পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও অচিন্তনীয় ব্যাপার। আমি হরধনুৰ্ভঙ্গ শ্রবণ করিয়া অপর এক শরাসন গ্রহণ পূর্বক তোমার নিকটে উপস্থিত হইয়াছি। তুমি জমদগ্ন্যের এই ভীষণ শরাসন শরের সহিত আকর্ষণ পূর্বক আপনার সামর্থ্য প্রকাশ কর। তোমার শক্তির পরিচয় পাইলে, আমি তোমার সহিত ঘোরতর দ্বন্দ্বযুদ্ধ করিব। তাহার এই নিদারুণ কথা শ্রবণ করিয়া অযোধ্যাপতি দশরথ বিষণ্ণবদনে দীনভাবে কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, হে ভগবন! আপনি ব্রহ্মকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন এবং তপস্বী বলিয়া বিখ্যাত, ক্ষক্লিয়ের প্রতি রোষভাব পরিত্যাগ করিয়াছেন। আমার বালক পুত্ৰগণের প্রতি অভয় প্রদান করুন। স্বাধ্যায়রত ভাগবস্কুলে আপনার জন্ম, আপনি শচীপতির সমক্ষে প্রতিজ্ঞ করিয়া অস্ত্র পরিত্যাগ করিয়াছেন। আপনি ধৰ্ম্মে মনঃসংযোগ করিয়া মহাত্মা কশ্যপকে পৃথিবীপালন-ভার সমপর্ণ পূর্বক বনগামী হইয়া মহেন্দ্রগিরিশিখরে অবস্থিতি করিতেছেন। জিজ্ঞাসা করি, আমার সৰ্ব্বনাশের জন্যই কি আপনার এখানে আগমন হইয়াছে ? আমি নিশ্চয়ই বলিতেছি, রামের কোনরূপে বিনাশ ঘটলে, আমাদের জীবন থাকিবে না । ১-৯ দশরথ এই কথা বলিলে, পরশুরাম তাহার বাকের কোনরূপ উত্তর প্রদান না করিয়াই রামকে বলিতে লাগিলেন—বিশ্বকৰ্ম্ম যে দুইখানি ধনু নিৰ্ম্মাণ করেন, উভয়ই লোকপূজ্য ও সুদৃঢ়। যে ধনু তুমি ভঙ্গ করিয়াছ, ঐ ধনু ত্রিপুরারিকে ত্রিপুরান্নুর সংহার করিবার জন্য সুরগণ প্রদান করিয়াছিলেন। অপর ধনু আমার হস্তে বিদ্যমান, দেবগণ ইহা বিষ্ণুকে প্রদান করিয়াছিলেন। এই বৈষ্ণব ধনু পর-পরাজয়ে সমর্থ ও ND এই সময়ে ভগবান বিষ্ণু ভয়াবহ হুঙ্কার পরিত্যাগ করেন, তাহাতেই শিবধনু শিথিল হইয় পড়ে এবং শিবও স্তস্তিতভাব ধারণ করেন। এই সময়ে দেবগণ ঋষি ও চারণগণে সংবেষ্ঠিত হইয়া, যেখানে হরিহর দ্বস্বভাবে রহিয়াছেন, সেখানে আগমন পূর্বক র্তাহাদিগকে প্রসন্ন করিলেন। তখন শিবধনুকে শিথিল দেখিয়া দেবগণ বিষ্ণুকেই অপেক্ষাকৃত শক্তিসম্পন্ন বলিয়া অবধারণ করিলেন । ১০-২০ রুদ্রদেব পরাস্ত ও ক্রুদ্ধ হইয়া শিবধনু রাজষি দেবরাতকে প্রদান করিলেন । * আমার হস্তে যে বৈষ্ণব শত্রুদমনসমর্থ ধনু দেখিতেছ, ভগবান বিষ্ণু পূর্বে ইহা মহর্ষি ঋচীককে প্রদান করেন, তিনি আমার পিতা জমদগ্নিকে দেন। তপোবলসমন্বিত মদীয় পিতৃদেব ঐ বৈষ্ণব ধনু পরিত্যাগ করিলে, অধৰ্ম্মবুদ্ধির বশীভূত হইয়া অর্জন তাহাকে বিনষ্ট করেন। আমি পিতার এই অসদৃশ মরণ-সংবাদ শ্রবণ করিয়া রোষাবিষ্ট হইয়া অত্রহ্মণ্য ক্ষত্ৰকুলকে একুশবার ধ্বংস করিয়াছি। আমি নিখিল পৃথিবী অধিকার করিয়া যজ্ঞাবসানে উহা মহাত্মা কশ্যপকে প্রদান পূর্বক মহেন্দ্রীচলে অবস্থিতি করিতেছি, এমন সময় শুনিলাম, তুমি হরধনু ভঙ্গ করিয়াছ ; সেই জন্য তোমাকে দেখিতে আসিয়াছি। হে রামচন্দ্ৰ ! তুমি এক্ষণে ক্ষত্রিধৰ্ম্মের গৌরব রক্ষা করিয়া, আমার পিতৃপিতামহক্রমে প্রাপ্ত এই ধনু গ্রহণ কর এবং _ = ബ= = - -- • ।। ७ई ब्रज एकू छनकशृश् चांशबबनचकौद्र कtशक कषा আপাততঃ বিরুদ্ধ বলিয়া মনে হয়, যথা—দক্ষযজ্ঞ ধ্বংসাত্তে রুদ্র দেবগণকে এই ধষ্ণু দিয়াছিলেন এবং দেবগণ দেবরাতকে দিয়াছিলেন। ত্রিপুরবিজয়ের পর শিব ও বিষ্ণুর মধ্যে কে অধিক বলশালী, এই পরীক্ষায় শিব ধনু অকৃতকার্যা হওয়ায় শিবকর্তৃক দেবগণকে দান, অনসুর-সমীপে সীত৷ বলিয়াছেন, ঐ হরপন্ধু বরণ জনককে দিয়াছিলেন । সুতরাং ইহার ক্রম নিপুরবধ ও দক্ষযজ্ঞাভে শিবকর্তৃক দেবগণ হন্তে ধন্থদর্শন, দেবপ্রতিনিধি বরুণ জনকহন্তে ধন্থ অৰ্পণ করেন। পরশুরামের এই কথা রলিবার অভিপ্রায় এই যে, হরিহরের বিরোধকালেই হরধনু শিথিল হইয়াছিল, উহ ভঙ্গ করায় তোমার বীর্ষবিত্ত৷ बूशिष्ठ श्राब्र वाग्न नहे। पनि अि३ बक्व ५ष्ट्रप्ड छोरा°१ कब्रिएउ পায়, তবেই তোমার বলবত্ত স্বপরীক্ষিত ছটবে। শিব-ধনুর অনুরূপ। এক সময়ে দেবগণ রুদ্র ও বিষ্ণুর শক্তি সম্বন্ধে ব্ৰহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন । প্রজাপতি দেবগণের অভিপ্রায় জানিয়া বিষ্ণুর সহিত রুদ্রের বিরোধ ঘটাইয়া দেন। তাহতেই তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ক্রমে উভয়ে জিগীষার বশবৰ্ত্তী হইয় উঠেন।