পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ তাহা হইলে তোমার সহিত তোমার পুত্র ভরত যেন আমার সলিলক্রিয়া না করে। যে আমি রামের অভিষেকবাৰ্ত্ত শ্রবণে উৎফুল্ল-বদনকমল জনসমূহকে দেখিয়াছি, এক্ষণে ঐ কাৰ্য্যের ব্যাঘাতে নিরানন্দ, উৎসাহহীন, অধোবদন সেই সকল লোককে পুনরায় কিরূপে দর্শন করিব ?” এই কথা বলিতে বলিতে চন্দ্রতারকাশোভিতা শর্বর্বরী প্রভাত হইল । তদনন্তর পাপচারিণী কৈকেয়ী ক্ৰোধসংমূৰ্টিছত হইয়া নৃপতিকে পরুষ বাক্যে বলিতে লাগিলেন, হে রাজন! তুমি এক্ষণে বিষবৎ ও শূলাদি রোগ সদৃশ মৰ্ম্মভেদী কি কথাই বলিতেছ। যাহা হউক, তুমি রামকে এখনই এখানে আনয়ন কর। আমার পুল ভরতকে রাজসিংহাসনে স্থাপন এবং রামকে বিবাসন করিয়া, আমাকে নিষ্কণ্টক করত সুখী হও । তথন ভূপতি দশরথ কশাহত অশ্বের স্যায় মৰ্ম্মাহত হইয়া কৈকেয়ীকে কহিলেন,--আমি সত্যপাশে আবদ্ধ, আমার চেতন লুপ্তপ্রায় ; এক্ষণে আমি জ্যেষ্ঠ প্রিয়পুত্র রামচন্দ্রকে দেখিতে ইচ্ছা করি।” ১৪-২৪ এ দিকে রাত্রি প্রভাত হইয়াছে, সূৰ্য্য উদিত হইল ; ক্রমে শুভ ক্ষণ, শুভ নক্ষত্র ও শুভ মুহূৰ্ত্ত সমুপস্থিত। এরূপ সময়ে বশিষ্ঠদেব অভিষেক-দ্রব্যসমভিব্যাহারে সশিন্যে রাজপুরীতে উপস্থিত হইলেন। তিনি দেখিলেন, রাজপুরীর সমস্ত পথ সলিলসেকে সিক্ত ও বিচিত্র পতাকাশ্রেণীতে সমগস্থত ; আপণশ্রেণী পণ্যদ্রব্যে পরিপূর্ণ, লোক সকল উৎসবে উন্মত্ত। নগরীর সমস্ত লোক রামভিষেক-দর্শনে লালায়িত ! চতুর্দিক চন্দন, অগুরু ও ধূপ-সমাকীর্ণ। গুরুদেব ইন্দ্রপুরীপ্রতিম সেই পুরী পরিত্যাগ করিয়া ধ্বজপতাকা-বিশোভিত ও। এইরূপ দর্শন কর। অপেক্ষ আমার মরণই মঙ্গল এবং नर्श्वtठांछांtव जांभांब्र भब्रिटङई हईcद । भैक्र° औयन थांब्रणं कद्रां কোনমতেই সম্ভব মছে । al ईश बांब्रां नलग्नष करकग्रैौद्र थांर्थिड दब्रमांप्न नन्छछि निकलन वणबारे cबाष रुन, चषद ब्रांवष्क जांवि७ cशषिष्ठ शेव्ह कब्रि, cन জাসিয়া বাহা উচিত, তাছাই কল্পিৰে । বাল্মীকি-রামায়ণ রাজান্তঃপুরের সন্নিহিত হইলেন। দেখিলেন, সর্বত্রই পৌর ও জনপদগণে পরিপূর্ণ, ব্রাহ্মণ ও সদস্তগণে চতুর্দিক আচ্ছন্ন। তখন মহর্ষি বশিষ্ঠ অন্যান্য ঋষি গণের সহিত সেই জনতা ভেদ করিয়া মহারাজের নিকটে যাইতে লাগিলেন। তিনি এই সময়ে নৃপতির প্রিয়মন্ত্রী সুমন্ত্রকে অন্তঃপুর হইতে বাহিরে আসিতে দেখিয়া কহিলেন, “আমি এখানে উপস্থিত হইয়াছি, মহারাজকে এই সম্বাদ দাও । তুমি রাজার নিকটে বল যে, রামের অভিষেকের জন্য স্বর্ণকুন্তে গঙ্গাজল পূর্ণ করিয়া রাখা হইয়াছে ; এতদ্ব্যতীত ঔড়ম্বর পীঠ, সর্বপ্রকার বীজ, গন্ধ, বিবিধ রত্ন, মধু, দধি, বৃত, লাজ,কুশ,পুষ্প, সুন্দরী অট কন্যা, মদমত্ত হস্তী, অশ্বচতুষ্টয়সংযুক্ত রথ, নিন্ত্রিংশ, দিব্য ধনু, নরযান,শ্বেতচ্ছত্র, শ্বেত ব্যজন, স্বর্ণ-ভূঙ্গার, স্বর্ণগৃথলশোভা পাণ্ডুবর্ণ বৃষ, চতুৰ্দ্দন্ত সিংহ, সিংহাসন, ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম, মহিষ, অগ্নি, সকল প্রকার বাদ্য, সুন্দরী বারাঙ্গনা, ব্রাহ্মণ, আচাৰ্য্য, গাভী ও পূণ্য মৃগপক্ষী সকল সংগৃহীত হইয়াছে। দেশীয় ও জনপদীয় প্রধান প্রশান প্রিয়ম্বদ লোক সকল প্রীত হইয়া রাজস্যগণের সহিত সমুপস্থিত হইয়াছেন। ২৫-৪১ হে সুমন্ত্র । যাহতে পুন্যানক্ষত্রে রামের রাজ্যাভিষেক ঘটে, তুমি সে পক্ষে প্রমুদিত-মনে মহারাজকে ত্বরান্বিত কর । সুতপুত্র গুরুর মুখে এ কথা শ্রবণ করিয়া রাজার স্তবকীৰ্ত্তন পূর্বক অবনীনাথের অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। রাজার অমুমতিতে সুমন্ত্রের অন্তঃপুর-প্রবেশের বাধা ছিল না, সুতরাং তদীয় গমনসময়ে দ্বৌবারিকগণ র্তাহার গতিশক্তি রোধ করিতে পারে নাই। এই সময় মহারাজের কিরূপ অবস্থা দাড়াইয়াছে, সুত তাহার কিছুই জানিতেন না ; সুতরাং সে সময়ে অগ্রসর হইয়া অসঙ্কুচিত চিত্তে বন্ধাঞ্জলি পূর্বক বলিতে লাগিলেন,হে নৃপতে । ভাস্করোদয়ে যেরূপ সমুদ্র স্বৰ্য্যকিরণে অমুরঞ্জিত হইয়া স্নানার্থী জনগণকে আনন্দিত