পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a لا لا দুঃখিত হইয়া দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক এই কথা বলিল, কৈকেয়ি ! তুমি শোকদুঃখময় সমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া অজ্ঞানত প্রযুক্ত অনর্থকে অর্থ করিয়া দেখিতেছ। সুতরাং নিজের অবস্থা বুঝিতে পারিতেছ না। এখন রাম রাজা হইতেছেন, ইহার পর তাহার পুত্র রাজত্ব প্রাপ্ত হইবে ; সুতরাং এইরূপে ভরতকে রাজবংশভ্রষ্ট হইতে হইবে। হে ভামিনি । রাজার সকল পুত্রে রাজপদ প্রাপ্ত হন না, বাস্তবিক, তাহ প্রাপ্ত হইলে, মহান অনর্থ সঙ্ঘটিত হইয়া থাকে। এই কারণে হয় জ্যেষ্ঠ, না হয় গুণবান কনিষ্ঠ পুত্রের প্রতি রাজ্যভার সমৰ্পিত হইয়া থাকে। হে পুত্রবৎসলে ! এইরূপ ব্যবস্থা নিবন্ধন বলিতেছি, তোমার পুত্র ভরতকে সকল সুখভোগ ও রাজবংশ হইতে বঞ্চিত হইয়া অনাথের ন্যায় কাল কাটাইতে হইবে । আমি তোমার হিতার্থে এতদূর বলতেছি, আশ্চৰ্য্য, তুমি তাহ কোনও রূপেই বুঝিতেছ না। আশ্চর্ঘ্যের বিষয় এই যে, সপত্নীর শ্ৰীবৃদ্ধিতে আমায় পুরস্কার দিতে উদ্যত হইয়াছ। নিশ্চয়ই রাম নিষ্কণ্টকে রাজ্যলাভ করিয়া তোমার পুত্র ভরতকে হয় নির্বাসিত, অথবা প্রাণে বিনষ্ট করিবে। তুমি বালক ভরতকে মাতুলালয়ে পাঠাইয়াছ, নিকটে থাকিলে অবশ্যই মহারাজের স্নেহদৃষ্টি পড়িত। বিবেচনা করিয়া দেখ, তৃণগুল্মাদি একস্থানে জন্মগ্রহণ করিয়া, পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। ভরতের সঙ্গে শত্রুঘ্নও মাতুলালয়ে গমন করিয়াছেন। লক্ষণ যেরূপ রামের অনুগত, শক্রক্সের সহিত ভরতেরও তক্রপ ভাব। শুনিতে পাওয়া যায়, বনজীবিগণ এক সময়ে একটি বৃক্ষকে এছদন করিতে চেষ্ঠিত হইয়া, কণ্টকাকীর্ণ বলিয় তাহদের চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছিল। রামলক্ষণ পরম্পর পরস্পরের রক্ষক। অশ্বিনীকুমারের ন্যায় হঁহাদের সৌভ্রাত্র লোকবিখ্যাত। এই কারণে রাম হইতে লক্ষণের অনিষ্ট হইবে না ; কিন্তু রাম ভরতকে বধ করিবেই, ইহাতে কোন সংশয় নাই। অতএব, এক্ষণে বাল্মীকি-রামায়ণ মাতুল-ভবন হইতে ভরতের বনপ্রবেশ আমাদের নিকটে শ্রেয় বলিয়া বোধ হইতেছে । ইহাতে তোমার হিতকর তোমার প্রতিপক্ষগণেরও মঙ্গল হইবে ; যদিই বা ( পিতার অনুমতিরূপ ) ধৰ্ম্মানুসারে ভরতের ভাগ্যে পৈতৃক রাজ্যাধিকার ঘটে, তাহাতে যে আমাদের মঙ্গল ঘটিবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? অরণ্যে সিংহের আক্রমণ হইতে হস্তীকে রক্ষার স্যায় তুমি ভরতকে এই আসন্ন বিপদ হইতে উদ্ধার কর। তুমি স্বামিসোহাগে দৃপ্ত হইয়া কৌশল্যার প্রতি নিতান্ত অবজ্ঞা করিয়াছ ; এক্ষণে তিনিই বা তাহার প্রতিশোধ না দিবেন কেন ? হে কৈকেয়ি ! যদি রামচন্দ্র শৈলসাগরসম্বলিত বসুন্ধরার আধিপত্য প্রাপ্ত হন, তাহা হইলে তোমার পুত্রের সহিত তোমাকে যে দান্তভাবে দিন কাটাইতে হইবে, ইহা স্থির-সিদ্ধান্ত । রাম যে সময় রাজা হইবেন, জানিও, ভরতের সর্বনাশ ; অতএব ভরতের রাজ্যপ্রাপ্তি ও রামের নির্বাসনোপায় চিন্তা কর । ৩০-৩৯ * নবম সর্গ মন্থর এইরূপ বলিলে কৈকেয়ী ক্রোধে জ্বলিত হইয়া দীর্ঘ ও উষ্ণ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক মন্থরাকে কহিলেন, আমি অন্তই রামকে রাজপুরী হইতে বনে নির্বাসিত ও ভরতকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিব। যাহাতে ভরতের রাজ্যাভিষেক ঘটে এবং রামের = == ബ=ബ = ബജ

  • এ দেশপ্রলিত অনুবাদিত রামায়ণে ২১ জন মহাত্মা, পর-সর্গের ১ম ২য় ৩য় কবিতাটির অনুবাদ এই সর্গে সংযোজিত করিয়া সর্গ শেষ করিয়াছেন। যখন কযেকপানি মূলগ্রন্থে পর-সর্গে একই পাঠ দেখিলাম, তপন অগতা। অামাদিগকে মূলের সহিত অনুবাদের সামঞ্জস্ত রাখিতে বাধ্য হইতে হইল। প্রমাণস্বরূপ মূল এ স্থলে প্রদশিত হইল –

“এবমুক্ত তু কৈকেয়ী ক্ৰোধেন জ্বলিভাননা । দীর্ষমুকঞ্চ নিঃশ্বস্ত মন্থরামিদমব্ৰবীৎ । (১) অদ্য রামন্বিতঃক্ষিপ্ৰং বলং প্রস্থাপরাম্যহম্। যৌবরাজোম ভরত ক্ষিপ্ৰমেবাভিষেচয়ে । (২) ইদং ত্বিদানীং সংপস্ত কেনোপায়েম সাধয়ে । छब्रख्द योध.ब्रांजणार न छू ब्रांबई कर्षकम ॥ (७)