পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి* তাহার রুচি ছিল না । বাদানুবাদস্থলে তিনি বৃহস্পতির স্যায় যুক্তি প্রদর্শন করিতেন। তিনি বাগিপ্রবর, পুরুষের বলাবল নির্বাচনে তাহার শক্তি অটল, তিনি দেশকালজ্ঞ, তাহার শরীর নীরোগ এবং তরুণ । তিনি অদ্বিতীয় সাধুরূপে নিৰ্ম্মিত হইয়াছেন, তিনি প্রজাপুঞ্জের বহিশচর প্রাণত্যুল্য প্রেমাম্পদ ছিলেন। তিনি যথাবিধি বেদবেদাঙ্গ অধ্যয়ন করিয়া সমাবর্তন করিয়াছেন, সমস্ত অস্ত্রশাস্ত্রে পিতা দশরথ অপেক্ষাও র্তাহার প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য। তিনি কল্যাণের আকর, সাধু, সৰ্ব্বকালে দৈস্যরহিত, সরল ও সত্যবাদী। ধৰ্ম্মার্থদশী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণগণ র্তাহার আচাৰ্য্য। তিনি ধৰ্ম্মার্থকামতত্ত্বের মৰ্ম্মগ্রাহী, স্মৃতিমান এবং প্রতিভাশালী। তিনি লৌকিক ক্রিয়াদিতে সুদক্ষ ছিলেন। তিনি বিনীত, র্তাহার আকৃতি সংবৃত, তিনি গুপ্তমন্ত্র ও সহায়বিশিষ্ট । র্তাহার ক্রোধ বা হর্ম নিস্ফল হয় নাই । তিনি অর্থ-বিতরণ ও উপার্জন-বিধি বিলক্ষণ অবগত আছেন। তিনি গুরুলোকের প্রতি অতিশয় ভক্তিমান ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কখনও অসদ্বস্তুগ্রহণে র্তাহার বাসনা প্রকাশ পায় নাই। তিনি আলস্যশূন্ত, আপনার বা অপরের দোষদর্শনে চক্ষুস্নান। তিনি শাস্ত্রজ্ঞ, কৃতজ্ঞ এবং লোকের অন্তরজ্ঞ ; যথাযথ নিগ্রহ ও অনুগ্রহ প্রদর্শনে বিলক্ষণ তৎপর। তিনি সজ্জনের সংগ্রহ ও প্রতিপালন এবং দুষ্টজনের শাসনে সুপটু। ভ্রমর যেরূপ পুষ্পমধু আহরণ করে, তাহার নায় তিনি প্রজার নিকট হইতে ধনগ্রহণে সুচতুর। তিনি শাস্ত্রানুযায়ি ব্যয়কাৰ্যতত্ত্বজ্ঞ’ ছিলেন। তিনি শাস্ত্রাদি ও নাটক প্রভৃতিতে শ্রেষ্ঠতা লাভ করিয়াছিলেন। তিনি অর্থধৰ্ম্ম সংগ্ৰহ করিয়া অর্থ ও ধৰ্ম্মের অবিরোধে সুখভোগ করিতেন। পরস্তু তিনি কখনও অলস হয়েন নাই । _ SAS TASAS SSAS SM MSMSMS S S S S S S ১। বায় করিবার জন্ত শাস্ত্রকার যেরূপ প্রণালী নির্দেশ করিয়ছেন, তদনুসারে বায় করাই উচিত—যখ–পাচভাগে ধনবিভাগ করিয়া ব্যয় করিতে হয়। ১ ধর্মের জন্ত—২ যশের জল্প, ৩ অর্থের জন্ত, ४ निtछद्र छछ, * चअनर्णcभग्न अछ धबबाग्न कब्रिप्व, यc{# चांब्री अर्ष আঞ্জাই এখানে জভিপ্রেত্ব । বাল্মীকি-রামায়ণ () বিহারকালে যে সকল শিল্পের ক্রীড়ার্থ প্রয়োজন ঘটিত, তিনি তাহা জানিতেন ; তিনি হস্তী, অশ্ব প্রভৃতির শিক্ষাদানে যেরূপ নিপুণ, তাহদের স্কন্ধারোহণেও তদনুরূপ পট ছিলেন। তিনি ধনুর্বিদ্যাপারদর্শী ও অতিরথ বলিয়া প্রসিদ্ধ। তিনি পরবলহন্তা এবং চক্রাদিকৃহনিৰ্ম্মাণে সুনিপুণ। মুরাসুরগণ কুপিত হইলেও যুদ্ধে তাহাকে পরাস্ত করিতে পারিতেন না ; তিনি ক্রোধজয়ী, অসুয়াশূন্য ছিলেন, দৃপ্ত ও মাংসৰ্ঘ্যশালী ছিলেন না। তিনি কাহারও অবজ্ঞার পাত্র বা কামের ব্যতা প্রাপ্ত নহেন ; এই সকল গুণযুক্ত বলিয়া তিনি প্রজাবর্গের অতিশয় প্রেমাম্পদ ও ত্রিলোকপূজ্য ছিলেন। তিনি ক্ষমাগুণে পৃথিবীতুল্য, বুদ্ধিপ্রভাবে বৃহস্পতিসদৃশ, বীরত্বে মুরপতিতুল্য গণ্য ছিলেন। প্রদীপ্ত সুৰ্য্য যেরূপ আপনার কিরণপ্রভাবে প্রকাশিত হয়,তাহার ন্যায় রাম পিতার ঐতিপ্রদ প্রজরঞ্জন গুণগ্রামে বিমণ্ডিত হইয়া শোভিত হইলেন। তখন রামের এরূপ দিব্যগুণ ও অতুল পরাক্রম দেখিয়া বসুমতী তাহাকে পতিকামনা করিলেন । ৯-৩৪ এই সময় নৃপতি দশরথ রামকে অনুপম গুণনিধান দেখিয়া মনে মনে এই চিন্তা করিলেন,—আমার প্রাচীন দশা উপস্থিত। এ সময় রামকে রাজপদে অভিষিক্ত দেখিলে, না জানি আমার কত দূর আনন্দ ঘটিবে ! আমার এই আশা অন্তরকে আনন্দময় করিতেছে। বলিতে পারি না, আমি কবে রামকে যৌবরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিব। পয়োবর্ষা পর্জন্য যেরূপ লোকের প্রীতিকর, সেইরূপ রামচন্দ্র লোকের হিতৈষী এবং সর্বভূতে দয়াবান। বলিতে কি, রামের বল যম ও ইন্দ্রের সদৃশ, তাহার বুদ্ধি বৃহস্পতিতুল্য, তাহার ধৈর্য্য পর্বতসদৃশ, তিনি আম অপেক্ষাও গুণশালী। হায়! কবে আমি এই বৃদ্ধদশায় আত্মজ রামকে নিখিল সাম্রাজ্যের অধিপতি দেখিয়া স্বর্গে গমন করিব। মহারাজ দশরথ রামকে এইরূপ এবং নানারূপ গুণগ্রামে