পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ দেখিয়া, তাহার অভিষেকোপলক্ষে যাবতীয় আয়োজন করিয়া আনিয়াছিলেন। হেমময় জলকুন্ত, অলঙ্কত ভদ্রপীঠ, ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্মাস্তরণ-বিশিষ্ট রথ, গঙ্গা-যমুনার পবিত্র জল, অপরাপর পবিত্র নদী, হ্রদ, কূপ ও প্রাপ্তাহ, উৰ্দ্ধবাহ, তিৰ্য্যশ্বাহ, জলবাহিনী নদী,ং সরোবরের জল, মধু, দধি, বৃত, লাজ, দৰ্ভ, কুশ, পুষ্প, আটটি সুন্দরী কন্য, মত্ত হস্তী, বটপল্লবাচ্ছাদিত জলপূর্ণ রজত ও কাঞ্চনময় ঘট, পদ্মদল, সুধাধবল রত্নদণ্ড চামর, চন্দ্রমণ্ডলাকৃতি শ্বেত ছত্র, শ্বেত বৃষ, শ্বেত ঘোটক, বাদ্য ও বন্দী প্রভৃতি যে সকল স্বামগ্ৰী ইক্ষাকুবংশীয় রাজাদিগের অভিষেকসময়ে প্রয়োজনীয়, র্তাহারা তত্তাবৎ অভিষেকসামগ্রী রাজাদেশে আনয়ন করিয়া রাজদ্বারে সমবেত হইয়াছিলেন। ১-১৩ সে সময়ে রাজার সাক্ষাৎকার না পাইয়া ঐ সকল ব্রাহ্মণগণ বলিতে লাগিলেন, আমাদের উপস্থিতিসংবাদ কে প্রদান করিবে ? এ দিকে দেখিতে দেখিতে দিবাকর সমুদিত। রামের যৌবরাজ্যভিষেকের সামগ্রী সমস্তই সমাহৃত হইয়াছে। র্তাহার এইরূপ বলিতেছেন, এমন সময়ে সারথি সুমন্ত্র সেখানে উপস্থিত হইলেন, এবং কহিলেন, আমি মহারাজের আদেশে রামকে আনিবার জন্য যাইতেছি। আপনার রাজা ও রাজকুমারের পূজনীয়, যদি অভিপ্রায় হয়, আমিই না হয় মহারাজকে এই কথা বলিয়া আসি যে, সকলে আপনার অপেক্ষা করিতেছেন, আপনি প্রবুদ্ধ হইয়া অন্তঃপুর হইতে নিম্ভণন্ত হইতেছেন না কেন ? অতিবৃদ্ধ সুরথি সুমন্ত্র এই কথা বলিয়া পুনর্বার নৃপতির অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন এবং শয়নগৃহে উপস্থিত হইয়া, যবনিকার অন্তরালে অবস্থিতি করত, তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ-পূৰ্ব্বক বলতে লাগিলেন,— ২। পূৰ্ব্বদিকে বাহাজের প্রবা, তাহাদিগকে প্রাপ্তাহ বলে, যেমন গোদাবরী, কাবেরী প্রভূতি, উর্জবাৰ নৈমিষারণ্যস্থ ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত, রঞ্জাবৰ্ত্ত প্রভৃতি সরোবর। কেহ কেহ বলেন, পৰ্ব্বতাদি দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হইয়। cव हांप्न बर्देौब्र अण छंt६ फेलििब्र गंख्ठि इद्देब्रांप्इ ठांह, जषदां बिकब्रिलेब्र DDS BBB BD DBBBBBBDDS DDSDDS BBDDS बहुचि। বাল্মীকি-রামায়ণ মহারাজ ! সোম, সূৰ্য্য, রুদ্র, কুবের, বরণ, অগ্নি ও ইন্দ্রাদি দেবগণ আপনাকে জয়লক্ষণী প্রদান করুন। এক্ষণে রজনীর অবসান ঘটয়াছে, শুভদিন সমুদিত। হে রাজচক্ৰবৰ্ত্তিন ! এক্ষণে প্রবুদ্ধ হইয়া প্ৰাত:কৃত্য সমাপন করুন, ব্রাহ্মণ,সৈন্তাধ্যক্ষ ও বণিগগণ সকলেই দ্বারদেশে সমুপস্থিত, তাহারা আপনাকে দর্শন করিতে ইচ্ছা করিতেছেন। অতএব জাগ্ৰত হউন। ১৪-২৩ তখন মহারাজ দশরথ সুমন্ত্রের স্তবে প্রবুদ্ধ হইয়া র্তাহাকে এই কথা বলিলেন,—মুমন্ত্ৰ ! আমি তোমাকে রামকে এখানে আনিবার জন্য আদেশ করিয়াছিলাম, তুমি কি কারণে আমার আদেশ প্রতিপালন করিলে না ? আমি এক্ষণে নিদ্রিত নহি, তুমি আমার আদেশে সত্বর রামকে এখানে আনয়ন কর । তখন সুমন্ত্র রাজাজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া তাহাকে অভিবাদন-পূর্বক প্রহৃষ্টমনে সেখান হইতে প্রস্থিত হইলেন । ২৪-২৭ সুমন্ত্র বিচিত্র ধ্বজ-পতাকা-বিশোভিত রাজপথে উপস্থিত হইয়া, ইতস্ততঃ দৃষ্টি সঞ্চালন-পূর্বক গমন করিতে লাগিলেন । যাইবার সময় সকলেরই মুখে রামাভিষেক-কথা শুনিতে পাইলেন। কিয়দর গিয়াই তিনি কৈলাসগিরি-সদৃশ রামচন্দ্রের প্রাসাদ দেখিতে পাইলেন । রাত্রি প্রভাত হইলেও প্রাসাদের কবাট অবরুদ্ধ, তাহার ইতস্ততঃ শত শত বেদি প্রস্তুত। সম্মুখভাগে অসংখ্য কাঞ্চনপ্রতিমা, প্রাসাদের তোরণ সকল প্রবাল ও মণি-মুক্তবিজড়িত, দেখিতে শারদীয় মেঘসদৃশ। ঐ তোরণ সকল মধ্যমণি-বিশোভিত স্বর্ণপুপমালোর স্যায় মুসজ্জিত ও মধ্যে মধ্যে মহামূল্য রত্নসমূহে সমলস্কৃত। মলয়শিখর যেরূপ মুবাসিত, ঐ স্থানও তস্কপ সৌগন্ধময়, স্থানে স্থানে সারস ও ময়ুরগণ ক্রীড়া করিতেছে। উহার স্থানে স্থানে স্বর্ণাদি ধাতুময় ব্যান্ত্রের প্রতিকৃতি বিরাজমান ; ইহার শিল্পকাৰ্য্য দেখিলে, দর্শকের মনেনয়ন আকৃষ্ট হইয় পড়ে। ঐ প্রাসাদ মহেন্দ্রপুরী