়া দেবগণের —বিশেষতঃ দেবরাজের সন্তাপবৃদ্ধি হইল। তখন তাহার রস্তাকে কৌশিকের অপকারক এবং আপনাদের উপকারক বাক্যে বলিতে লাগিলেন। ১৩-২৬ চতুঃষষ্টিতম সর্গ হে রন্তে । বিশ্বামিত্রকে কামমোহে মুগ্ধ করিয়৷ তোমকে মুর-কাৰ্য্য-সাধন করিতে হইবে । বাসবের বাক্যে অপসর লজ্জিত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাকে কহিলেন, হে সুরপতে ! এই ঋষি অতিশয় কোপনস্বভাব, ইনি ক্রুদ্ধ হইয়া নিশ্চয়ই আমাকে শাপ প্রদান করিবেন। হে দেব ! এ কার্গ্যে আমার ভয় হইতেছে, আপনি প্রসন্ন হউন! তখন সহস্ৰলোচন কহিলেন, ভীত হইও না, তোমার মঙ্গল হউক, আমার আদেশ প্রতিপালন কর। আমি সুশোভন বৃক্ষশোভিত বসন্তকালে কোকিলরাপে কামের অনুচর হইয়া তোমার পার্থে থাকিব। তুমি রমণীয় বেশে নানা-ভাব-ভঙ্গীতে ঐ ঋষির অন্তঃকরণ বিকৃত করিবে । বসবের বাক্যে সেই সুন্দরী দিব্য রূপ ধারণ করিয়া মুনিবরের মনে কামোৎপাদনের চেষ্টা করিতে লাগিল। তখন মুনীন্দ্র কলকণ্ঠ কোকিলের মধুর কাকলী শুনিতে পাইলেন, শ্রতমাত্রে প্রহৃষ্টমনে বরবর্ণিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। মনোহর সঙ্গীত ও মধুর কৃজন শ্রবণে ও রস্তার দর্শনে মুনির মনে সন্দেহ উপস্থিত হইল, তখন তিনি সুররাজকে এ কাৰ্য্যের মূল বলিয়া অবধারণ করিয়া ক্রোধাবিষ্ট হইয়া রস্তার প্রতি এই বলিয়া শাপ প্রদান করিলেন, রে দুৰ্ব্বত্তে ! কামক্ৰোধদমনভিলাষী ঋষিকে যখন মুগ্ধ করিতে আসিয়াছিল, তখন