পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

து_கம்_ _ _ _ _ _ _ SRIR ত্রয়োদশ সর্গ পুণ্যক্ষয়ে যযাতি রাজা যেরূপ স্বর্গভ্রষ্ট হইয়াছিলেন, তাহার স্যায় নৃপতি দশরথ রাজার পক্ষে নিতান্ত অযোগ্য, ভূতলে শয়নও অনুচিত হইলেও স্ত্রীকে প্রণাম করিবার জন্য উষ্ঠত হইয়াছিলেন। সেই সত্যপাশবদ্ধ মহারাজ দশরথকে বংশের অনর্থকারিণী অপূর্ণ মনোরথা, লোকাপবাদভয়রহিত কৈকেয়ী রাম হইতে ভরতের অমঙ্গল ঘটিবে, এই ভয়েই ভীত হইয়া পুনর্বার সম্বোধিত করিয়া কহিলেন,—হে মহারাজ ! তুমি সত্যবাদী ও দৃঢ়ব্ৰত বলিয়া শ্লাঘা করিয়া থাক ; অতএব আমাকে বর দিতে প্রতিশ্রুত হইয়া তৎপ্রদানে কাতর হইতেছ কেন ? তখন মুহূৰ্ত্তকাল বিহ্বল থাকিয়া ভূপতি দশরথ পুনর্বার ক্রোধভরে কহিতে লাগিলেন,-—রে অনার্য্যে ! রে শত্রুরূপিণি : আমি মৃত ও রামচন্দ্র বনপ্রস্থিত হইলে,তুমি কৃতকাৰ্য্য ও সুখী হও । আমার দেহাবসানে স্বৰ্গবাস ঘটিলে, মুরগণ যখন রামের কুশল-সংবাদ জিজ্ঞাসা করিবেন, তখন আমাকে তাহাদিগের নিকট অবশ্যই বলিতে হইবে যে, রামকে বনে দিয়াছি। এইরূপ উত্তর দিবার পর দেবতারা যাহা বলিবেন, তাহা কিরূপে হৃদয়ে ধারণ করিব ? “কৈকেয়ীর প্রিয়কামনায় রামকে বনে পঠাইয়াছি” এই কথা বলিলে, তাহারা এ সত্য কথায় আস্থা করিবেন না। আমি দীর্ঘকাল অপুত্ৰক ছিলাম, বহুকষ্টে রামের স্থায় পুত্র প্রাপ্ত হইয়াছি ; অতএব সেই মহাতেজ রামচন্দ্রকে কিরূপে পরিত্যাগ করি, বল ? তিনি বীর, কৃতবিদ্য, জিতক্রোধ, ক্ষমাশীল ও সৎস্বভাব, কিরূপে সেই পদ্মপলাশলোচন রামকে বনে নির্বাসিত করিব ? আমি কোন প্রাণে s । ययांडिब्राङौ चcf गंबन कब्रिप्ल किहू निन दर्नवांटमब्र श्रृंब्र हेख ষযাতিকে জিজ্ঞাসা করিলেম, মহারাজ ! আপনি এমন কি পুণা করিয়াcझ्न-पांशद्र कtण चcर्नब अछूक्र शंन जांड कब्रिटठ नभर्ष हशेबादृश्य ? भवाठि उइउरन्न निजकूठ **ाब कष वणात्र डांशंब्र गूशाकन्न हब 4नः फिनि चर्चठ्ठाउ शप्छन। ७३ कष नदछनूबांन७ भशखांब्रहउब्र जानि°रक्तं আছে । বাল্মীকি-রামায়ণ ইন্দাবরশ্বাম, আজামুলম্বিতবাহু, মহাবলশালী, প্রিয়দর্শন রামকে দণ্ডকারণ্যে পাঠাইব ? যিনি চিরকাল সুখভোগ করিতেছেন, দুঃখ পদার্থ কি, যিনি জানেন না, তাহার এ দশা কিরূপে দর্শন করিব ? যদি র্তাহাকে কষ্ট না দিয়া আমার মৃত্যু ঘটে, তাহ হইলেও আমি স্থখী হই। রে ক্ররে। রে পাপকারিণি কৈকেয়ি | সত্যসন্ধ প্রিয়তম রামের এরূপ অনিষ্ট করিতেছ কেন ? বাস্তবিক, তোমার কথায় রামকে বনবাসী করিলে, আমার ঘোর অকীৰ্ত্তি প্রচারিত হইবে। ১-১৩ যখন অবনীনাথ উদপ্রান্ত-মনে এরূপ বিলাপ করেন, সেই সময়ে দিনমণি অস্তাচল-শিখরাবলম্বী হইলেন। দেখিতে দেখিতে রজনী উপস্থিত। সেই শর্বর শশাঙ্কশোভিত হইলেও দুঃখিত নৃপতিকে আনন্দিত করিতে পারিল না । তখন প্রজানাথ বারংবার দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিলেন । র্তাহার দৃষ্টি নভোমণ্ডলে সংন্যস্ত রহিল। অনেক ক্ষণের পর ‘হে নক্ষত্ৰশোভিতে নিশে ! আমি তোমার প্রভাত প্রার্থনা করি না, এই কথা বলিলেন। “হে ভদ্ৰে ! আমি কৃতাঞ্জলিপুটে জানাইতেছি, তুমি আমার প্রতি প্রসন্ন হও, অথবা, সত্বর ভূমি গমন কর, যাহার জন্য আমার এ দশা, সেই নির্দয় নৃশংসা কৈকেয়ীকে দেখিতে ইচ্ছা করি না।’ নৃপতি এইরূপ কহিয়া, কৃতাঞ্জলি হইয়া পুনর্বার প্রেয়সীর প্রসন্নত প্রার্থনা করিলেন । বলিলেন, হে দেবি । আমার শেষ দশা উপস্থিত, আমি অতিশয় দীন, সর্বপ্রকারে তোমার অনুগত ও অধীন, বিশেষতঃ রাজা ; অতএব আমার প্রতি কৃপাপ্রকাশ কর। আমি বিস্তর ক্লেশে তোমাকে কটক্তি করিয়াছি। হে সুন্দরি ! তোমাকে সরল হৃদয় বলিয়া জানি, তুমি প্রসন্ন হও ঃ ভাল, না হয় রামচন্দ্র তোমার প্রসাদলভ্য রাজ্য লাভ করুন । এরূপ করিলে তোমার অক্ষয়কীৰ্ত্তি বিঘোষিত এবং