পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏశి পত্নীগণ সমভিব্যাহারে পিতৃশিবিরে গমন করিলেন। নৃপতি দশরথও সবান্ধবে ঋষিগণসহ পুত্ৰগণের অমুগমন করিলেন। ৩৫-৪০ চতুঃসপ্ততিতম সর্গ রাত্রি প্রভাত হইলে, মহর্ষি বিশ্বামিত্র বিদেহনাথ ও অযোধ্যাধিপের নিকট বিদায় লইয়া উত্তরপর্বতে প্রস্থান করিলেন । তদনন্তর রাজা দশরথ জনকের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া অযোধ্যা গমনের আয়োজন করিলেন । র্তাহার গমনসময়ে রাজা জনক কন্যাদিগকে লক্ষ ধেনু, দিব্য কম্বল, ক্ষৌম বস্ত্র ও কোটিসংখ্যক সাধারণ বস্ত্র, হস্তী, অশ্ব, রখ, পদাতি এবং উংকৃষ্ট অলঙ্কার স্ত্রীধনস্বরূপে প্রদান করিলেন । এতদ্ব্যতীত প্রত্যেক কন্যাকে শত শত দাসদাসী এবং অসংখ্য রৌপ্য, সুবৰ্ণ, মুক্ত ও প্রবাল প্রদান করিলেন। ইরূপে লৌকিক ক্রিয়া সমাধা করিয়া রাঙ্গ জনক দশরথের অনুরোধে স্বভবনে প্রবেশ করিলেন। অযোধ্যাপতিও ঋষিদিগকে অগ্রে লইয়া চতুরঙ্গ সেনা সমভিব্যাহারে পুত্রদিগের সহিত রাজধানীর অভিমুথে গমন করিতে লাগলেন। ১৮ এই সময়ে শূন্ত হইতে পক্ষিগণ বিকট রব করিতে লাগল ; ভূমিতল মৃগগণ দক্ষিণদিক দিয়া যাইতে লাগিল। অকস্মাৎ দুর্নিমিত্ত দর্শনে নরদেব, বশিষ্ঠদেবকে, কহিলেন, পক্ষিগণের উৎকট চীৎকার ও মৃগগণের দক্ষিণদিক দিয়া যাইবার কারণ কি ? কি জন্য আমার হৃৎকম্প উপস্থিত ? কেনই বা আমার অন্তঃকরণ অবসন্ন হইতেছে ? রাজা দশরথের কাতরবাক্যে গুরুদেব কহিলেন, হে রাজন ! ইহার যে ফল, তাহা শ্রবণ কর। সম্মুখে বিপদ আগত, শৃষ্ঠে পক্ষী চীৎকার দ্বারা ইহা জানা যায়। কিন্তু দক্ষিণদিক রিয়া মৃগের গতি ঐ অশুভ নাশ করিয়া দেয়। বাল্মীকি-রামায়ণ যাহা হউক, অকারণ ক্ষুব্ধ হইও না। উভয়ে এইরূপ বলিতেছিলেন, এমন সময়ে প্রবল বায়ু প্রবাহিত হইল । উহার প্রভাবে ধরা বিকম্পিত ও পাদপ সকল শায়িত হইল, দিবাকর অন্ধকারে আবৃত হইল, দিল্পগুল লক্ষ্য করিতে পারা গেল না। চতুৰ্দ্দিকু ভস্মে আচ্ছন্ন হইল, সৈন্যসমূহ অচেতন হইয়া পড়িল। সে সময়ে বশিষ্ঠ, অন্যান্য ঋষি ও পুলগণ সহিত রাজা দশরথ সচেতন হইয়া রছিলেন। অপর সকলেই বিচেতনপ্রায় হইয়াছিল, সৈন্যগণ সেই ঘোর অন্ধকারে ভস্মাচ্ছন্নের ন্যায় প্রতীয়মান হইতে লাগিল। ৯-১৬ ইত্যবসরে ভার্গব পরশুরাম সেখানে প্রায়াড়ত হইলেন। ইনি ক্ষলকুলান্তকারী। আকৃতি কৈলাসগিরির ন্যায় দুৰ্দ্ধৰ্ম, তেজ কালাগ্নির স্যায় দুঃসহ,সাধারণ লোকে তাহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে পারে না। র্তাহার কণ্ঠদেশে কুঠার, করে বিচিত্র শরাসন ;– ত্রিপুরান্তক শিব বলিয়া ভ্রম হয়। সেই পরশুরামকে রাজা দশরথ দর্শন করিলেন। জ্বলন্ত অগ্নিতুল্য সাধারণের নিরীক্ষ্য ভীমমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া বশিষ্ঠ-প্রমুখ ঋষিগণ পরম্পর বিরলে বলিতে লাগিলেন, এই ভার্গব পিতৃবধ-নিবন্ধন ক্রুদ্ধ হইয়া ক্ষত্ৰকুল কি নির্মুল করিবেন ? পূর্বে ক্ষত্ৰকুল সংহার করিয়া ইহার ক্রোধাগ্নি নির্বাপিত হইয়াছিল। এক্ষণে কি পুনর্বার সেই বীভৎস কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইবে ? এই কথা বলিয়া অর্ঘ্য গ্রহণ পূর্বক পরশুরামকে সম্বোধন করিয়া তাহার পূজা করিলেন। তিনিও ঋষিদত্ত সংকার গ্রহণ করিয়া দাশরথি রামকে বলিতে লাগিলেন । ১৭-২৪ পঞ্চসপ্ততিতম সর্গ হে রাম ! হে দাশরথে ! আমি তোমার অসীম বীৰ্য্য ও হরধনুর্ভঙ্গের কথা সমস্তই শুনিয়াছি। তুমি যে শিবকোদণ্ড ভঙ্গ করিয়াছ, তাহা নিতান্ত বিস্ময়াবহ