পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ তোমাকে উঠাইয়া বরদানে উদ্যত হইবেন, তুমি তখন র্তাহাকে সত্যে বদ্ধ করিয়া, তাহার নিকটে এই দুইটি বর প্রার্থনা করিও । এক বরে রামচন্দ্রের চতুর্দশ বৎসর বনবাস, অপর বর মহারাজ ! ভরতকে রাজা করুন। চতুর্দশ বর্মের জন্য রাম বনে নির্বাসিত হইলে, ভরতের রাজ্য নিষ্কণ্টক, দৃঢ়মূল, ও চিরস্থায়ী হইবে । হে ভামিনি ! তোমার পুত্র ভরতের সকল প্রকার ইস্টসিদ্ধি ঘটিবে। এইরূপে তুমি রামের বনপ্রত্রাজনরূপ বর প্রার্থনা কর, তাহাতেই রাম বনবাসী হইলে প্রজাবর্গের নিকট অপ্রিয় হইয়া উঠিবে, এবং ভরতও শক্রশন্য হইয়া রাজা হইতে পরিবে। যে সময়ে বনবাস হইতে রামচন্দ্র প্রত্যাবৃত্ত হইবেন, সে সময়ে ভরত সুহৃদগণ ও স্বাধীন সৈনাগণে পরিবৃত হইয় লোকের অন্তরে ও বাহিরে প্রভুশক্তি সমূলে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারবে। অতএব তুমি এক্ষণে সাহস সমাশ্রয়-পূর্বক মহারাজকে রামের রাজ্যাভিষেক-বাসনা হইতে বিনিবৃত্ত কর। আমি বলিতেছি, তোমার ইন্টসিদ্ধির ইহাই প্রকৃত সময় ৷ ২১-৩৫ তখন কৈকেয়ী মস্থরা-বাক্যে সন্তুষ্ট হইলেন, তাহার কথিত পরামর্শ গ্রহণ করিলেন এবং বালবৎস বড়বার ন্যয় অসৎপথে পদচারণ করিয়া কহিতে লাগিলেন । * অত্যন্ত বিস্মিতা—অত্যন্ত অনর্থদর্শিনী কৈকেয়ী মন্থরাকে বলিলেন, হে হিতোপদেশিনি ! আমি এ যাবৎকাল পর্য্যন্ত তোমার এত বুদ্ধি জানিতে পারি নাই। আমি বলিতেছি, পৃথিবীতে । যত কুঞ্জ নারী আছে, বুদ্ধিপ্রভাবে তুমি তাঁহাদের সর্বশ্রেষ্ঠ। তুমি আমার চিরকাল যাবৎ সকল বিষয়ে হিতৈষিণী, এবং নিত্য উদ্যুক্ত। বলিতে কি, আমি এতক্ষণ মহারাজের দুরভিসন্ধির মৰ্ম্ম বুঝিতে পারি ১। বালবাসা বড়বা যেমনকশা দ্বারা জাহত হইলেও নিজের পুরের জন্ত উৎপথে গমন করে, সেইরূপ কৈকেয়ী রাজার অধীন হইলেও নিজপুত্র ভরতের জন্ত রাজধৰ্ম্ম, লোকধৰ্ম্ম অতিক্ৰম করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । বাল্মীকি-রামায়ণ নাই ;ং যাহা হউক, জানিলাম, সংসারে পাপীয়সী বক্রাকৃতি অনেক কুজা আছে সত্য ; কিন্তু তুমিই বায়ুবিদলিত পদ্মিনীর স্যায় সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রিয়দর্শন। তোমার বক্ষোদেশ উভয় দিকে সন্নত এবং স্কন্ধ হইতে সমুন্নত। অধোদেশে সুন্দর নাভিবিশিষ্ট উদর, বোধ হয়, বক্ষের উন্নতি দৃষ্টে লজ্জায় কৃশভাবাপন্ন জঘন পূর্ণতাপ্রাপ্ত ও পয়োধর কঠিন। তোমার মুখ বিমল সুধাকরের স্যায়, জঘন রশনাদামবিশোভিত। তোমার জঙ্গা ও চরণদ্বয় সুদীর্ঘ। তুমি যখন আমার সন্মুখ দিয়া গমন কর, তখন রাজহংসীর স্যায় বোধ হইয়া থাকে ; তোমার হৃদয়ে শম্বরামুরের অনন্ত মায়া ও অন্য সহস্রমায়া সন্নিবিষ্ট আছে। তোমার বক্ষোপরি রথচক্রপিণ্ডিকার স্যায় যে মাংসপিণ্ড আছে, উহা ক্ষত্রবিদ্যা, বুদ্ধি ও মায়ার একাধিপত্যস্থান। আমি বলিতেছি, ভরতের রাজ্যপ্রাপ্তি ও রামের নির্বাসন ঘটিলে, আমি তোমার ঐ মাংসপিণ্ড চন্দনে লিপ্ত ও সুবর্ণালঙ্কারে সুশোভিত করিয়া দিব। তোমার মুখ স্বর্ণময় বিচিত্র-তিলকে সুশোভিত করিব ; তুমি মনোহর বস্ত্র ও দিব্য অলঙ্কার পরিধান করিয়া দেবতার স্যায় বিচরণ করবে। তখন তোমার মুখমণ্ডল চন্দ্রকে লজ্জা প্রদান করিবে ; বলিতে কি, তখন ইহার উপমা মিলিবে না। এখন তুমি যেমন আমার সর্বদা পদপরিচর্চায় নিযুক্ত আছ, তখন অন্যান্য কুজাগণ সেইরূপ তোমার পদানত হইয়া অবস্থিতি করিবে । ৩৬-৫২ ২। রাজার দুরভিসন্ধি রামের রাজ্যাভিষেক এবং পাছে ভরত কোন বিরুদ্ধতা করে, এই ভয়ে ভরতকে মাতামহপূহে পাঠান, এই রাজার অভিপ্রায় কৈকেয়ী পূর্বে বুঝিতে পারেন নাই। বজদেশীয় ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলপ্রদেশীয় বহু পুস্তকে দেখা যায়, যথা—কৈকেয়ী শাপদোষে মোহিত ছিলেন বলিয়া মন্থরার বাক্যে তিনি কোন দোষ দেখিতে পান নাই। বাল্যকালে কৈকেয়ী পিতৃগৃছে এক জন বিরূপ ব্ৰাহ্মণকে অস্বয়া করিতেন, তজত সেই ব্ৰাহ্মণ কৈকেয়ীকে অভিশাপ দিয়াছিল যে, ভূমি রূপমদে মত্ত হইয়া যেহেতুক ব্ৰাহ্মণকে অকুয়া করিয়াছ, সেই জন্ত সাধারণ লোক তোমাকে এইরূপ जएग्रा कब्रिप्व, औई ना” अछ tकएकत्री गइब्राब पीइठ हैद्रांझिलन ।