পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q অযোধ্যাকাণ্ড f ১০৯ অষ্টম সগ তদনন্তর মন্থর কুপিত ও দুঃখিত হইয়া কৈকেয়ীর প্রতি অস্থয়া প্রদর্শন পূর্বক কহিল—মূঢ়ে ! তুমি কি কারণে অযুক্ত স্থানে হর্ষ প্রকাশ করিতেছ? তুমি কি বুঝিতে পারিতেছ না যে, ইহার পর তুমি কি শোকসমুদ্রে নিপতিত হইবে ? হে দেবি ! আমি তোমার দুঃখে মৰ্ম্মাহত হইয়া মনে মনে এই বলিয়া হাস্ত করিতেছি যে, যাহা শোকের কারণ, তুমি তাহাতেই হর্ম প্রকাশ করিতেছ ? কালস্বরূপ সপত্নীসন্তানের শ্ৰীবৃদ্ধিতে কোন বুদ্ধিমতী স্ত্রী আনন্দিত হইয়া থাকে ? এ বিষয়ে তোমার যে দুৰ্ব্ববুদ্ধি দাড়াইয়াছে, তাহাতেই আমার দুঃখ । রাজ্য সকল ভ্রাতার সাধারণ সম্পত্তি, এই কারণে ভরত হইতে রামের ভয় হইবার সস্তাবনা ; আমি তাহাতেই ভীত হইয়াছি ; কারণ, ভীত ব্যক্তিই ভয়ের আস্পদ হয়। মহাবীর লক্ষণ রামের অনুগত, সুতরাং তাহা হইতে ভয়ের সস্তাবনা নাই ; লক্ষণ যেরূপ, সেইরূপ শত্রুঘ্নও ভরতের অনুগত, সুতরাং তাহা হইতেও রামের ভয় হইতে পারে না । উৎপত্তিক্রমানুসারে ভরতেরই রাজ্য আক্রমণ করা সম্ভব, কনিষ্ঠ বলিয়া এরূপ আশঙ্কা লক্ষণ বা শক্রয়ে নাই । রামচন্দ্র সর্বশাস্ত্রবেত্তা, ক্ষত্রকার্ধ্যে পটু ; সুতরাং তাহা হইতে যে তোমার পুত্রের সর্বনাশ ঘটিবে, আমার নিয়তই এই চিন্তা বলবতী। বলিতে হইলে, কৌশল্যাই প্রকৃত ভাগ্যবতী, তাহা না হইলে, র্তাহার পুত্রের বাজ্যপ্রাপ্তি ঘটিবে কেন ? রামের রাজ্যপ্রাপ্তি ও শত্রুবিনাশ ঘটিলে, তোমাকে কৌশল্যার দাসী হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিতি করিতে হইবে। তখন অগত্যা আমদিগকেও তোমার স্যায় দাসী হইয়া থাকিতে அம்கம் • দশরথ রামকে বলিয়াছিলেন, “মনুষের চিত্ত চঞ্চল”, সেই বিষয় এই সর্গে দেখান হইয়াছে যে, সাধুচিত্ত বাক্তিরও, দুর্জন नश्नcर्न उिवृखि अंब्रिदर्लिउ श्रेब्री थाटक । হইবে ; এইরূপে তোমার পুত্রকেও রামের ভূত্য হইয়া কাল কাটাইতে হইবে । রামবনিতা সীতা সখীদিগের সহিত আনন্দিত হইবেন,* তোমার বধূগণ ভরতের খৰ্ব্বভাব দেখিয়া দুঃখে ম্রিয়মাণ হইবে। ১-১২ তখন মন্থরাকে রামের প্রতি এরূপ অতিশয় অপ্রতিভাবাপন্ন দেখিয়া কৈকেয়ী রামগুণ বর্ণন-পূর্বক বলিলেন, রামচন্দ্র ধাৰ্ম্মিক, গুণবান, সত্যবাদী ও শুচি, বিশেষতঃ তিনি মহারাজের জ্যেষ্ঠপুত্র ; অতএব যৌবরাজ্য র্তাহারই হওয়া উচিত। দীর্ঘায়ু রাম ভ্রাতা ও ভূতাদিগকে পিতার ন্যায় পালন করিবেন। হে কুজে । তুমি রামের অভিষেকবার্তা শ্রবণে দুঃখিত হইতেছ কেন ? নিশ্চয়ই শতবর্ণ পরে ভরতের পৈতৃক রাজ্যপ্রাপ্তির অধিকার। হে মন্থরে! তুমি এরূপ উৎসবসময়ে দগ্ধ হইতেছ কেন ? তোমার পরিতাপেরই বা কারণ কি ? আমি যেমন ভরতের হিতাকাঙিক্ষণী, তদ্রুপ বা তাহা হইতে রামের অধিকতর হিতৈষিণী । বিশেষতঃ রাম কৌশল্যা অপেক্ষা আমাকে অধিকতর সম্মান করিয়া থাকেন। যদি রামের রাজ্যাভিষেক হয়, উহা ভরতেরই হইবে ; কারণ, তিনি যেরূপ আপনাকে দেখেন, ভ্রাতৃদিগকেও তত্ত্ব ল্য দেখিয়৷ থাকেন । ১৩-১৯ মন্থর কৈকেয়ীর বাক শ্রবণ করিয়া, অতিশয় ১। মূলে হৃষ্টা: পণু ভবিষ্যস্তি রামস্ত পরমাঃ খ্রিয়; এইরূপ আছে । টীকাকারগণ সৰ্ব্বজনসম্মত রামের একপত্নীত্ৰত লক্ষা করিয়া এ স্থানে সীতা ও তৎসহচরীগণকেই রামন্ত্রী পদের অর্থ করিয়াছেন । সুন্দরকাণ্ডে সাঁতার উক্তিতে আছে, পিতৃ-আদেশ পালন করিয়৷ তুমি হয় ত স্ত্রীগণে পরিবৃত হইয়া আছ। যুদ্ধকাণ্ডে আছে ভুজৈ পরমনারীণা, উত্তরকাণ্ডে আছে কুমারঃ - স্ত্রীগণোচিত এই সব বিরোধি প্রমাণ থাকিলেও যখন হিরন্ময়ী সীতাকে সহধৰ্ম্মিণা করিয়। রাম অশ্বমেধ যজ্ঞ বরেন, তখন এবং উত্তরকাণ্ডেই আছে—ন সীতায়াঃ পরং ভাৰ্য্যাং বত্ৰে স রঘুনন্দনঃ যজ্ঞে যজ্ঞে চ পত্ত্ব্যৰ্থং কাঞ্চণী জানকী ভবেৎ ] • হেমাদ্রিতেও পত্নীর অসন্নিধানে কাৰ্য্য করিতে হইলে তাহার প্রতিনিধি কুশময়ী প্রভৃতি প্রতিমূৰ্ত্তির বিধান আছে। সুতরাং উক্ত স্থলসমূহে প্রথমে পরিচারিক অর্থে স্থার ও যুদ্ধকাণ্ডে, সীতার সম্ভাবনামাত্র উত্তরকাওে পরিকল্পিত ঐ ভূতি প্রভৃতিকে খ্ৰীগণ বলা হইয়াছে।