পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^రీ8 দশরথ কি নিবোধ ! তিনি অনায়াসে প্রজাদিগের সৰ্ব্বনাশ করিলেন । যিনি সকলের গতি, র্তাহাকেই অনায়াসে পরিত্যাগ করিলেন ! এইরূপে রাজমহিষীগণ বিবৎসা ধেমুর স্যায় উচ্চৈঃস্বরে রোদন ও পতি নৃপতির নিন্দ করিতে লাগিলেন। তখন অন্তঃপুরমধ্যে এরূপ আৰ্ত্তনাদ শ্রবণ করিয়া নরনাথ পুত্ৰশোকাভিভূত হইয়া লজ্জা ও দুঃখে অধোমুখে শয্যামধে। বস্ত্র দ্বারা দেহ আচ্ছাদিত করিয়া অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। এ দিকে আত্মীয়-স্বজনের দুঃখে অতিশয় দুঃখিত রামচন্দ্র, বন্ধ হস্তীর ন্যায় ঘন ঘন নিশ্বাস পরিত্যাগ-পূর্বক ভ্রাতার সহিত জননীর অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইলেন। উহার দ্বারদেশে একটি বৃদ্ধ ও অপরাপর অনেকে উপবিষ্ট ছিল । তাহার রামকে দেখিবামাত্র নিকটস্থ হইয়া তাহার জয়োচ্চারণ করিল ১-১০ তদনন্তর রামচন্দ্র প্রথম প্রকোষ্ঠ পার হইয় দ্বিতীয় প্রকোষ্ঠে গিয়া দেখিলেন, রাজার প্রিয়পাত্র অসংখ্য বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ তথায় অবস্থিত রহিয়াছেন। তিনি র্তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া তৃতীয় প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিলেন, দেখিলেন, দ্বাররক্ষাকাৰ্য্যে আবালবৃন্ধ-বনিতা অনেকে নিযুক্ত রহিয়াছে। তাহার মধে কতকগুলি স্ত্রীলোক র্তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া সম্বৰ্দ্ধনা করিল এবং হৃষ্টমনে র্তাহাকে অগ্রে লইয়া, কৌশল্যাকে তদীয় উপস্থিতিবার্তা প্রদান করিল। পুত্রহিতৈষিণী কৌশল্যা সংযতভাবে রাত্রিযাপন করিয়া সে সময়ে প্রাতঃকালে পুত্রহিতার্থে বিষ্ণুপূজা করিতেছিলেন। তাহার ক্ষৌমবসন পরিধান। তিনি মঙ্গলাচরণ-পূর্বক ত্রতপরায়ণ হইয়া হোম করাইতেছিলেন। রাম মাতৃনিকেতনে প্রবেণ-পূর্বক দেখিলেন, কৌশল্য অগ্নিতে আহুতি দেওয়াইতেছেন। দৈবকাৰ্য্যের উদেশে দধি, অক্ষত, স্কৃত, মোদক, লাজ, শুক্ল মাল্য, পায়স, কৃশর সমিধ ও পূর্ণকুন্ত D BB BBD i DBBBB BBBB BBBBBB BBS খিাল মিশ্ৰিত তণ্ডুল। তিল মুগে তণ্ডুল। তিল ও তণ্ডুল, ইহা পাক করিলে ভাষার নাম কৃশর। ফল কথা, খিচুড়ীকে ৰূলয় শৰে বুঝায়। বাল্মীকি-রামায়ণ সকল সংগৃহীত রহিয়াছে। তিনি কৌশল্যাকে শুক্লাস্বরধারিণী, কৃশাঙ্গী ও দেবতপণপরায়ণ দেখিCलन । छननौ छिद्रकांभनांद्र थन नन्लनटक निकछैदउँौं দেখিয়া বালবৎস বড়বার ন্যায় অতিশয় হৃষ্ট হইয়৷ পুত্রের নিকটে গমন কয়িলেন। ১১-২০ রাম মাতৃচরণে প্রণাম করিলে, তিনি র্তাহাকে আলিঙ্গন ও তদীয় শির আত্রাণ করিলেন। তখন পুত্রবাৎসল্য নিবন্ধন রাজমহিষী নিজকুমারকে প্রিয়বাক্যে এই কথা বললেন,- বৎস! তুমি ধৰ্মিষ্ঠ বৃদ্ধ রাজর্ষিগণের আয়ু, কীৰ্ত্তি এবং কুলোচিত ধৰ্ম্ম লাভ কর। দেখ, মহারাজ কতদূর সত্যপ্রতিজ্ঞ, তিনি অদ্য তোমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিতে উষ্ঠত হইয়াছেন। এই সময়ে কৌশল্য রামকে উপবেশনের জন্য আসন প্রদান করিয়া, ভোজনের জন্য অনুরোধ করিলেন। তখন বিনীতস্বভাব রামচন্দ্র করযোড়ে মাতৃগৌরব-রক্ষার্থে অবনত হইয়া দণ্ডকারণ্য-গমনের অনুমতি লইবার জন্য বলিতে লাগিলেন-দেবি ! আপনার, সীতার ও লক্ষণের বড় বিপদ উপস্থিত, আপনি তাহার কিছুই জানেন না। অামি যখন এখনই বনগামী হইব, তখন আর এ আসন গ্রহণের প্রয়োজন কি ? আমার কুশাসনের সময় সমুপস্থিত। এক্ষণে আমাকে মুনিবৃত্তি অবলম্বন-পূর্বক কন্দ, মূল ও ফল ভোজনে দিনাতিপাত করিয়া চতুর্দশ বর্ষের জন্য বনবাসী হইতে হইবে। মহারাজ আমাকে তাপসবেশে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত করিতেছেন এবং ভরতকে রাজসিংহাসনে বসাইতেছেন। আমি এই জন্য ফলমূলাহারে নির্জন বনে চতুর্দশ বর্ষ বাস করিব। ২১-৩১ কুঠার-কর্তিত শালবৃক্ষের স্যায় এই কথা শ্রবণমাত্রে দেবী কৌশল্য স্বর্গভ্রষ্ট দেবতার মত সহস ভূপতিত হইলেন। রাম তাহাকে অচেতনা এবং কদলীবৃক্ষের স্থায় ধরাশায়িনী দেখিয়া, শশব্যস্তে উথাপিত করিলেন এবং ভারবাহিনী বড়বা যেরূপ ভারবহনশ্রান্তি অপনোদনের জন্য ভূমিভলে লুষ্ঠিত হইয়৷