পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড আমার, রামের, বশিষ্ঠাদি গুরুলোকের এবং ভরতের প্রতিভাব প্রকাশিত হইবে । রাজা দশরথ এইরূপ বিলাপ করিতে করিতে সজলনেত্র হইলেন ; তাহার নেত্রযুগল আরক্তবর্ণ হইল ; কিন্তু নির্দয়া কৈকেয়ী কিছুতেই তাহার কথায় কর্ণপাত করিলেন না। তখন নৃপতি নিতান্ত দুঃখিত হইয়া পুনর্বার মোহপ্রাপ্ত হইলেন এবং ক্ষুব্ধভাবে ঘন ঘন দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিলেন। ক্রমে রজনী প্রভাত হইল । সময় জানিয়া যদিও বৈতালিকগণ স্তুতিগানে প্রবৃত্ত হইয়াছিল, কিন্তু দুঃখের সময় উহা অসহ বোধ হওয়াতে নৃপতি তৎক্ষণাৎ তাহাদিগকে নিবারিত করিলেন। ১৪-২৬ τωπmωπm αφυπόmaujn চতুর্দশ সর্গ পাপীয়সী কৈকেয়ী পুত্ৰশোকাতুর নৃপতিকে মুচ্ছিত, ভূপতিত ও বিচেষ্টমান দেখিয়াও এই কথা বলিলেন,—হে মহারাজ ! তুমি বর দিতে প্রতিশ্রত হইয়া, যেন ভয়ানক পাপানুষ্ঠান করিয়াছ ! এক্ষণে দীনভাবে শয়ন করিয়া আছ কেন ? সত্যপ্রতিপালনরূপ কার্ষ্যে তৎপর হও । ধাৰ্ম্মিকের সত্যকেই পরম ধৰ্ম্ম খলিয়া নির্দেশ করেন। আমি সত্যের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া বরদানে তোমাকে সমুৎসাহিত করিতেছি। বিবেচনা করিয়া দেখ, নৃপতি শৈব্য সত্যের কারণে পক্ষাকে গাত্রমাংস প্রদান করিয়া পরমগতি লাভ করিয়াছেন। তেজস্ব নৃপ অলৰ্ক যাচিত হইয়া বেদজ্ঞ এক ব্রাহ্মণকে আপনার চক্ষু উৎপাটন-পূর্বক প্রসন্ন মনে দান করিয়াছিলেন। অন্য কথা কি, মহাসমুদ্র সত্যানুরোধে পর্বসময়ে সামান্য তীরভূমিও অতিক্রম করেন না। সত্যই একমাত্র ব্রহ্ম, সত্যে ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত আছে, সত্যই অক্ষয় বেদ, সত্যপ্রভাবে পরমপদপ্রাপ্তি ঘটিয়া থাকে। যদি তোমার ধৰ্ম্মে মতি থাকে, তবে সত্যের মর্য্যাদা శి\లీ রক্ষা কর ; অতএব আমাকে যে বর দিতে প্রতিশ্রত হইয়াছ, তাহা প্রদান কর। হে মহারাজ ! তুমি ধৰ্ম্মবৃদ্ধির জন্য এবং আমার প্রেরণায় রামকে বনে নির্বাসিত কর, আমি তিনবার তোমাকে এ কথা বলিতেছি। যদি আমার কথা রক্ষা না পায়, তাহা হইলে তোমার সাক্ষাতে আমি প্রাণ পরিত্যাগ করিব। কৈকেয়ী এরূপ বলিলে রাজা দশরথ ইন্দ্র-প্রেরিত বামনের নিকটে বলী যেরূপ বদ্ধ হইয়াছিল এবং সেই পাশমুক্ত হইতে পারে নাই, মহারাজ দশরথও সেইরূপ কৈকেয়ীর নিকটে সত্যপাশ হইতে মুক্ত হইতে সমর্থ হইলেন না। তখন র্তাহার হৃদয় উদভ্ৰান্ত এবং মুখমণ্ডল বিবর্ণ হইয়া উঠিল; সে সময় তিনি যুগচক্রের মধ্যস্থিত ধূর্য্যের স্যায় অস্থির হইলেন।২ দেখিতে দেখিতে র্তাহার নয়নযুগল বিকল হইয়৷ উঠিল ; তিনি অতি কন্টে ধৈর্য্যসহকারে মনোবেগ নিবৃত্ত করিয়া কৈকেয়ীকে বলিতে লাগিলেন। ১-১৩ আমি যে অগ্নি-সমক্ষে মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক তোমার পাণিগ্রহণ করিয়াছি, এক্ষণে তোমার সহিত তোমার গর্ভজাত পুত্র ভরতকে পরিত্যাগ করিলাম। এক্ষণে রজনী প্রভাত হইয়াছে, এ সময় সুৰ্য্যোদয় দেখিলেই গুরুজনেরা আসিয়া রামের অভিষেকের জন্য আমাকে ত্বরান্বিত করিবেন। রামরাজ্যাভিষেকার্থে যে সকল সামগ্ৰী সংগৃহীত হইয়াছে, যদি তুমি এ কাৰ্য্যে বাধা দান কর, তাহা হইলে ইহা দ্বারাই রামচন্দ্র আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাধা করিবেন। * হে অমঙ্গলময়ি ! যদি রামের রাজ্যাভিষেক তোমার অভিপ্রেত না হয়, ১। ইহার তাৎপৰ্য্য—অামি তিনবার বলিতেছি, সুতরাং বরগ্রহণ হইতে আমাকে কোনমতে নিবৃত্ত করিতে পারিবে না । ২ । যুগচক্ৰ পদে গোযানের যানবাহী ষাড়ের উভয় পার্শ্বস্থিত কাষ্ঠ—বশি, উহার মধো আবদ্ধ ষাড় নিজের ইচ্ছামত এদিকে ওদিকে गाई७ °iप्न न। पूर्वी-डांब्रबांशै बनछ,ांन-पीछ।

  • मूण “রামাভিষেক-সভারৈস্তদৰ্থমুপকল্পিতৈঃ।

রামঃ কারয়িতব্যে মে মৃতক সলিলক্রির ॥৯ এই পাঠ দৃষ্ট হয়। ইহার অগ্নবাদে 'তুই এ কার্ধ্যে বাধা দিল্ এরূপ অর্থ প্রতীতি হয় না। সঙ্গত বিবেচনায় পশ্চিমদেলীয় বিজ্ঞ টীকাকারের অভিপ্রায় এ স্থলে সংযোজিত করা গেল ।